খুশি থাকুন ভাল থাকুন

Dec 30, 2011
রাত এগারটার সময় যদি বলা হয় সবধরনের জ্বালানী তেলের দাম পাচ টাকা করে বাড়ানো হল, বারোটা থেকে এইদামে কিনতে হবে তাহলে আপনার কিছু করার থাকে না। সত্যি বলতে কি এক ঘন্টা কেন, একদিন কিংবা একমাস আগে জানালেও আপনি কিছু করতে পারেন না। বরং জানার পর এটুকু শান্তনা অন্তত পেতে পারেন মাসখানেকের মধ্যে তেলের দাম আরেকবার বাড়বে না। বাড়লে হয়ত গ্যাস কিংবা বিদ্যুতের দাম বাড়বে। আর এই সময়ে বাড়বে আপনার খরচ। গাড়ির তেল কিনুন আর কাজের জন্য কেরোসিনই কিনুন, লিটারপ্রতি পাচ টাকা সরকারের কাছে জমা হবে। যার গাড়ি নেই তারজন্য বাসভাড়া বা ট্যাক্সিভাড়া। যদি পায়ে হেটে চলতে চান তাহলেও রক্ষা নেই। খাবার-দাবার যাকিছু কেনেন সবই ওই তেলের গাড়িতে চলে। তাদের ভাড়াও যাবে আপনার পকেট থেকেই।

কার কি চাই

Dec 25, 2011
সবারই কিছু চাহিদা থাকে। একজন শিশু খেলনা পেলে খাবার কথাও ভুলে যায়। তারপর যখন বয়স বাড়তে থাকে তখন আগ্রহের বস্তুও পাল্টায়।  অমুকের জন্য জীবন দিতে পারি ...
থামুন থামুন, এসব অর্থহীন কথা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে সময় নষ্ট করে কে। তারচেয়ে বরং চাহিদার ভিন্ন চেহারা দেখা যাক।
ডেল কার্নেগি কোটি টাকা কামিয়েছিলেন শুধুমাত্র কথা বিক্রি করে। তিনি একবার বলেছিলেন আপনার আসলে চাহিদা কি তার একটা তালিকা করে দেখুন তো। ১ নম্বর, টাকা এবং টাকা দিয়ে পাওয়া যায় এমন সব জিনিষপত্র। এরপর ..

ট্যাকা নিবি না!

Dec 24, 2011
বাংলাদেশের কোটিখানেক মানুষ রয়েছেন ভিনদেশে। ভিনদেশে থাকতে থাকতে তারা অনেকসময় ভুলে যান বাংলাদেশের সত্যিকারের পরিচয়। কখনো কখনো যদি কোনভাবে বাংলাদেশের সংস্পর্শে আসতে হয় তখন মনে পড়ে সেসব কথা। এমনই একজন দেশে ফেরার কারনে দুতাবাসে সপ্তাহখানেক ধর্না দিয়ে একসময় মনে পড়ল, আরে ঘুস বলে একটা বিষয় তো আছে।
দেশের মধ্যে যারা থাকেন তারা অবশ্য ভোলেন না। তারা জানেন টাকায় করে কাম মিছে মর্দের নাম।
এক ব্যক্তি সরকারী অফিসে গেছেন কাজের জন্য। আজকাল সরাসরি ঘুস দিয়েও কাজ হয়না, দালাল ধরতে হয়। দালাল যখন অফিসের ভেতরে ঢুকেছেন তখন তিনিও তারসাথে ঢুকে গেছেন। দালাল তাতে বিরক্ত। বারবার বলছেন, আপনি বাইরে যান। একসময় ভদ্রলোক রেগে গেলেন। ঘুরে দাড়িয়ে বললেন, ট্যাকা নিবি না!
এটা একেবারে মোক্ষম ওষুধ। জোকের মুখে লবন দেয়ার মত সাথেসাথে কাজ হয়।

যায় দিন

Dec 16, 2011
বাংলায় প্রবাদ আছে যায় দিন ভাল আসে দিন মন্দ। আগের সময় বর্তমানের চেয়ে ভাল ছিল। বুড়ো বয়সে বলবেন এরচেয়ে বয়স কম থাকলে ভাল ছিল, চাকরী বা ব্যবসা করার সময় বলবেন ছাত্রকাল ভাল ছিল কিংবা ছোটবেলা ভাল ছিল এমন আরকি। শিরোনামটাও সেকারনে হতে পারত যায় দিন ভাল। কিন্তু বিষয়টা একটা স্পষ্ট না। যায় দিন ভাল মানে বর্তমানে দিনকাল খারাপ ধরে নিতে হয়। কিন্তু প্রতি মুহুর্তে যখন কানে আসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল, অর্থমন্ত্রী বলছেন অর্থনীতি অবস্থা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল, খাদ্যমন্ত্রী বলছেন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন হয়ে গেছে, প্রধানমন্ত্রী বলছেন এত উন্নতি আগে কখনো হয়নি তখন আগের দিন ভাল ছিল একথা মানায় না। সেকারনেই এমন নাম।

তর্কে বহুদুর

Dec 6, 2011
তর্কে বহুদুর যাওয়া যায়। রিক্সা-ট্যক্সি-বাস কিছু প্রয়োজন নেই, তর্ক করুন আর চলে যান। গত দুতিন বছরে সবধরনের যানবাহনের ভাড়া বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। তর্কের খরচ বাড়েই নি, ভ্যাট-ট্যাক্স যোগ করা হয়নি উল্টো আয় বেড়েছে। সত্যি বলতে কি বাংলাদেশে বহু পেশাদার তার্কিক তৈরী হয়েছে টিভি চ্যানেলের কল্যানে। টিভি ক্যামেরার সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা তর্ক করবেন আর ফেরার সময় পকেটে দক্ষিনা নিয়ে যাবেন। রীতিমত গবেষনা করে, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রস্তুতি নিয়ে পেশাদার তার্কিকে পরিনত হন। ক্রমে অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকে, সাথে পসার।

ফকির হওয়া ভাল, রাজা হবেন না

Nov 21, 2011
শরতচন্দ্রের রাজলক্ষী শ্রীকান্তকে বলেছিল, ভাববে একরকম, বলবে আরেক রকম, করবে আরেক রকম। তিনি এটা নিয়েছিলেন সম্ভবত বাংলা প্রবাদ থেকে। বাংলায় প্রবাদ, নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়া ভাল পরের বুদ্ধিতে রাজা হওয়া ভাল না।
এখানে ফকির বলতে অবশ্যই ভিক্ষুক বুঝানো হয়েছে। কারন ফকির শব্দটি অন্য অর্থে ব্যবহার করা হয় যারা ভিক্ষুক নন। লালন শাহকেও ফকির বলা হয়।
মুল কথায় ফেরা যাক। পরের কথা শুনবেন না। সমাজে থাকবেন, সকাল-বিকাল দেখা হলে রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি সব নিয়ে কথা বলবেন, দেখা না হলে মোবাইল ফোনে হাই-হ্যালো করবেন। তিনি যা বলেছেন সেকথা ভুলেও মানবেন না। কিছু করতে বললে সেটা বাদদিয়ে বাকি সবকিছু করবেন। নিজে যে কাজ করবেন সেকথা বলবেন না। বরং যেকাজ করার কোন সম্ভাবনা নেই সেকথা জানাবেন।

চুরি করুন, কাজ করবেন না

Nov 20, 2011
চুরি সম্ভবত মানবসমাজের সবচেয়ে প্রচীন কাজগুলির একটি। মানুষ যখন শিকার করে জীবিকানির্বাহ করত তখন যার সেটা করার সামর্থ্য ছিল না তাকে চুরি করতে হত। অন্যের সম্পদে ভাগ বসাতে হত গোপনে। চুরি বলতে অবশ্য না বলে সরানো বুঝায় না, রীতিমত বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের দখলে আনা বুঝায়। চোরে দক্ষতা এতই বেশি যে প্রবাদ তৈরী হয়েছে, পুলিশের চেয়ে চোর বুদ্ধিমান। আর এর ফল হচ্ছে, সমাজের উন্নতির সাথে সাথে পুলিশ যেমন বেড়েছে তারসাথে পাল্লা দিয়ে চোরও বেড়েছে। পরে দলেই পাল্লায় ভারি। আর পুলিশ আর চোরের পার্থক যে কি সেটাও অস্পষ্ট। কে কাকে চালায় সেটাও বোঝা কঠিন। পরিচিত একজনের মন্তব্য, গাড়ি চুরি হওয়ার ভয় নাই। এসআই মোখলেস গাড়ি চোরের রাজা।

গন্ডারের চামড়া

Nov 19, 2011
বাংলাদেশ থেকে গন্ডার বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগে। যদিও এমন না যে গন্ডারের চামড়া থেকে ভালকিছু হয় কিংবা মানুষ গন্ডারের মাংশ খায়। কারন যাই হোক, গন্ডার নেই এটাই কথা। দেখতে ইচ্ছে হলে চিড়িয়াখানায় গিয়ে বিদেশী গন্ডার দেখতে হয়। তারপরও গন্ডারের চামড়া শব্দটা থেকে গেছে। থেকে গেছে অনেক গল্প। একেবারে প্রচলিত গল্প দিয়েই শুরু করা যাক।
দুবন্ধ গেছেন বনে। তখনো গন্ডার ছিল এমন বনে। একসময় গন্ডারের সামনাসামনি পড়ে গেল এবং গন্ডার তাড়া করল। একজন দৌড়ে পালাল ঠিকই আরেকজনের সেটা সম্ভব হল না। আর কোন উপায় না দেখে একটা গাছে উঠে রক্ষা পেল। মনে ইচ্ছে, গন্ডারটা বিদায় হলে নেমে বাড়ি ফিরবে।

জনপ্রিয় হবেন না

Nov 12, 2011
বাংলাদেশে জনপ্রিয় ব্যক্তির যে কমতি নেই সেটা টিভি খুললে কিংবা খবরের কাগজে চোখ রাখলেই দেখা যায়। প্রতিদিন, প্রতি মুহুর্তে সাক্ষাতকার। জনপ্রিয় ব্যক্তিদের জনপ্রিয়তা নিয়ে একটাই বক্তব্য, ওটা ভাল জিনিষ না। একজন বললেন গরুর হাটে যেতে খুব ইচ্ছে হয় কিন্তু জনপ্রিয়তার কারনে যেতে পারেন না। কে জানে গরুও যদি চিনে গুতো মারতে আসে। আরেকজন আবার বললেন উল্টোকথা। তিনি নিজে গরুর হাটে গিয়ে গরু কিনেছেন। জনপ্রিয়তার কারনে সুবিধে পেয়েছেন কিনা সেটা অবশ্য বলেননি।
কাজেই জনপ্রিয় ভাল জিনিষ না খারাপ জিনিষ এনিয়ে বিতর্ক করতে পারেন। বিতর্ক অত্যন্ত মুখরোচক বিষয়। খাওয়া-ঘুম বাদ দিয়েও চালিয়ে যাওয়া যায়, এই পক্ষ না ওই পক্ষ, এইদল না ওই দল।

গরুর কদর

Nov 7, 2011
বিবিসি অনেক সময় অদ্ভুত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান করে। কাজ না থাকলে যা হয় আর কি। এমনই এক অনুষ্ঠান, গরু না থাকলে পৃথিবীটা কেমন হত।
আপনি খুব ভাল করেই জানেন কি হত। গরু না থাকলে আপনি শিক্ষিত হতেন না। ইংরেজি বলুন আর বাংলা বলুন, রচনা লেখা শুরু করতে হয় গরু দিয়ে। চারখানা পা, দুখানা শিং আর একখানা লেজ আছে এই লিখে। যদিও অনেকের আপত্তি আছে তাতে। কোন প্রানীর লেজ থাকতে পারে অথবা না থাকতে পারে। যদি থাকে তাহলে একটাখানাই হয়, একাধিক লেজের কোন প্রানী নেই। কাজেই গরু লেজবিশিষ্ট প্রানী লেখাই যথেষ্ট হতে পারত।
বিবিসির হিসেব একটু অন্যরকম। তাদের প্রধান বক্তব্য গরু না থাকলে আমেরিকানরা আমেরিকান হত না। মানে বিশ্বের সেরা ধনী দেশ হত না। টাকাপয়সা যা আয় করেছে সেটা ওই গরু পুষেই। অবশ্য তারা অকৃতজ্ঞ না। কাউবয় শব্দটা এখনো সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। বরং ঢাকা শহরের কোন কোটিপতিকে যদি রাখাল বলেন তাহলে অপঘাতে মরার সম্ভাবনা আছে। তাদের চৌদ্দশ পুরুষের মধ্যে কেউ ওই জঘন্য কাজ করতেই পারেন না।

আমরাও পারি

Nov 2, 2011
বাঙালী পারে না এমন কাজ সম্ভবত নেই। যে অর্থেই বুঝুন না কেন, বাঙালী দেখাতে পারে। অন্তত যারা ১০ হাজার টাকার ল্যাপটপ দেখতে চেয়েছিলেন তারা সেটা দেখেছেন। সবগুলি সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হয়েছে আর প্রধানমন্ত্রী সেটার উদ্বোধন করে বলেছেন, আমরাও পারি।
আমরাও পারি কথাটির মধ্যে নির্দিষ্ট কাজের উল্লেখ করা হয়েছে। দোয়েল নামের ল্যাপটপ নিজেদের তৈরী, এটাই সেই নির্দিষ্ট কাজ। এর ৬ শতাংশ যন্ত্র দেশেই তৈরী হয়েছে। আগামী ৬ মাসে ৬০ শতাংশ তৈরী হবে। যদি নিতান্তই বাচাল হয়ে থাকেন তাহলে আরেকটু আগ বাড়িয়ে বলতে পারেন, ৬ মাসে ৬০ শতাংশ, ১০ মাসে শত শতাংশ। ইন্টেল-এএমডিকে দেখিয়ে দেব আমরাও পারি।

কোটি টাকায় বাচুন

Oct 30, 2011
বেসরকারী টিভি চ্যানেলের একজন জনপ্রিয় সাংবাদিকের কাছে চাদা চাওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এত গুরুত্বপুর্ন একজন ব্যক্তির খবর গোপন থাকে না। খবরটা প্রকাশ পেয়েছে। উত্তরে তারকাছে খামে ভরে দুখানা বুলেট পাঠানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ কি করেছে সে প্রশ্ন করবেন না। কদিন আগে আরেকজন মহিলা থানায় গিয়েছিলেন চাদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। তার সামনেই থানার কর্মকর্তা মোবাইলে ফোন করলেন সেই চাদাবাজের কাছে। তাদের নাম্বার থানার সবার জানা এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর ফোনে হাই-হ্যালো করাটাও যে সকাল-বিকেলের রুটিন তাকেও সন্দেহ নেই। সেটা দেখার বিষয়ও না। দেশ চালাতে হলে সবাইকে সাথে নিয়ে গনতান্ত্রিকভাবে চলতে হয়। সরকারের হাতে একদিকে পুলিশ-র‌্যাব আরেকদিকে এলাকার বঢ়ভাই, এরাই তো সরকারের ক্ষমতা।
দেখার বিষয় হচ্ছে কোটি টাকা। বাংলাদেশে কোন টিভি সাংবাদিক কোটিটাকার মালিক হন না। বিবিসির সাংবাদিকের মন্তব্য অনুযায়ী সম্ভবত বিশ্বের কোনদেশেই হন না। ৫ কোটি টাকা তিনি দেবেন কোথা থেকে ?
নিতান্তই সরকারবিরোধী হলে বলতে পারেন কারন আসভে অন্যখানে। তিনি প্রায়ই টকশো পরিচালনা করেন, নানারকম আজেবাজে কথা বলেন, দেশের-সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করেন। তাই ওইসব পাড়ার ভাইদের মাধ্যমে একটু বার্তা পৌছানো। তারাও জানে ৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে না।
কথাটা কিছুটা বিশ্বাসযোগ্য তো বটেই। টাকা যদি না থাকে তাহলে দেবেন কোথা থেকে ? খটকা লাগল আরেক ঘটনার সাথে মিল দেখে।

আধ্যাত্বিকতাই সম্বল

Oct 14, 2011
সমাজের যেখানে শুরু প্রতিবাদের শুরুও সম্ভবত সেখানেই। যখন পশু শিকার মানুষের একমাত্র জীবিকা ছিল তখনও নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হত। কেউ বলতেন আমারই নেতা হওয়া উচিত। তখন সমাধান ছিল তুলনামুলক সহজ। শক্তিপরীক্ষায় যে অন্যকে পরাজিত করত সেই নেতা হওয়ার যোগ্যতা লাভ করত। ক্রমে সেখানে পরীবর্তন হয়েছে। একসময় দেখা গেছে নেতার যোগ্যতা শুধুমাত্র শক্তিতে  পরিমাপ করে ভাল ফল পাওয়া যায় না। নেতৃত্বের জন্য মেধা, বুদ্ধি, অভিজ্ঞতা এসবও প্রয়োজন হয়। তখন দৃষ্টি দেয়া হয়েছে বয়স্কদের দিকে। কোন কোন সমাজে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিকে নেতা মানা হত অভিজ্ঞতার হিসেবে।
কিন্তু প্রতিবাদ তাতে বন্ধ হয়নি। যত গল্প-উপন্যাস-সিনেমা-নাটক সব ওই নেতৃত্ব পাবার লড়াই নিয়েই। কিছু মানুষ মনে করে নেতা হওয়ার যোগ্যতা তারই। অন্যকথায় যার হাতে নেতৃত্ব তিনি নেতা হওয়ার যোগ্য নন। কাজেই প্রতিবাদ।

লংকায় সবাই রাবন

Oct 9, 2011
বাংলাদেশ অনেক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী সত্যি বলতে কি এগুলো একসাথে করলে রীতিমত মহাকাব্য লেখা যায় সেই জটিলতায় গিয়ে কাজ নেই বরং যা নিয়ে দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি চিন্তিত, মাথায় চুল ঝড়ে যাচ্ছে কিংবা রং লাগিয়ে কালো করতে হচ্ছে সেটা নিয়েই থাকা যাক
স্বাধীন বাংলাদেশের ৪ দশকের ইতিহাসে এক বড় দৃষ্টান্ত হচ্ছে কোন সরকার সন্মান নিয়ে ক্ষমতা ছাড়েননি হয় জীবন দিয়েছেন নয়ত গলাধাক্কা খেয়েছেন অন্যের কারনে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে ৪০ বছর ধরে প্রত্যেক সরকারকে কাজেই এটা যে নিয়মে পরিনত হবে তাতে সন্দেহ কি ? মানুষ অভ্যেসের দাস, স্বভাব না যায় মলে এসব কথা তো মিথ্যে হতে পারে না!

কাল্পনিক টক শো

Oct 6, 2011
এই গল্পের সমস্ত চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক, কাহারও সাথে মিল ঘটিলে সেজন্য লেখক দায়ী নন এধরনের ডিক্লারেশন গল্পে-উপন্যাসে-নাটকে-সিনেমায় পাওয়া যেত কেন পাওয়া যেত সেটাও আপনার জানা আপনি গল্প লিখে বা নাটক করে ইংরেজদের সমালোচনা করবেন, জনগনকে খেপিয়ে তুলবেন সেটা হবে না কাজেই আইন অনুযায়ী সেটা শাস্তিযোগ্য
১৯৪৭ সালে ইংরেজরা এদেশ থেকে চলে গেছে কারন নিয়ে অনেকে অনেক মত দিতে পারেন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে তাদের ক্ষতি থেকে শুরু করে পরিবর্তিত বিশ্ব সবকিছুই কারন যাই হোক, বাস্তবতা হচ্ছে তাদের বেশকিছু আইন (সামান্য হলেও) পরিবর্তন হয়েছে স্ পিরিবর্তনের সুর ধরে ওই ডিক্লারেশন এখন চোখে পড়ে না আজকাল খোলাখুলি ভাবেই গল্প লেখা যায়
আসলেই কি ?

উল্টোপিঠের দেশ

Oct 3, 2011
ঢেউ বিষয়টি এমন যা একবার তৈরী হলে চারিদিকে ছড়ায়। বাধা দিলে শক্তি বৃদ্ধি পায়। পথে যাকিছু আছে তাকে আলোড়িত করে।
মধ্যপ্রাচ্যের গনআন্দোলনকে ঢেউ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছিল। এদেশ থেকে পাশের দেশ, সেখান থেকে আরেক দেশ। পশ্চিমা মিডিয়াগুলি দিনরাত ক্যামেরা ধরে রেখেছে সেখানে, বিশ্লেষকরা বিশ্লেষন করেছেন। যাক এতদিনে ওই স্বৈরশাসকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেগেছে মানুষ। গাগো জাগো। আমরা আছি তোমার সাথে। গাদ্দাফিকে সরাও, অস্ত্র-অর্থ যা প্রয়োজন হয় সব দেব। সিরিয়ার জনগন জাগো, নেতাকে সরাও। আরব বিশ্ব জাগো, স্বৈরশাসকদের সরাও। কারজাইয়ের মত কাউকে খুজে বের কর। আমরা সবসময় জনগনের পক্ষে। একমাত্র প্যালেষ্টাইন বাদে। সেখানে জনগন বলে কিছু নেই।

গনতন্ত্রের সার্কাস

Oct 2, 2011
বাংলাদেশের স্কুলের পাঠ্যবইতে লিংকনের গ্যাটিসবার্গ এড্রেস পড়ানো হয়। ফল হয়েছে এটাই যে কারো যদি ইয়েস-নো-ভেরি গুড পর্যায়ের ইংরেজিও জানা থাকে সে দিব্বি গনতন্ত্রের সংজ্ঞা আউড়ে যেতে পারে। গনতন্ত্র নিয়ে কথবার্তা উঠলে আবৃতি করে দিতে পারে দুলাইন। আর নির্বাচনের প্রসংগ থাকলে তো কথাই নেই। আমরা দেখে শুনে বুঝে যাচাই করে সত, প্রতিভাবান, দেশপ্রেমিক, যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেব। আগে অনেক ভুল করেছি, আর ভুল করছি না। এবার ভোট দিয়ে গনতন্ত্র হাজির করে ছাড়ব। ব্যাটা যাবে কতদুর ?
সংসদ কতটুকু গনতন্ত্র দেয় সে প্রশ্ন করেছিল গাই ফকস নামে এক বৃটিশ ৪০০ বছর আগে। গনতন্ত্র মানে সুন্দর একখানা বিল্ডিং এ বসে বড়বড় বুলি কপচানো না, জনগনকে পিটিয়ে অনুগত রাখা না। গনতন্ত্র মানে জনগনের উপকার করা। এমন একটা ব্যবস্থা যেখানে জনগন সরকারকে ভয় করে না, সরকার জনগনকে ভয় করে। তার সেই বক্তব্য সে মুখে বলেই ক্ষান্ত হয়নি, রীতিমত বারুদ দিয়ে উড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছিল পার্লামেন্ট বিল্ডিং। জনগনের ওই বিল্ডিং প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন বেচে থাকার মত আশা।

ডিজিটাল পুলিশ

Sep 28, 2011
আপনি যদি ঢাকা শহরে ফার্মগেট এলাকায় যায় এবং ধাক্কা-গুতো-ট্রাফিকজ্যাম এড়িয়ে ওপরদিকে তাকানোর সুযোগ পান তাহলে জ্বলজ্বল ডিজিটাল বানী দেখতে পাবেন, ‌পুলিশের বৈধ আদেশ মেনে চলুন
ফার্মগেট এলাকায় থেকে একথার মর্ম উদ্ধার করা কঠিন সত্যি বলতে কি পুরো বাংলাদেশে যেমন ট্রাফিক জ্যাম এবং গুতোগুতির মধ্যে থাকে তাতে এধরনের বানী মস্তিস্কে প্রবেশ করার মত অবস্থা থাকে না তারপরও যদি কোনভাবে সেটা ঘটেই যায়,
আপনি হয়ত ভাবতে শুরু করলেন কথাটার মানে কি পুলিশ বৈধ আদেশ দিলে মানতে হবে, অবৈধ আদেশ দিলে না মানলেও চলবে তারমানে আগে হিসেব করতে হবে আদেশটা বৈধ না অবৈধ বাস্তবে বিষয়টা ঘটবে কিভাবে
পুলিশ আপনার কাছে ঘুষ চাইলে সেটা নিশ্চয়ই অবৈধ (কারনে-অকারনে তারা সেটা চাইতেই পারে কটাকাই বা বেতন পায় বেচারা) সেটা দেবেন না পুলিশ ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনাও ঘটায় তখন তাদের কথা মানবেন না ফল হিসেবে আপনার নামে ছিনতাই-ডাকাতির মামলা দেয়া হবে সেই মামলার তদন্তও করবে পুলিশ কেমন যেন গোলমেলে ঠেকছে বিষয়টা

ফাউ ইনকাম

Sep 25, 2011
রাব্বানা আটানা ফির দুআনা দশ আনা, একে একসময় ফাউ ইনকাম বলা হত সামনে হাত (অথবা থালা) বাড়িয়ে এধরনের কিছু কথা আওড়ালে পাওয়া যায় একে ফাউ ইনকাম বলা যুক্তযুক্ত কিনা ভেবে দেখা প্রয়োজন
কেউ যখন সিড়ি বেয়ে চারতলায় উঠে বলেন হাটতে পারি না, সাহায্য দেন তখন আপনাকে মনে করতেই হয় কাজটা খুব সহজ না হাটতে না পেরেও চারতলায় উঠেছে হাটতে পারলে চল্লিশ তলায় উঠতেও আপত্তি ছিল না রীতিমত কষ্ট করে আয়, একে ফাউ বলবেন কেন ?
একসময় অফিসেব বাড়ি আয় হলে তাকেও বলা হত ফাউ ইনকাম, কিংবা উপরি ইনকাম কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি এজন্য কত মেধা খরচ করতে হয় বহু টাকা খরচ করে, নেতা-মন্ত্রী ধরে বসার যায়গা পেতে হয় এগুলি অগ্রিম বিনিয়োগ তারপর প্রতিনিয়ত চোখকান খোলা রাখা, কখন কোন ফাইল কতটুকু নড়ল, কার হাতে কত দিতে হবে সব জটিল জটিল হিসেব নিউটনের ক্যালকুলাস এত জটিল হিসেব মিলাতে হিমসিম খেয়ে যায় তাকে বলছেন ফাউ! এ-যে একেবারে রক্ত পানি করা আয়

মাথার ব্যামো

Sep 23, 2011
তার যে এমন মাথার ব্যামো কেউ কি সেটা জানতো ? প্রশ্ন করেছিলেন সুকুমার রায়
কেউ জানত না কারন মাথার ব্যামো দেখা যায় না কোন কারনে প্রকাশ ঘটলে লক্ষন দেখে সেটা সম্পর্কে ধারনা করা যায় যেমন দেখাল সামনে দাড়ানো ওই লোকটা
বেশ নাদুস নুদুস চেহারা, শান্তশিষ্ট মুখ, গোবেচারা ভঙ্গিতে দাড়িয়েছিল দেখে মনে হতে পারে কয়েক ঘন্টা দাড়িয়ে থাকলেও তার কোন পরিবর্তন হবে না কিন্তু পরিবর্তন ঘটল সামনে একটা বাস দেখা গেল এগিয়ে আসছে আর তখনই তার মাথার ব্যামো চাগিয়ে উঠল পড়িমড়ি করে একটা দৌড় দিল, একজনকে ধাক্কা দিয়ে ঘুরিয়ে দিল, তারপরের জন্যকে উল্টে ফেলল কোনদিকে বিন্দুমাত্র ভ্রক্ষেপ না করে বাস থামার আগেই হাতল চেপে ঝুলে পড়ল

চাদের উল্টোপিঠ

Sep 19, 2011
বিজ্ঞানীরা বলেছেন আমরা সবসময় চাদের একপিঠ দেখি এই একটা দিকেই আমরা ১৬ কলার খেলা দেখতে পাই, আরেকপিঠ সবসময় দৃষ্টির আড়ালে থাকে
বিজ্ঞানীদের কথা অবিশ্বাস করা যায় না বহুধরনের প্রমান তাদের হাতে চাদের একপিঠ দেখেই আমরা সন্তুষ্ট বাস্তব জীবনে আমরা যাকিছু দেখি, যেভাবে দেখি সেখানে বিষয়টা এত সরল না সেখানেই তৈরী হয় বিপত্তি
ডব্লিউ ডব্লিউ ই খুব ভাল একটা উদাহরন একদিকে আন্ডারটেকার আরেকদিকে ট্রিপল এইচ মনেহয় একে অন্যকে মেরে ফেলবে রীতিমত বিশাল হাতুরি দিয়ে কিংবা একদিকে র‌্যান্ডি অরটন আরেকদিকে সি এম পাংক
এটা রিংএর মধ্যে, কখনো রিংএর বাইরে তারা যেখানে যান সাথে ক্যামেরাও যায় কিংবা আগেই ক্যামেরা অপেক্ষা করে তারা গোপনে কি শলাপরামর্শ করছেন সেটা জানানোর জন্য

টম এন্ড জেরি

Sep 17, 2011
টম আর জেরির কীর্তি দেখতে কেনা পছন্দ করে যে শিশুর দাত ওঠেনি সে থেকে শুরু করে যে বৃদ্ধের সব দাত পড়ে গেছে আর এদের মাখানে দাতঅলা যত, সকলেই একজন আরেকজনকে তাড়া করছে অপরজন কখনো প্রানের ভয়ে পালাচ্ছে, কখনো উল্টো কৌশল খাচ্ছে ইংরেজিতে বলে ট্রিক অর ট্রিট
আপনি নিশ্চয়ই এত বোকা নন যে বক্তব্য কি সেটা বোঝেননি এরই মধ্যে বুঝে গেছেন জীবন মানেই ট্রিক অর ট্রিট কৌশলে বাচবেন অথবা পালাবেন যত গল্প, উপন্যাস, নাটক, সিনেমা সবার বক্তব্য একই এক পক্ষের সাথে আরেক পক্ষের বিরোধ এর ইতিহাস কতটা পুরনো যদি জানতে চান সেটাও জানিয়ে গেছেন ডারউইন এর শুরু যুগের শুরু থেকে পারলে টিকে থাকুন নইলে বিলুপ্ত হয়ে যান, এটাই প্রানের ইতিহাস মাঝামাঝি কিছু নেই
কোন কোন মানুষ ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেন কারো কাছে ওসব সাইন্স ফিকশন, কারো কাছে গাজাখুরি (গাজার বদলে হিরোইন শব্দের প্রচলন হলে ভাল হত), কারো মতে আবার ওটাই বাস্তবতা

ছড়ায় ছড়ায় ডিজিটাল

Sep 15, 2011
শিশুদের ছড়া মুখস্ত করানোর পদ্ধতি কেন প্রচলন করা হয়েছিল সেটা হয়ত বিশেষজ্ঞরা ভাল বলতে পারবেন হয়ত এতে স্মরনশক্তি বৃদ্ধি পায় ছন্দে ছন্দে কোন বিষয়কে গেথে রাখা হয় মস্তিস্কে এমনভাবে যা বাকি জীবনে মুছে যায় না সেইসাথে মস্তিস্ককে ব্যস্ত রাখা হয় নির্দিষ্ট কাজে মস্তিস্ক সতেজ হয় মস্তিস্ক বিষয়টি অন্যান্য যন্ত্র থেকে আলাদা সব যন্ত্রই ব্যবহার করলে ধার কমে, মস্তিস্ক ব্যবহার করলে আরো ধারালো হয় যদি মস্তিস্ক অন্য যন্ত্রের নিয়মে চলত, ব্যবহার না করলে টাটকা থাকত তাহলে বলা যেত বাঙালীর মস্তিস্কের মত টাটকা আরকিছু নেই সেটা কখনো ব্যবহার হয় না

পৃথিবীর চেয়ে বাড়ি বড়

Sep 12, 2011

সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে বিশাল আলোচনার বিষয় ঘটে গেছে বহু বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন সাথে কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
যদি সরকারপ্রধানের অন্যদেশ ভ্রমন কিং দুই সরকারপ্রধানের শীর্ষ বৈঠকের অন্যান্য খবরের সাথে তুলনা করেন তাহলে আপনি এরই মধ্যে জেনেছেন মুল আলোচনার থেকে বহুগুন বেশি আলোচনার বিষয়বস্তু তৈরী হয়েছে এই কারনে কারনটাও খুব সামান্য
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শেষ মুহুর্তে জানিয়েছেন তিনি সফরের সঙ্গি হচ্ছেন না এই সফরের একটি মুল বিষয় ছিল দুদেশের মধ্যে প্রবাহিত তিস্তা নামের নদীর পানি কোন দেশ কতটুকু ব্যবহার করবে সে নিয়ে চুক্তি আগেরদিন ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হল এই চুক্তি হবে না আরেকটি বিষয় ছিল বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের পন্য পরিবহনের সুযোগ দেয়ার চুক্তি শেষ মুহুর্তে বাংলাদেশ জানাল এই চুক্তি হচ্ছে না ফল হিসেবে মুল আলোচনা ছড়িয়ে পড়ল নেতা থেকে দুদেশের জনগনের মধ্যে

বানরের হাতে লাঠি দেবেন না

Sep 7, 2011
তামাসা সবাই পছন্দ করে বাঙালী সম্ভবত একটু বেশিই আর যদি নেতাগোছের কেউ হন, অন্যের ওপর তামাসা করা তখন অধিকারে পরিনত হয়
এনআইডর কথাই ধরুন না কেন শুরু হয়েছিল ছবিসহ ভোটার আইডি হিসেবে আপনি যদি ভোটার হন, অন্যকথায় বয়স যদি ১৮ বছর হয় তাহলে নাম লেখানোর সুযোগ পাবেন নিজের ছবিসহ একটা কার্ড পাবেন তারসাথে যোগ করা হল, এই কার্ড দেখালে সাথেসাথে ব্যাংকএকাউন্ট, পাশপোর্ট ইত্যাদি সব কাজ হবে বিবর্তনের ফলে সেটাই হয়ে দাড়াল এনআইডি আপনার পরিচয় ওটাই ১৮ বছর বয়স যখন হবে, নিজের ণাম বাপের নাম মায়ের নাম হাতের ছাপ পায়ের চাপ সবকিছু দিয়ে একটা কার্ড হাতে পাবেন তখন আপনি বাংলাদেশের নাগরিক যদি সেটা হাতে না থাকে ব্যাংকে যাবেন না, মোবাইল ফোনে হাত দেবেন না, ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না এতদিন বলা হয়েছে এটা বাধ্যতামুলক না এখন বলা হচ্ছে সেটা বাধ্যতামুলক এর পেছনের ব্যক্তিরা নিশ্চিত হয়েছেন বস্তুটা সকলের হাতে আছে পুরনো কথার জের টেনে বলতে হয়, বাংলাদেশে সকলের বয়স এখন ১৮ এর ওপর

রাজনীতি করবেন না

Sep 2, 2011
বাংলাভাষায় আতেল বলে সুন্দর একখানা শব্দ আছে যারা আতেল তারা জ্ঞানগর্ভ কথা বলেন কেউ যখন বলেন ঈদ নিয়ে রাজনীতি করবেন না তখন নিষ্চিত জানবেন তিনি আতেল ঈদের মহাত্ব তিনি বোঝেন যারা বোঝেন না তাদেরকে সেটা বোঝানোর দায়িত্ব নিয়েছেন
আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশে আতেলের সংখ্যা অত্যন্ত বেশি ইদানিং বাড়ছে হুহু করে বন্যার পানির মত আতেল হওয়ার জন্য উপযোগি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে নিষ্চয়ই চারিদিকে আতেলের বানী, লাশ নিয়ে রাজনীতি করবেন না, সাধারন মানুষের দুঃখকষ্ট নিয়ে রাজনীতি করবেন না, ক্ষমতার রাজনীতি করবেন না এই তালিকা অনেক দীর্ঘ্য যুক্তিবিদ্যার হিসেবে যদি বিপরীত হিসেব করেন তাহলে হয়ত একটামাত্র কথা বলা হয় না, রাজনীতি নিয়ে রাজনীতি করবেন না কিন্তু সে কথাই কি ধোপে টেকে ?

চোর ভাল না ডাকাত

Aug 27, 2011
প্রতিযোগিতা খুব ভাল জিনিষ। আপনি অন্যকে ছাড়িয়ে যাবেন আর মেডেল-পুরস্কার জিতবেন। বোল্টের মত দৌড়েই হোক আর টাইসনের মত ঘুসি মেরেই হোক। ঘুসিতে না পারলে কান কামড়ে ধরবেন। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকাই কথা।
চোরে চোরে নিশ্চয়ই প্রতিযোগিতা হয়। তাদের মধ্যেও খ্যাতিমান-নির্বোধের বিষয় আছে। যার প্রতিভা যত বেশি তার কদর বেশি। কোচিং সেন্টারে বেশি ছাত্র পান, বেশি বেতন নেন। ডাকাতির ক্ষেত্রেও হয়ত তাই। হয়ত বলতে হচ্ছে কারন তাদের প্রকাশ বা প্রচারনায় ঘাটতি। তারা যদি পত্রিকা বের করত কিংবা টিভি চ্যানেল খুলত, নিদেন পক্ষে ওয়েবসাইট চালু করত তাহলে জানতে সুবিধে হত।
সেটা যখন হচ্ছে না তখন অনুমান ছাড়া গতি কি ?

ভালমন্দের দিনবদল

Aug 24, 2011
অনেকে বলেন আধুনিক গনতন্ত্রের প্রবক্তা ইতালীর মেকিয়াভেলী। গনগন্ত্রের সংজ্ঞা তৈরী করে দিয়েছেন তিনি। সেই ইতালীর মুসোলিনি যখন বিশ্ব দখল করতে লিবিয়া যান তখন একজন সাধারন মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ২২ বছর ধরে তারসাথে পেরে ওঠেনি আধুনিক সমরাস্ত্রের পশ্চিমা বাহিনী। তারপর, একসময় তিনি ধরা পড়েন, ফাসিতে ঝুলানো হয় তাকে।
এনিয়ে হলিউড একটা ছবি তৈরী করেছে লায়ন অব দ্য ডেজার্ট নামে। বিশ্বখ্যাতি লাভ করেছে সেই ছবি। আর গনতন্ত্রের প্রবক্তা ইতালীতে সেই ছবি আজও দেখানো হয় কিছু অংশ বাদ দিয়ে।
অনেকের মতে আসলে গনতন্ত্রের কথা বলার কৃতিত্ব বৃটেনের বেকনের। তিনিই বিশ্বকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত। খুব বেশিদিনের কথা না যখন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গাদ্দাফির তাবুতে নৈশভোজ খেলেন। মুল আলোচনার বিষয় ছিল গাদ্দাফি তাদের যুদ্ধবিমান টর্নেডো-টাইফুন কিনবেন। সেটা হয়নি। তারপর যখনই কিছু মানুষ গাদ্দাফির বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিল সাথেসাথে সেই টর্নেডো-টাইফুন মিসাইল ছুড়তে শুরু করল লিবিয়ায়।

রাজনীতির জামা

Aug 22, 2011
বাংলাদেশে আলোচনার বিষয় একটাই। কে বেশি দুর্নীতিবাজ, বিএনপি না বর্তমান সরকার। আপনি এর বাইরে যাবেন কিভাবে ? আবর্জনার মধ্যে বাস করবেন আর নাকে দুর্গন্ধ লাগবে না তা-কি হয় ?
কাজেই অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে আপনিও সুর ধরুন, আগের সরকার দেশের সর্বনাশ করে গেছে, কিংবা বর্তমান সরকার দেশকে শেষ করে দিচ্ছে। অবশ্যই কোন একপক্ষ নেবেন। চোখ যখন একটা।
কোন মন্ত্রী কি বলেছেন সেকথা বলে আর কতই বা আবর্জনা ঘাটা যায়। বরং কেন বলেন সেপ্রশ্ন করার সময় হয়েছে। অনেকের কাছেই সেটা রহস্য, ওই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ওই অর্থমন্ত্র, ওই বানিজ্য মন্ত্রী, ওই যোগাযোগ মন্ত্রী যাদেরকে প্রতিমুহুর্তে বলা হচ্ছে দয়া করে নরম গদিটা ছাড়ুন, তারা তত জেকে বসছেন। এটা সম্ভব হচ্ছে কিভাবে। আরো নতুন নতুন মন্ত্রী যোগ দিচ্ছেন তাদের দলে। রেলমন্ত্রী নতুন করে যোগ দিয়ে বলেছেন রেলে যা উন্নতি হয়েছে তা গত ১০০ বছরে হয়নি। আর পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে এক-তৃতিয়াংশের বেশি রেল ষ্টেশন বন্ধ। এর বেশিরভাগ বন্ধ হয়েছে গত আড়াই বছরে। রাজপথে খানাখন্দ দেখে যারা রেলে যাতায়াতের কথা ভেবেছিলেন তাদের সেগুড়ে বালি। রেল পরিস্কার জানিয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না (সপ্তাশ্চর্যের মতই ঘটনা যেখানে কেউ এধরনের কথা স্বিকার করে)।

দর্শককে কি করতে বলেন

Aug 20, 2011
জন রাসকিন নামে এক বৃটিশ ভদ্রলোক বহু বছর আগে একখানা বই লিখেছিলেন তার সময়কার অর্থনীতি বিষয়য়ে। অর্থনীতির বই না, অর্থনৈতিক সমাজব্যবস্থা নিয়ে। বর্তমানে বইটির খবর বের করা কঠিন। অন্তত যারা বাংলা বই পড়েন তারা সম্ভবত কোন সুযোগ পাবেন না।
বইটি সার্বিকভাবে কতটুকু আলোচিত হয়েছিল বলা কঠিন। তবে বিশেষ কিছু ব্যক্তির কাছে গুরুত্বপুর্ন ছিল তাতে সন্দেহ নেই। যেমন ধরুন মোহনদাস করমচাদ গান্ধি এবং লিও টলষ্টয়। একজন দক্ষিন আফ্রিকায় ব্যারিষ্টারী করছেন আরেকজন রাশিয়ার সবচেয়ে দামী লেখক। তারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করলেন বইটির বিষয়ে।
ফল যা হল তা বিশ্বে নতুন উদাহরন সৃষ্টি করল। গান্ধি শ্রমিকদের ধর্মঘটে যোগ দিয়ে শান্তিপুর্ন অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেন। টলষ্টয় বললেন তিনি প্রকাশকের কাছে তার বইয়ের টাকা নেবেন না। উপন্যাসই লিখবেন না বলে ঠিক করলেন। পরিবর্তে লিখতে শুরু করলে উপদেশমুলক উপকথা।

১৯৮৪ : বেটার লেট দ্যান নেভার

Aug 16, 2011
কিছু মানুষ এমন কিছু কাজ করেন যা তাদেরকে যুগ যুগ ধরে অমর করে রাখে। এমন কিছু কথা বলেন যা কখনো পরিবর্তন হয় না, ঘুরেফিরে আসে আর তাদেরকে মনে করিয়ে দেয়। একজন অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন বিশ্ব তার ভারসাম্য রক্ষার জন্য মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি ব্যবহার করে। অন্যকথায়, মানুষ যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে নানাকরনে মানৃষ মৃত্যুবরন করে সমতা রক্ষা হয়। মানুষ একসময় এই তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কলেরা-বসন্ত এসব রোগ যদি থামানো যায় তাহলে মহামারী হবে কিভাবে ? ক্ষমতা মানুষের হাতে।
কাজেই মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে তার তত্ত্ব ভুল। ক্ষমতা মানুষের হাতে। বর্তমান বিশ্ব জনসংখ্যায় ৭০০ কোটি ছাড়িয়ে ৮০০ কোটির দিকে ধাবমান। আর সেখানেই কিছু মানুষ আবার পুরনো তত্বের দিকে ফিরে তাকাতে শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য, চারিদিকে একবার দৃষ্টি দিন তো-
মানুষ বাড়ছে হু-হু করে। জমি কমছে হু-হু করে। গাছপালা কমছে হু-হু করে। ঘুর্নিঝড়, জলোচ্ছাস, ভুমিকম্প নিত্যদিনের ঘটনা। এখনো তাত্ত্বিকভাবে বিশ্বের সম্পদ দিয়ে বিশ্বের সকলের খাদ্যপ্রয়োজন মেটানো সম্ভব, আগামী ৫০ বছর পর সেটা সম্ভব হবে না। নিশ্চিতভাবেই কোটি কোটি মানুষকে অনাহারে থাকতে হবে। ফল হলে মারামারি-কাটাকাটি-যুদ্ধ। সেইসাথে প্রাকৃতিক দুযোর্গ এবং ফিরে আসবে মহামারী। যেভাবে হু-হু করে মানুষ বাড়ছে তারচেয়েও দ্রুত মানুষ কমবে। অনেকে হিসেব করে বলছেন এই শতকের শেষে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ২০০ কোটি। বাকি ৬০০ কোটি উধাও।

নিয়তির হাতে দেশ

Aug 14, 2011
সৃষ্টিকর্তার হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। এরচেয়ে খাটি কথা বোধহয় বাংলাদেশে নেই। এর আগের সরকারের সরকারের একজন মন্ত্রী তো লঞ্চ দুর্ঘটনার পর বলেই বসলেন, জীবন-মৃত্যু আল্লার হাতে। তার সমালোচনা এখনও থামেনি, সুযোগ পেলেই তখনকার বিরোধীদল, বর্তমানের সরকারীদল সেকথা শুনিয়ে দেন।
মানুষ দিনবদলের জন্য ভোট দিয়েছে মহাজোটকে। ভোটে দিয়ে একেবারে পাহাড়ের চুড়ায় উঠিয়েছে। আর দিনবদল তারা করেছেন। এখন দেশ চলছে নিয়তির নির্দেশে। মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাবে কিনা নেটা নির্ভর করে তার কপালে মৃত্যু আছে কিনা। কদিন আগে একদল স্কুলশিশু জীবন দিল। সারা দেশে ৩ দিনের শোক। খবরে জানা গেছে কোন এক স্কুল শোক পালন করতে স্কুল বন্ধ না করায় শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আরকিছু না থাক জয় বাংলার লোক না হলে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। অনেকে হয়ত ভাবতে শুরু করেছিলেন কিছু একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু লাউ সবসময়ই কদু। কয়েকটা মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বাস মালিকেরা। কারন রাস্তা চলাচলের উপযোগি না। এরই ওপর খবর এল বাংলাদেশের দুজন খ্যাতনামা ব্যক্তি মারা গেছেন গাড়ির ধাক্কায়।
এই মৃত্যু নিয়ে উল্লেখ করার প্রয়োজন ছিল না। প্রতিদিন বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। আরো যাবে। কিন্তু এই দুজন এমনই ব্যক্তিত্ব যারা নিজেদের পরিচিতি তৈরী করেছেন নিজের কীর্তি দিয়ে। এমন ব্যক্তির সংখ্যা বাংলাদেশে খুব বেশি নেই।

আর কি দেখার আছে

Aug 12, 2011
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ফ্লপ মেরেছে বহু আগে। একসময় রমরমা ব্যবসা ছিল যে নাট্যশিল্পের, যেখানে লাখো মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে সেটাও ধ্বংশের মুখে। কারন আরকিছু না, প্রতিদ্বন্দিতা। মানুষ রসালো কিছু চায়। সংবাদমাধ্যম এতটাই রসালো সংবাদ দিচ্ছে যে তারকাছে নাটকের নাটকিয়তা তুচ্ছ। ওসব দেখে কে ?
ট্রাফিক পুলিক মোটর সাইকেল চালকের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পিটিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা এসব ছোটখাট খবরে আজকাল মানুষের মন ভরে না।  তাদেরও অর্ভেস হয়ে গেছে ধারাবাহিকে। রেমাঞ্চকর বনর্নায়। লিখেই হোক আর টিভি ক্যামেরার সামনেই হোক। তারাও প্রত্যাসা পুরন করছেন ভালভাবেই।

থামাবে কে

Aug 11, 2011
এ্যনা বালথাজার আমেরিকান-ইহুদি তরুনী। তার শখ হল প্যালেষ্টাইনের মানুষ কিভাবে থাকেন নিজের চোখে দেখবেন। একদিকে আমেরিকান অন্যদিকে ইহুদি, তারপক্ষে কাজটা খুব কঠিন ছিল না। ৫ মাস কাটালেন প্যালেষ্টাইনে। ছবি উঠালেন। তারপর সেগুলি একসাথে করে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ননা করে তৈরী করলেন ভিডিও ডকুমেন্টারী। নাম লাইফ ইন অকুপাইড প্যালেষ্টাইন।
তার ডকুমেন্টারীর বর্ননা দেয়া প্রয়োজন নেই। নিতান্ত দুএকটি বিষয় ছাড়া।

হাত থাকতে মুখে কেন

Aug 9, 2011
অনেক সময় মনে হয় এটাই শেষ। আর এনিয়ে কথা বলব না। কিন্তু কথা না বলে উপায় কি ? ঘটনা যখন প্রতিদিন ঘটছে। একদিনের ঘটনা আগের দিনের থেকে চিত্তাকর্ষক। সমস্ত চেতনা যখন ঢেকে থাকে সেই ঘটনায়।
ছয জন ছাত্রকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে পিটিয়ে তারনামে ডাকাতি মামলা দেয়া হয়েছে, এক কিশোরকে জনতার হাতে তুলে দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে, তাকেও বানানো হয়েছে ডাকাত। এসব নিত্যদিনের খবর। ক্রশফায়ারের খবর কিচুটা কমেচে, সেইসাথে বেড়েছে অন্য ধরনের খবর। পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হল এক যায়গা থেকে, লাশ পাওয়া গেল আরেক জেলায়। কে মেরেছে কেউ জানে না। কারো দায় নেই।
আসলে বাংলাদেশের কোন কিছুরই দায় কারো নেই। প্রধামন্ত্রী নবীর পর্যায়ে চলে গেছেন। তিনি উপদেশ দেন। ব্যবসায়ীদের উপদেশ দেন লাভ কম করতে, চিকিতসকদের উপদেশ দেন গরীবদের বিনামুল্যে চিকিতসা দিতে, শিক্ষকদের উপদেশ দেন সুশিক্ষা দিতে। মুল দায়িত্ব অন্যদের। তারা যদি দায়িত্বপালন না করেন সেই দায় তারওপর দেবেন কেন ? তিনি তো জাতির জনক কন্যা।

পুলিশ খুন করে না

Aug 8, 2011
আজ থেকে বহু বছর আগে, এদেশ যখন ইংরেজরা শাসন করত তখন তাদের ইচ্ছে হয়েছিল এই জাতির বৈশিষ্ট সম্পর্কে জানার প্রতিটি জেলার মানুষকে বিশ্লেষন করে তাদের বৈশিষ্ট খুজে এক রিপোর্ট তৈরী করেছিল গ্রান্টের রিপোর্ট নামের সেই রিপোর্টে যা বেরিয়ে এসেছিল সেটা ভয়াবহ মানুষ অসত, প্রতিহিংসাপরায়ন, অকৃতজ্ঞ, ঠগবাজ, হঠকারী, লোভি, জালিয়াত, মিথ্যাবাদী, ঘুষখোর, নিজের লাভের জন্য পরের ক্ষতি করে, পরের ক্ষতিতে আনন্দলাভ করে, পরের সম্পত্তি দখল করে, কাজে ফাকি দেয়, আদালতে মিথ্যে সাক্ষি দেয় ইত্যাদি যতরকম সম্ভাব্য খারাপ লক্ষন আছে সবই উল্লেখ করা হয়েছে মানুষ এককভাবে ভিতু, সম্মিলিতভাবে ভয়ংকর একথা উল্লেখ করলে সেই সমাজ সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা তৈরী হয় না
এসব নিশ্চয়ই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের সহজ-সরল-কর্মঠ মানুষের এবং দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্ঠা যেমনটা ইদানিং করেছে ইকনমিষ্ট ওরা সবসময়ই বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চায় ছলে-বলে-কৌশলে এদেশ দখল করে রেখেছিল দুশো বছর এখনও লোভ যায়নি

তলাহীন সমাজ

Aug 7, 2011
বাঙালী নিজেকে যতই বীর হিসেবে বর্ননা করুন, তিতুমীর-সুর্যসেনকে নিজেদের পুর্বপুরুষ হিসেবে প্রকাশ করুক, অন্যদের চোখে বাঙালী সবসময়ই নিরীহ জাতি সে বৈশিষ্ট পুরোপুরি লোপ পেয়েছে মনে করারও কোন কারন নেই এখনও দুদলে মারামারি লাগলে কেউ আগ বাড়িয়ে সেটা থামাতে যায় না, যতক্ষন নিজের লাভক্ষতির বিষয় না থাকে সবসময়ই নির্ঝঞ্ঝাট জাতি হিসেবেই পরিচিত এরই মধ্যে একবার ভিন্নরূপে দেখা দিল বাঙালী সারা বিশ্ব কাপিয়ে দিল একেবারে খালিহাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করল সারা বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখল এক জাতিকে যারা জ্বলে-পুড়ে-মরে ছাড়খাড় তবু মাথা নোয়াবার নয়
নতুন বাংলাদেশ নিয়ে সারা বিশ্বের তাই প্রশংসা আর আগ্রহের কমতি ছিল না যেদিন রেসকোর্স ময়দানে রাজাকারের বিচারের দিন ঠিক করা হল সেদিন সারা বিশ্বের সাংবাদিকরা হাজির হয়েছিলেন নতুন বাংলাদেশের গতি দেখতে রক্তের নদীতে যে দেশের জন্ম সেই দেশের মানুষ কিভাবে নিজেদের পথ ঠিক করে জানতে।

পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!

Aug 6, 2011
পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করছেন ? আপনে কেডা ? খোজ খবর রাখেন ? আইজকার খবর দ্যাখছেন ?
ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্দেহে তারা ধানমন্ডির এক বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়িতে গৃহকর্তা ছিলেন না (নিশ্চয়ই গোপনসুত্রে খবর পেয়ে পালিয়েছেন)। বাড়িতে পুলিশ ১২টি ইয়াবা ট্যাবলেট পেয়েছে এবং ইয়াবা ব্যবহারকারী সন্দেহে গৃহিনী, তার দুই সন্তান সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এরপরও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন! মাথা ঠিক আছে ?
বরং সাংবাদিককে কিছুটা গালাগালি করতে পারেন, ব্যাটাগো আজ নাই কাম নাই খালি উলুক ভুলুক খবর। ধরছে তো ধরছে। এই নিয়া মাথা ঘামায় ক্যাডা ?

দেশটাকে সোজা করে ধর

Aug 4, 2011
সেই দুই মাতালের কথা কি মনে আছে ?
টালমাটাল অবস্থায় বাড়ি ফিরছে দুজন। বাড়িতে তালা লাগানো। একজন চাবি বের করে তালা খুলতে চেষ্টা করল। চাবি কিছুতেই তালায় ঢোকে না। অপরজন বলল, তোর পা টলছে। চাবিটা আমার কাছে দে।
তার উত্তর, আমি ঠিক আছি। বাড়িটা টলছে। তুই বাড়িটা সোজা করে ধর।
আইনষ্টাইনের আপেক্ষিতকতার সুত্র অনুযায়ী কথাটা তো ঠিকই। আপনি মনে করছেন আপনি চুপ করে দাড়িয়ে আছেন কিন্তু পৃথিবীটা যে বনবন করে ঘুরছে, সাথে আপনাকেও ঘুরাচ্ছে সেখবর কি রেখেছেন ? দিব্বি চারিদিকের সাথে তুলনা করে বলছেন আপনি চুপ করে দাড়িয়ে আছেন।
অনেকেই সবকিছু নিয়ে অসন্তুষ্ট। রীতিমত সবকিছু নিয়েই। বাড়িভাড়া, গাড়িভাড়া, খাবার দাম, খাবারে ভেজাল, রাজনীতি অর্থনীতি, ধর্ম, শিক্ষাব্যবস্থা এমনকি সংবিধান নিয়েও অসন্তুষ্ট। বাংলাদেশের সংবিধানে নাকি মৌলিক বিষয় বলে কিছু বিষয় আছে। এটা সংবিধান বিশেষজ্ঞদের কথা, আমার ওপর দোষ চাপাবেন না। আমি সংবিধান লংঘনের মত দেশদ্রোহি নই।

ভাল থাকার নয়া কৌশল

Jul 27, 2011
ভাল থাকতে কে-না চায় সবাই বলে সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন আরো কিকি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। যাতায়াতের জন্য মাইল দশেক হাটা উপকারী হলেও বাস্তবে সেটা সম্ভব হয় না, কিছু একটা বাহন প্রয়োজন হয়। আর গাছতলায়ও থাকতে পারেন না, কোথাও থাকতে হয়। এজন্য বাড়িভাড়া দিতে হয়। সরকার বলছেন আপনি মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করলে আপনার আয়ের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারকে ট্যাক্স দেবেন। বাস্তবে আপনি যখন ১৫ হাজার টাকা আয় করছেন তখন সেই টাকায় থাকার যায়গা হচ্ছে না। শুধুমাত্র বাড়িভাড়া দেয়ারজন্যই এরসাথে আরো টাকা যোগ করতে হচ্ছে। এরপর রিক্সা-বাস-ট্যাক্সি যাই বলুন না কেন, সেটা যোগ হচ্ছে। আজকাল বাসভাড়াও শতটাকা, রিক্সাভাড়া আরো বেশি, ট্যাক্সিভাড়া হিসেবের বাইরে।
আপনি না খেয়ে থাকবেন না। সরকার দাম বেধে দিয়ে অনেককিছুর। সেইদামেও যদি কেনেন তাতেও হাজার টাকার নোটে কুলায় না। কাজেই ভাল থাকতে হলে নয়া কৌশল না খুজে উপায় কি ?

পাগল বলে কি আপন পর বুঝি না

Jul 24, 2011
মোল্লা নাসিরুদ্দিন একবার বস্তাভর্তি গম গাধার পিঠে চাপিয়ে রওনা দিলেন সেগুলি ভাঙিয়ে আটা বানিয়ে আনবেন। তার এক প্রতিবেশি এসে বলল, ভাই নাসিরুদ্দিন, এরসাথে আমার একই গম টুকু যদি ভাঙিয়ে এনে দাও তাহলে খুব ভাল হয়। আমি অন্য কাজের জন্য যেতে পারছি না। হোজ্জা বললেন, ঠিক আছে।
দুজনের গত নিয়ে হোজ্জা চলেছেন। একজন সঙ্গিও আছে সাথে। হোজ্জা মাঝেমাঝে প্রতিবেশির বস্তা থেকে গত নিয়ে নিজে বস্তায় রাখছেন। তার সঙ্গি বলল, ওকি হোজ্জা মশাই। এক বস্তার গম আরেক বস্তায় রাখছেন কেন ?
হোজ্জা বললেন, আমার মাথায় একটু গড়মিল আছে। অনেক সময় উল্টাপাল্টা কাজ করি।
তার সঙ্গি বলল, তাহলে নিজের বস্তার গম অন্য বস্তায় রাখছেন না কেন ?
হোজ্জার উত্তর, পাগল বলে কি আপন পর বুঝি না!

আমাদের এক মহান রাষ্ট্রপতি আছেন

Jul 20, 2011
বিশেষন ব্যবহারের বেশকিছু রীতি আছে। আমি ব্যাকরনের কথা বলছি না, বাস্তব ব্যবহারের কথা বলছি। যদি ছাত্র উল্লেখ করেন তাহলে বিশেষন হচ্ছে মেধাবী। যদি গ্রামের মানুস উল্লেখ করেন তাহলে উল্লেখ করবেন সহজ-সরল। যদি ধর্নীয় বিষয় হয় উল্লেখ করবেন পবিত্র। সেকথা সংসদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদি সাংসদ, মন্ত্রী এদের বিষয় থাকে তাহলে বলবেন মাননীয়। আর সবাইকে ছাড়িয়ে যদি রাষ্ট্রপতি পর্যায়ে যান তাহলে বলবেন মহামান্য।
বাংলাদেশে এটাই আইন। আপনি রাষ্ট্রপতি ছাড়া কাউকে মহামান্য বলতে পারেন না।
কাজেই সেই মহামান্য ব্যক্তি মহান হবে এটাই তো স্বাভাবিক। অন্য কারো যে ক্ষমতা নেই সেই ক্ষমতা তার আছে। জজ কোর্ট, হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট যদি হার মানে তাহলে তারকাছে ধর্না দেবেন। অন্তত খুন করেও মৃত্যুদন্ড থেকে বাচার এটা সবচেয়ে নিরাপদ এবং প্রমানিত পদ্ধতি।

নিজের ঘরে এডভেঞ্চার

Jul 19, 2011
একজন মানুষ নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করে যাচ্ছে এমন রোমাঞ্চকর দৃশ্য দেখতে খুবই ভাল লাগে। ড্রইংরুমে বসে দেখবেন ভুমিকম্প, ঘুর্নিঝড়, জলোচ্ছাস, আগ্নেয়গিরি কিংবা পারমানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই। তারপর বলবেন, আহা কি চমতকার। এটাই তো মানবজাতির পরিচয়। এভাবেই তো আদিমানব জাহাজ-নৌকা ছাড়াই সাগরপাড়ি দিয়েছে, এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে গেছে, এক মেরু থেকে আরেক মেরুতে গেছে, এভারেষ্টের চুড়ায় উঠেছে।  আজও করছে। ওইতো মুসা-মুহিত এভারেষ্টের মাথায় উঠেছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে।
ঘরে বসে হাই ডেফিনিশনে এসব দেখার মজাই আলাদা। খরচ তো বেশি না। ৫০ টাকা হলেই ডিভিডি কেনা যায়। টিভিটার দাম একটু বেশি এই যা। সাথে হোম থিয়েটার সাউন্ড। মনে হবে ঘটনার মধ্যেই বসে দেখছি। যারা এসব তৈরী করেন তারাও জানেন মানুষ কি পছন্দ করে। কোটি ডলার ব্যয় করে তৈরী করেন একেবারে পছন্দসই দৃশ্য।

বাংলাদেশে জনসংখ্যা কমছে

Jul 16, 2011
আজকাল পত্রিকা-টিভি-অনলাইনে অনেকেই খারাপ খবর শুনতে শুনতে বিরক্ত হেলপার গাড়ি চালিয়ে ৪৭ জন স্কুলছাত্রকে পানিতে ফেলে মেরেছে, শিক্ষক ছাত্রী ধর্ষন করেছে থেকে শুরু করে রাজনীতির খবর, কোথাও ভাল কিছু নেই সবাই (বকারাম সহ) উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে মাঝেমাঝে সরকার যখন বলেন বর্তমানের মত এত উন্নত অর্থনীতি ইতিহাসে কখনো ছিল না তখনো কিছু মানুষ ঘাড়বাকা করে বলে এমন দুর্মুল্যও কখনো ছিল না যখন বলেন এমন গনতন্ত্র আগে কখনো ছিল না তখনো তাদের বক্তব্য এত নির্লজ্জ দলীয়করন আগে ছিল না যখন বলেন এত ভাল আইনসৃংখলা পরিস্থিতি আগে কখনো ছিল না তখন বলেন আগে পুলিশের পরিচয় পুলিশই ছিল, ছাত্রলীগ ছিল না যখন বলেন বিদ্যুত ব্যবস্থার সমাধান হয়ে গেছে তখনও বলেন ঢাকার বাইরে বিদ্যুত মাঝে মাঝে যায় না, মাঝেমাঝে আসে এমনকি অর্থমন্ত্রী যখন বলেন শেয়ার বাজার স্থিতিশীল, ভাল করছে তখনও অনেকে বলেন এটা আরেক ধাক্কা একমাসে বিও হিসেব বন্ধ হয়েছে সাড়ে ৫ লক্ষ, তারপরও শেয়ার বিক্রির রেকর্ড ধন্য ধন্য

কীর্তিমানের কীর্তি

Jul 15, 2011
বকারামের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা হচ্ছে;
বিষয়টি বকারামের বকা সম্পর্কিত। অধিকাংশ মানুষ (ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যারা কোনভাবে বকারামের সাইটে ঢুকে পড়েন) রাবারের বলের মত ছিটকে বেরিয়ে যান। গুগল এই ছিটকে বেরিয়ে যাওয়াকে বলে বাউন্স। যিনি সাইটে ঢুকে পরমুহুর্তেই চলে গেছেন। এটাই বলে দেয় বকারামের বকাবকি অধিকাংশের কত অপছন্দ।
তারপরও কেউ কেউ কিছুটা ধৈয্য ধরে দেখার চেষ্টা করেন, কেউ কেউ নিয়মিত। সেকারনেই এখনও বকাবকি থামেনি। যদিও থামার সম্ভাবনা যথেষ্ট।
এভাবে শুরু করার অর্থ হচ্ছে, সবাই বকাবকি করেন না। অত্যন্ত গুছিয়ে, ইতিহাসের রেফারেন্স ব্যবহার করে, অভিধান থেকে শব্দ খূজে তবেই যথার্থভাবে প্রয়োগ করেন। তারা কীর্তিমান। আর কীর্তিমানের কথা সবাই শোনে।
আজকের কাগজখানাই দেখুন না। অনেক কীর্তিমানের ছবিসহ তাদের বক্তব্য ছাপা হয়েছে। বিষয়ওটিও অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। কেবলমাত্র উচুমানের শিক্ষিত হলে তবেই মর্মে প্রবেশ করে। বিষয়টি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা।
বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মরিপেক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এদেশে কেবলমাত্র মুসলমান বাস করে না যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলার রাখবেন। অন্য ধর্মের যারা আছে আদেরও অধিকার সমান। কাজেই সংবিধানে সেকথা থাকতে হবে।
একটু পুরনো দিনের কথা দিয়েই কারনটা ব্যাখ্যা করা যাক। ৪৭ এর দেশবিভাগের সময় মস্ত দাঙ্গা হয়েছিল। ভারত থেকে ট্রেনভর্তি লাশ পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানে, পাকিস্তান থেকে ট্রেনভর্তি লাশ পাঠানো হয়েছে ভারতে। আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশ এলাকায় (পুর্ব পাকিস্তান) এধরনের কিছু ঘটেনি।

রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের নাম পাল্টান

Jul 14, 2011
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার কে এনিয়ে কোন সন্দেহ থাকা অনুচিত। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান হিসেবে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেই তিনি জনগনের ভোটে সর্বশক্তিমান হয়েছেন। কাজেই দাবীটা তার একারই। তারপরও সামান্য একটু বিষয় থেকে যায়। ইদানিং নোবেল পুরস্কার কথাটা বেশ ঘনঘন শোনা যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যানে বাঙালী জাতি আরেকবার ওই সৌভাগ্যের সুযোগ পায় তাহলে সেটা নিয়ে টানাটানি ভাল দেখায় না। একবারই যথেস্ট টানাটানি হয়েছে।
কথাটা বলতে হচ্ছে কারন এখানে একজন প্রতিদ্বন্দি রয়েছে। তিনি অনেক বছর ধরেই ডিজিটাল ডিজিটাল বলে হাহাকার করছেন। মাল্টিমিডিয়া বিশেষজ্ঞ হিসেবে একবার দেশের সবাইকে মাল্টিমিডিয়া শেখানোর জন্য এখানে-ওখানে-সেখানে স্কুল খুলেছিলেন। সেটা ফ্লপ করেছে বটে, তিনি মাল্টিমিয়া বিশেষজ্ঞ খেতাবটিও ব্যবহার করেন না। পরিবর্তে যা ব্যবহার করেন সেকারনেই সন্দেহ। টিভিতে নিয়মিত অনুষ্ঠান করেন, নিয়মিত পত্রিকায় কলাম লেখেন, স্কুলের টেক্সট বইতেও তার লেখা পড়ানো হয়। আর নামের সাথে ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ইত্যাদি। শংকাটা সেকারনেই।

বাঙালীর নৃতত্ত্ব এবং না-তত্ত্ব

Jul 13, 2011
বাঙালীর বয়স মোটামুটি হাজার-এগারশ বছর। এর আগে এই অঞ্চলে মানুষ বাস করলেও তারসাথে বাঙালী কিংবা বাংলা এইজাতিয় শব্দগুলি ছিল না। বাঙালীর নৃতত্ত্ব নিয়ে খুববেশি গবেষনা কেউ করেননি। অন্তত বাজারে বই খুজতে গেলে পাবেন না। যে দুচারজন্য করেছেন এটা তাদেরই বক্তব্য। কাজেই যদি খুত ধরতে চান তাহলে তাদের খোজ করবেন।
তারা বাঙালীর বর্ননা করেছেন বাঙালীর মতই। বাঙালী কেমন ?
তারা লম্বাও না বেটেও না। গায়ের রং কালোও না ধলাও না। নাক বোচাও না উচুও না। চুল কোকড়ানোও না সোজাও না। যাকিছু বর্ননা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন তার সবকিছুকে না বলবেন, তারপর যা অবশিষ্ট থাকে সেটাই বাঙালী।

পালানোর পথ নেই

Jul 10, 2011
বাংলাদেশে এখন খবর বলতে একটাই, আন্দোলন আর হরতাল। লাঠিপেটা আর গাড়ি পোড়ানো। এই আগুনের তাপে বাজারে যে আগুন লেগেছে সেটাও চাপা পড়েছে। সমাজের উচু থেকে নিচু পর্যন্ত সবার মুখে ওই একই কথা, হরতালে দেশের সর্বনাস হচ্ছে নয়ত আরো হরতাল চাই। এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির অবসান চাই নয়ত এই একদলীয় ব্যবস্থার অবসান চাই। দুপক্ষের গলাই জোড়ালো।
এখন দুপক্ষ বলাও কঠিন। আসলে বহুপক্ষে জট পাকিয়ে গেছে। সরকার এবং তার সমর্থকরা যখন জানাচ্ছেন সকলের সাথে পরামর্শ নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে এই প্রথমবার রাতের বদলে দিনে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, গনতন্ত্র রক্ষা করা হয়েছে, দেশকে অবৈধ ক্ষমতার হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে তখন বিপক্ষ শিবির পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে। সবার সাথে আলোচনা করে সবার মত নিয়ে যদি সংবিধান সংশোধন করা হয় তাহলে প্রতিবাদ করছে তারা কারা। ওখানে যে শুধু বিরোধী দল নেই, ইসলামি বলে রীতিমত একটি জোট রয়েছে, আবার সরকারের মহাজোটের অংশও রয়েছে। তারা একবার সংশোধনের মত দিল আবার রাস্তায় নেমে পুলিশের লাঠিপেটা খেল এটা কিভাবে সম্ভব?

নিরপেক্ষতার বাজার ভাল

Jul 9, 2011
কেউ কেউ কবি নয় সকলেই কবি, কথাটার মানে কি ঠিক জানা নেই। এর বক্তব্য কি এই যে কবি হিসেবে কাউকে পৃথক করা প্রয়োজন নেই কারন সকলেই ওই দলে। তাহলে প্লেটোর কথা অনুযায়ী সবাইকে রাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে হয়। তিনি সেটাই চেয়েছিলেন। তাদের সাথে কারাপ আচরন করবেন না, ভালভাবেই বলবেন, আমার আদর্শ রাষ্ট্রে কবির প্রয়োজন নেই।
কবির প্রয়োজন না থাকলেও ব্যবসায়ীর প্রয়োজন অবশ্যই আছে। ব্যবসার মুল আদর্শের কারনেই হোক আর বাস্তবিক কারনেই হোক। আদর্শিক কারন হচ্ছে জনগনকে সেবা দেয়া। আপনি জাপানী জিনিষ কেনার জন্য জাপান যেতে পারেন না। ব্যবসায়ীর কাজ হচ্ছে জাপান থেকে জিনিষটি এনে আপনার কাছে পৌছে দেয়া এবং বিনিময়ে কিছু লাভ করা। আর বাস্তবিক কারন হচ্ছে লাভ করা। যেকাজে লাভ সেকাজ করবেন, যেভাবে লাভ বেশি সেভাবে করবেন। কখনো বেশি এনে লাভ বেশি, কখনো গুদামে জমা করে লাভ বেশি।

বিনা টিকিটের দর্শক

Jul 8, 2011
টিভি দেখতে টিকিট কাটতে হয় না। কোনমতে এটা টিভির সংস্থান করতে পারলে বিনে পয়সায় দেখা যায়। টিভির শোরুমের সামনে দাড়ালে বিশাল টিভিও দেখা যায় বিনে পয়সাতেই। ব্যক্তিগতভাবে নিজে টিভি দেখার ভক্ত নই। এমনকি খবরও না। কখনো টিভির সামনেও যাওয়া হয় না। তারপরও প্রযুক্তি যখন সুবিধে দিয়েছে তখন রাতে ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে ল্যাপটপে খোজ করা যায়, কোথাও খেলা সরাসরি দেখাচ্ছে কিনা। বিনে পয়সায় ষ্টেডিয়ামের ভেতর দেখা যায় যখন। আর তখনই, এক চ্যানেল থেকে আরেক চ্যানেলে যাওয়ার পথে অন্য দৃশ্যও দেখা যায় ফাও হিসেবে।

বাঘে-মোষে লড়াই করে

Jul 7, 2011
বাঘে-মোষে লড়াই কথাটা কিভাবে চালু হয়েছে বোঝা কঠিন অন্তত বাস্তব যুক্তিতে মেলে না বাঘ থাকে সুন্দরবনে, সেখানে মোষ নেই কোনকালে হয়ত ছিল, বর্তমানে যে নেই সেটা শতভাগ নিশ্চিত বর্তমান বাংলাদেশে মোষ নামের যে প্রাণী দেখা যায়, যার মাংশকে গরুর মাংশ বলে চালানো হয়ে সে নিতান্তই গোবেচারা প্রাণী গরুর থেকেও নিরীহ বাঘের সাথে লড়াই করতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না
আবার লড়াই করা মোষ রয়েছে আফ্রিকায় তাকে ভয় করে না এমন প্রাণী নেই শক্তিতে পেরে ওঠে এমন প্রানীও নেই তার সাথে বাঘের লড়াই কথাটাও মানায় না কারন সেখানে বাঘ নেই অন্তত আমরা যাকে বাঘ বলি সেটা হতে পারত মোষে-সিংহে লড়াই কিন্তু আফ্রিকার মোষ এমনই প্রাণী যে নিতান্ত অনাহারে মারা যাওয়ার অবস্থা না হলে সিংহও তার ধারেকাছে যায় না
যেভাবেই হোক কথাটা চালু হয়েছে বাংলাদেশে বাঘ এবং মোষ কোনভাবে লড়াই শুরু করেছে আর যেখানে লড়াই করছে সেখানকার লতাপাতা জীবন দিচ্ছে তারা না পারে এই পক্ষে যোগ দিতে না পারে ওই পক্ষে
এদিকে লড়াইও থামার লক্ষ নেই কোন পক্ষ জেতে না, কোন পক্ষ হারে না

বাংলাদেশে বেকার নেই

Jul 6, 2011
সুখবরটা প্রথমে দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী, বাজেটের সময়। তার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লক্ষ। শতকরা ৫ এর নিচে। অর্থনীতির হিসেবে একে স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া হয়। কাজেই বাংলাদেশে বেকার বলে কিছু নেই।
কথাটা একেবারেই ঠিক। দেশর অধিকাংল মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জরিত। সবচেয়ে বেশী মানুষ জরিত কৃষি এবং মস বিষয়ক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে। আর কে-না জানে সবাইকেই একাজ করতে হয়। চাকরী করুন আর ব্যবসা করুন, চুরি করুন আর টেন্ডারবাজি করুন, শেয়ার ব্যবসা করুন আর ছিনতাই করুন, বাচতে হলে খেতে হয়। দিব্বি পকেটে টাকা নিয়ে চাল-মাছ কিনতে হয়। একে কি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বলে না!
টাকা কোন পথে কতটা পাওয়া গেল তাতে কিছু যায় আসে না। হাতে টাকা আসা অর্থ আপনি বেকার নন। ভিক্ষুক বহু টাকা আয় করে, অনেক চাকুরের চেয়েও বেশি। তাকে বেকার বলবেন কেন ? আর চাদাবাজি করে যদি কোটিপতি হওয়া যায় তাকেই বা বেকার বলবেন কোন সাহসে।

লাঠির দিকে হাত বাড়াবেন না

Jul 5, 2011
বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতি বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। অন্তত আমেরিকান-ইউরোপিয়ানদের মত নিজের স্বার্থ নিয়ে জীবন কাটান না। বরং নিজের স্বার্থ বাদ দিয়ে রাজনীতির স্বার্থ দেখেন। ব্যবসা প্রতিস্ঠান বন্ধু রেখে, অফিস কামাই করে, কারখানা বন্ধ রেখে মিছিলে যান। এত সচেতনতা আর পাবেন কোথায়!
ইদানিং সচেতনতা যে আরো বেড়েছে তাতেও সন্দেহ নেই। শেয়ার বাজারের সুচকের চেয়েও দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এরজন্য কোন সুচকের ব্যবস্থা নেই বলে গ্রাফ দেখা সম্ভব হচ্ছে না, কিন্তু যদি পত্রিকা কিংবা টিভি দেখেন তাহলে গ্রাফ প্রয়োজন হওয়ার কথা না। নাটক নির্মাতারাও ফেল মেরে যাচ্ছেন টক শো নির্মাতাদের কাছে। দুপক্ষের দুজনকে দাওয়াত করে এনে দুপাশে বসিয়ে দিন, ব্যস। ঘন্টার পর ঘন্টা অবিরাম সচেতনতাবর্ষন। মাঝেমাঝে বিজ্ঞাপনের জন্য দুচার মিনিট বিরতি।

বিবি গোলামের বাক্স

Jul 1, 2011
একসময় নাম ছিল সাহেব বিবি গোলামের বাক্স। ধারাবহিকভাবে উপস্থিত হতেন সাহেব, তারপর বিবি তারপর গোলামগন। সাহেব যখন সাহেবত্ব হারালেন তখন পরিনত হল বিবি গোলামের বাক্সে। এই বিবি নয়ত ওই বিবি, এই গোলাম গন নয়ত ওই গোলামগন। সাথে একই গোলামগন। চিড়িয়াখানা সম্পর্কে সেই কথাটা মনে আছে কি। সেখানে নানারঙের বাঘ আসে, লম্ফঝম্প করে, একসময় বিদায় হয়। খাচা খাচাই থাকে। বিবি-গোলামের বাক্সও ঠিক তেমনি। বিবি বদল হয়, গোলাম বদল হয়, বাক্স বাক্সই থাকে।
অন্য কোন ব্ক্স যদি প্রতিদ্বন্দি হয় তাহলে সেটা বন্ধ করতে হয়। সেটাও হয়েছে। একটা বাক্স প্রতিদ্বন্দিতা করেছিল কিছুদিন। সেটা বন্ধ হয়েছে এক বিবির আমলে। অনেকে আশা করেছিলেন বিবি বদল হয়ে হয়ত আবারও বাক্স খুলবে। সেটা হয়নি। তারও ভয়, যদি শেষমেশ মুল বাক্সের প্রতিদ্বন্দিতা শুরু করে। তারচেয়ে বাবা বন্ধই থাকো। দুর থেকে দেখো। বিবিসি তাদের জড়িপে বলেছে ওই বাক্স সবচেয়ে জনপ্রিয়। ওর তুলনা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, মুল বাক্সের মত যোগ্য গোলাম কি সবখানে থাকে ?

ভুল করলে ভুল হয়

Jun 29, 2011
সত্যজিত রায় একখানা গল্প লিখেছিলেন এক ব্যক্তিকে নিয়ে। তিনি যা করেন তাতেই অন্যদের সমস্যা তৈরী হয়। এমন না যে তিনি কারো ক্ষতি চান, ক্ষতি হয়। গল্পের বিস্তারিত উল্লেখ না করে শেষটুকু উল্লেখ করাই যথেষ্ট, তিনি মারা গেলেন তার এক আত্বীয়ের বিয়ের দিনে। এরথেকে বড় ভুল আর কি হতে পারে।
মানুষ কেন ভুল করে এনিয়ে নানারকম ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন পশ্চিমা সমাজবিজ্ঞানী-দার্শনীকেরা। সেটা পশ্চিমের বিষয়। এদেশে এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই কারোই। একসময় একজন সমাজবিজ্ঞানী গবেষনা করে বাঙালী এবং চীনাদের মধ্যে খুব মিল পেয়েছিলেন। দুদেশের মানুষই নাকি নিজের দেশে অলস, অন্য দেশে কঠোর পরিশ্রমী। দুদেশের মানুষই চাপের মধ্যে ভাল কাজ করেন। অন্য কথায় দৌড়ের ওপর থাকলে এদিক ওদিক খোচাখুচি করেন না।

বকিশনে আর খবরদার-

Jun 27, 2011
সোডার বোতল খুললে ফসফসিয়ে রাগ করে কেন এ প্রশ্নের জবাব পাননি সুকুমার রায়। সেটা বহু আগের কথা। তখন নিশ্চয়ই মানুষ এসব বিষয় নিয়েও মাথা ঘামাত। আজকাল এসব প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামানোর ফুরসত নেই। অনেকের ঘেই গরমে-লোড সেডিং এসি চলে। কখনোই মাঘা ঘামে না। যাদের সেটা নেই তাদের রয়েছে মাথা ঘামানোর নানা গুরুত্বপুর্ন বিষয়। একেবারে রাজকীয় বিষয়। কে রাজা হবেন, কে সভাসদ হবেন এইসব। এর বাইরে চিন্তা করার কোন বিষয় নেই। কাজেই বকারামকেও আর সবকিছু ছেড়ে এনিয়েই কথা বলতে হয়।
অনেকদিন আগেই বকারাম একবার উল্লেখ করোছল আগামী রাজকার্য কিভাবে চলতে যাচ্ছে। জামাত রাজাকারের দল, ইসলামি চরমপন্থি দল। বাংলাদেশে ওদের যায়গা হতে পারে না। বিএনপি অগনতান্ত্রিক দল। গনতান্ত্রিক দেশে অগনতান্ত্রিক দল থাকতে পারে না। আবার একদলীয় গনতন্ত্র কথাটা ভাল শোনায় না। অন্তত বিরোধী দল থাকতে হয়। অন্তত জাপা যতদিন মহাজোটের সদস্য ততদিন সেটা অগনতান্ত্রিক দল হতেই পারে না। বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করেছিল। এরশাদ সেটা করেনি। তার ওপর কদিন আগে তার মামলা বাতিল করেছে আদালত। কাজেই এরশাদ বিরোধী দলের আসনে সভাসদ হিসেবে বসতেই পারেন। বেশ গনতন্ত্র চর্চ্চা হয়।
প্রশ্নটা আসলে অন্য যায়গায়।  অনেকটা সুকুমার রায়ের গোলকধাধার মতই।

মাতব্বরী ভাল জিনিষ

Jun 25, 2011
মাতব্বরী করতে কে-না পছন্দ করে। একজন শিশু যদি হাতে টিভির রিমোট পায় সেও সেটা হাতছাড়া করে না। জানে মাতব্বরীর সুযোগ ওখানেই। আর যদি বয়স্ক হয় তাহলে তো কথাই নেই। বয়স যত বাড়ে মাতব্বরী করার প্রবনতাও তত বৃদ্ধি পায়। অন্যান্য দেশে বয়স্কদের বলা হয় সিনিয়র সিটিজেন। তারা জীবনের অনেক বছর পার করেছেন, অনেক অভিজ্ঞতা। কাজেই তারা মাতব্বরী করবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাদের আলাদা করে চিনে রাখুন। পোড়া দেশে বয়স্কদের আলাদাভাবে চেনা প্রয়োজন হয় না। কারন বয়স বাড়লে অভিজ্ঞতা-জ্ঞান-সন্মান এসব বাড়ে না। বরং শরীরের শক্তি কমে। চুলে পাক ধরে, দাত পড়ে যায়, হাতে-পায়ে বল কমে। বনে যেমন বুড়ো বাঘের কদর নেই তেমনই অবস্থা হয়।
সেই অবস্থা দুর করার জন্য সহায়ক হচ্ছে মাতব্বরী।

রাতকানা ভাল নাকি দিনকানা

Jun 24, 2011
চিকিতসাবিজ্ঞান বলে রাতকানা একটি বিশেষ রোগ। তারা দিনের বেলা স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু দেখেন, সুর্য অস্ত গেলে আর দেখেন না। বিদ্যুত থাক বা না থাক, মোমবাতি-চার্জার জ্বালানো হোক বা নাহোক, তারা দেখতে পান না। একমাত্র সুর্য্যের আলোতেই তারা দেখেন।
সৃষ্টিকর্তা এমন অদ্ভুত রোগ কেন সৃষ্টি করেছেন তার ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন। আসলে সৃষ্টিকর্তার কোনকিছুরই ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা তার সৃষ্টের নেই। হয়ত সেকারনেই এই ভ্রান্তি। কিন্তু অন্যভাবে দেখলে, রাতকানা তো সকলেই। দিনরাতে বিষয় বাদ দিয়ে একটু অন্যভাবে দেখুন না কেন।
 

Browse