আশংকা করবেন না

Oct 29, 2010
দুনীতিতে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে না একধাপ পিছিয়েছে বিষয়টি আমার কাছে পরিস্কার না পরীক্ষার ফলে রোল যদি ১ হয় তাহলে আমরা বলি ফাষ্ট বয় এরচেয়ে ভাল কিছু হয় না কাজেই ১৩ থেকে ১২ হওয়া উন্নতি তো বটেই বরং আমরা আমেরিকা থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছি এটাই আপত্তি তা তারা বিশ্বের সবথেকে ধনী দেশ, সবচেয়ে শক্তিশালি দেশ তাদের থেকে পিছিয়ে থাকা মেনে নিতে আপত্তি কোথায়
আমেরিকা থেকে পিছিয়ে থাকা বিষয়টি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে আসলে আমেরিকার মুল ভুখন্ড সম্পর্কে বলা হচ্ছে না আমেরিকা মানে ইরাক-আফগানিস্তান বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তারা এই দুই দেশের দখল নিয়েছেন নিজেদের সমস্ত সামর্থ্য ব্যয় করছেন কাজেই তারা বাংলাদেশের মত দেশ থেকে এগিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক আর সোমালিয়ার কথা নাইবা হিসেবে আনলেন অন্তত ব্লাক হক ডাউন নামের হলিউডি ছবি যারা দেখেছেন তারা জানেন আমেরিকা কিভাবে জীবন বাচিয়ে পালিয়েছিল ওখান থেকে
কথা হচ্ছে, কথা তা না সরকার বলেন ওই টিআই এর রিপোর্টে কোন ভিত্তি নেই আর বিরোধীদলের বক্তব্য, ওরাই বলে দিচ্ছে সরকার কতটা দুর্নীতিবাজ দুর্নীতিকে প্রশাসনিক রুপ দিয়েছে ওইযে, সরকারী দলের লোককে চাকরী না দেয়ায় ডিসি-এসপি পর্যন্ত হটিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন চাকরী দেয়া হবে আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে, টেন্ডারবাজি সরকারের লোকের অধিকার টেন্ডারের জন্য কোন অভিজ্ঞতা-সার্টিফিকেট প্রয়োজন নেই দলের সার্টিফিকেটই যথেষ্ট আর টেন্ডার মানেই টাকা কাজ করতে হয় না, বিল জমা দিলেই চলে। বাজেটের সবচেয়ে বড় অংশ যে ওখানেই উন্নয়ন কর্মকান্ড
আসলে দুর্নীতি সব দেশেই থাকে সবচেয়ে ধনী দেশেও থাকে, সবচেয়ে গরীব দেশেও থাকে বরং দরীদ্র হলেই দুর্নীতি বাড়বে এমন কথা অন্তত পরিসংখ্যান বলে না প্রতিবেশি দেশগুলির মধ্যে ভুটানে দুর্নীতি সবচেয়ে কম, অথচ ওরাই নাকি সবচেয়ে গরীব না খেয়ে থাকলেও ধান্দাবাজি-বাটপারি করে না
কথাটা ঠিক তো বটেই যে খেতে পায় না সে পেট ভরে খেতে চায় তার চাহিদা এটুকুই যদি একবার খেতে পায় তাহলেই চাহিদা বাড়তে থাকে ডাল-আলু ভর্তায় চলবে না, ওইযে কেন্টাকি থেকে যে আলু আসে ওটা চাই দুহাজার টাকার মোবাইল ফোন কি ফোন হল! ওতে কি হাই রেজ্যুলুশন ভিডিও করা যায় ? ডাউনলোড করা যায় ??
কাজেই চাহিদা বাড়তেই থাকে রাবনের মত দশ মাথায় চারিদিকে চোখ রাখে, দুর্গার মত দশহাতে দশদিকে আয় খুজতে শুরু করে আর, সুযোগ তো রয়েছেই চারদলীয় জোট সরকারের সময় নানারকম পথ তৈরী হয়েছিল, মহাজোট সেই পথকে অলিতে-গলিতে পরিনত করেছে হাত বাড়ালেই টাকা টাকা মানেই ক্ষমতা অমুক মেয়েকে আমার পছন্দ, বাধা দেবে কে ? মেরে ফেলব না
কেউ কেউ বলেন স্বাধীনতা পরবর্তী পরিস্থিতি ফেরত আসছে তখন নাকি এটাই ঘটত যাকে পছন্দ তুলে নিয়ে গেলেই হল এভাবেই বিরত্বের পরিচয় অনেকেই বীর হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কেউ আবার বলছেন দেবার আর বাকি কি ? চাকরী পাবার আশা গেছে, ব্যবসা গেছে, জমিজমা যাচ্ছে, জীবন যাচ্ছে। এরপর হয়ত বলতে হবে আমরা ক্ষমতাশীন দলের ক্রীতদাস। দয়া করে দেশে থাকতে দাও তাই থাকি। কাজকম্ম করতেও তো মানুষ লাগে। আমরা সেই ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো। একসময় বিদেশীদের দাসত্ব করতে হয়েছে এখন নাহয় যারা স্বাধীনতা এনেছে তাদের দাসত্ব। পার্থক্য কোথায় ?
কেউ কেউ আশংকা করছেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। বেশি বাড়াবাড়ি নাকি সৃষ্টিকর্তাও মেনে নেন না। কোন একভাবে একহাত দেখিয়ে দেন।
এই আশংকা সম্ভবত অমুলক পুরনো পথে ফেরা, সেটা হয়ত হবে না পাশে ভারত আছে না! তাদের প্রাক্তন সেনাপ্রধান বলেছেন একবার ঢাকার দিকে থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে দিল্লি আর সেভুল করবে না
এটাই ঠিক ভারতের জন্য ট্রানজিট ফি স্থগিত রাখা হয়েছে বাংলাদেশে সাংসদ ভারতে গিয়ে ত্রানসামগ্রী দিয়ে আসছেন দাদা পাশে থাকলে ভয় পাবার কিছু নেই
অমুলক আশংকা করবেন না

মচকাবেন, ভাঙবেন না

Oct 25, 2010
এটা অনেক পুরনো কথা কয়েক হাজার বছর আগে প্রাচীন ভারতের কথা এক বৃদ্ধ প্রশ্ন করলেন, শরীরে সবচেয়ে শক্ত কোন যায়গা তাকে বলা হল, দাত তিনি মুখ হা করে ভেতরে দেখিয়ে বললেন আমার সব দাত পড়ে গেছে কিন্তু জিহ্বা কিছুই হয়নি
দাত পড়ে যায় কারন দাত শক্ত ঝড়ে গাছ ভেঙে যায় কারন গাছ শক্ত লতা ঝড়ে ভাঙে না প্রয়োজনে মচকে যায় বেকে যায়, তেড়িয়ে যায় অনেকটাই সাপের মত যদি কোনভাবে সাপ হতে পারেন তাহলে আর ভাঙার ভয় নেই
সবাই সাপ হতে পারে না সাপ হয় না উদাহরন দেখিয়ে গেলেন শিক্ষক মিজানুর রহমান তার ছাত্রীকে উত্তক্ত করায় তিনি ঘুরে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করলেন আর তার ওপর মোটর সাইকেল চাপিয়ে দেয়া হল তিনি ভেঙে পড়লেন
আপনি বলতেই পারেন সেই মোটরসাইকেল চালকের একজনকে তো গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিচার হবে দৃষ্টান্ত তৈরী করা হবে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই দৃষ্টান্ত তৈরী করেন এই নাটোরেই আরো দৃষ্টান্ত তৈরী হয়েছে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে মারা হয়েছে প্রকাশ্যে টিভিতে দেখানো হয়েছে সেই দৃশ্য দুসপ্তাহের বেশি পেরিয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা তৈরী করছে তাদের নিয়ে ব্যস্ত নারায়নগঞ্জে যারা পৈত্রিক জমি রক্ষায় পথে নেমেছে, গুলিতে জীবন দিয়েছে তারাও আসলে কাজ করছে ওই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা তৈরী করতে। সব ষড়যন্ত্র, সব চক্রান্ত। যারা স্বাধীনতা এনেছে কেউ তাদের ভাল দেখতে চায় না। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলেই রেখেছেন নির্দেশ না মানলে তিনি কি করবেন!
দৃষ্টান্ত দেশে হয়, বিদেশে হয় বর্তমানে হচ্ছে, অতীতে হয়েছে একদিন একজন শিক্ষক খবর পেলেন এক ছাত্রীকে ধর্ষন করা হয়েছে তিনি এতটাই ক্ষিপ্ত হলেন যে নিজেই বিচার করবেন সিদ্ধান্ত নিলেন অপরাধীদের ধরে ফাসি দিয়ে পথের ধারে ঝুলিয়ে রাখলেন অনেকে এতে এতটাই খুশি হল যে দলে দলে যোগ দিল তারসাথে দেখতে দেখতে রাষ্ট্রক্ষমতা পর্যন্ত এসে গেল তার হাতে তিনি দেখিয়ে দিলেন সমাজে শৃংখলা আনা যায়, পপি চাষের মত লাভজনক ব্যবসাও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়
নিশ্চয়ই বুঝেছেন সেই শিক্ষকের নাম মোল্লা ওমর সেই দেশের নাম আফগানিস্তান তার শিষ্যরা তালেব, বাংলা ভাষায় ছাত্র
তালেবান শুনলে গালাগালি করা অনেকেরই অভ্যেস আমেরিকা এটা শুনতে পছন্দ করে ওরা খারাপ বলেই তো ইচ্ছেমত বোমা ফেলা যায়। কিছু সাধারন মানুষ মারা যেতেই পারে। ভুল সবারই হয়। সব তদন্ত করে দেখা হয়। লাদেনপুত্র তাদের নানাকাজে ব্যবহার করেছে, তারা অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যা গনতন্ত্রের পরিপন্থি, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার পরিপন্থি সেইসাথে এটাও ঠিক, সেই মোল্লা উদাহরন দেখিয়েছেন ইচ্ছে থাকলে সমাজে অপরাধ বন্ধ করা যায় খুব দ্রুতই করা যায়
গ্রীষ্মকালের ফতোয়া শীতকালে দেয়া যায় না এক যায়গার উদাহরন আরেক যায়গায় চলে না ইংরেজরা প্রায় দুশো বছর এদেশ শাসন করেছে এখনও আইন বলতে যা বুঝায় তা তাদের তৈরী তারা এদেশের মানুষকে বুঝতে চেষ্টা করেছে, বিশ্লেষন করেছে ফল প্রকাশ করে বলেছে বাঙালী একা ভিতু, দলে ভয়ংকর
বিষয়টা বোঝা কি খুব কষ্টকর ?
আমাদের বিশেষজ্ঞরা টিভিতে বক্তৃতা দিয়ে, সারা দেশ ঘুরে মানুষকে শপথ করিয়ে সবাইকে ভাল বানাবেন আর মিজানুর রহমানের মত কাউকে কথা বলতে হবে একাই জীবন দিতে হবে পাশে কেউ দাড়াবে না কারন অপরাধীরা দলে শক্ত তাদের একতার তুলনা হয় না রাজনৈতিক দলগুলো ওত পেতে থাকে তাদের দলে টানার জন্য। লগিবৈঠা এদের পক্ষেই। এদের বিপক্ষে কেউ লগি-বৈঠা হাতে পথে নামে না। নিজের পায়ে কুড়াল মেরে ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।
মানুষ অভিজ্ঞতা থেকেই শেখে। মিজানুর রহমানকে দেখে এটাই শিখতে পারেন, মচকাবেন, নুয়ে যাবেন। কখনো সোজা হয়ে দাড়াবেন না। তাতে জীবন যেতে পারে।

গনতন্ত্রের যত নিয়ম

Oct 15, 2010
শিরোনাম দেখে কেউ যদি ভেবে থাকেন গনতন্ত্রের পাঠদান করা হচ্ছে তাহলে ভুল করছেন। গনকিন্ত্র কি, কতপ্রকার, কিভাবে পরিধান করতে সেটা আপনারা আমার থেকে অনেক ভাল বোঝেন। অন্তত জরুরী আইনের সময় সেটা ভালভাবেই প্রমানিত হয়েছে। সংবিধান কতদিনের জন জরুরী আইনের অনুমতি দেয় সেনিয়ে কথা উঠেছিল। চারিদিকে রব শোনা গেছে, সংবিধান মানুষের জন্য, মানুষ সংবিধানের জন্য হতে পারে না। কিসের সংবিধান,  পাল্টে ফেলুন। মানুষ রক্ষা করুন। তারা যতদিন খুশি ক্ষমতায় থাকুক। দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন।
অবশ্য সেই গতিপথ পাল্টাতে খুব সময় লাগেনি। কদিনের মধ্যেই আবারো রব উঠেছিল, আমরা গনতান্ত্রিক সরকার চাই। ওসব মোটামাথা মিলিটারী দিয়ে দেশ চলে না। ওরা দেশকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলবে। গনতন্ত্র টেনে আনো, হেইয়ো-
সেই গনতন্ত্রের কথা বলছি।
লোকে বলে (কোন লোকে জিজ্ঞেস করবেন না। এটা কথার কথা), গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধরে রাখে কিছু প্রতিষ্ঠান। প্রথমত বিচার ব্যবস্থা। পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফ বিচারককে বরখাস্ত করে টের পেয়েছিলেন ওখানে হাত দিলে কি হয়। সবকিছু ছেড়েছুড়ে যেতে হল ওই কারনেই। ওরাই বলে দেয় আইনের বক্তব্য আসলে কি। অন্যদের সবাইকে সেটা মানতে হয়। এমনকি জনগনের ম্যান্ডেট পাওয়া সরকারকে, উর্দি পরা সামরিক সরকারকেও।
দ্বিতীয় বিষয়টি প্রশাসন। এটা চাকরী করেন রাষ্ট্রের। যদি জেলা প্রশাসক হন তাহলে তো কথাই নেই। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রের স্বার্থে জেলার প্রশাসন ঠিক রাখার জন্য।
আর কথা বাড়িয়ে কাজ নেই। এই প্রশাসন কি করিলে কি হয় আমরা ভালভাবেই দেখেছি। পাবনার প্রশাসন বলেছিল আমরা সরকারের কথায় চলি না। তারা যাকে বলি তাকেই চাকরী দিতে হবে এটা রাষ্ট্রের পরিপন্থী। চাকরী পেতে চাও, যোগ্যতার পরীক্ষা দাও।
ফল, সরকারের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সারির নেতাকর্মীদের হামলা, ভাংচুর, পরীক্ষা বাতিল। এবং শেষফল, পুরো প্রশাসনের গনবদলী। গনতন্ত্রের সার্থক ব্যবহার এখানেই।
নাটোরের প্রশাসন এত বোকা না। অন্তত পাবনার গনতন্ত্র দেখে শিক্ষালাভ করেছে তো বটেই। জেনেছে ওই বাহিনীর বিপক্ষে গেলে কি হয়। অমুককে পিটিয়ে মারা হয়েছে তো হয়েছে কি! জনসংখ্যা কমেছে। আর জেল-হাজত ওসব তোল ছাত্রদল-যুবদল-জামায়াত-শিবির দিয়ে ভর্তি। আর যায়গা নেই। তার ওপর লীগ ঢোকালে ওখানেই মারামারি খুনোখুনি হবে। তারচেয়ে বরং পৃথক থাক। ওরাও দিনবদলের হাওয়া খাক, আমরা মনের সুখে চাকরী করি।
আর ওদের ধরে মামলা করলে, জেল-ফাসি দিলেই বা কি যায় আসে। ওইযে২০ জনকে ফাসির রায় দিয়েছিল, ওরা তো এখানেই ঘোরাফেরা করছে।
আইন বিষয় আরেকটু জটিল। জটিল না বলে ভীতিকর বলাই ভাল। কখন কার অবমাননা হয়ে যায় বলা তো যায় না। মানের রং কি সেটা আবার জানা নেই।
বরং পত্রিকায় যেটুকু ছাপা হয়েছে সেটুকুই দেখি। খালেদা জিয়াকে ক্যান্টমেন্টে দেড়শ কাঠার বেশি যায়গার (বাপরে!) সরকারী বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। এটা কোর্টের হুকুম।  
ওটা সরকারী যায়গা, মালিকানা মিলিটারীর। তিনি যদিও বাস করছেন ৩ যুগের বেশি সময় ধরে। ওটার দলিল পত্রও নাতি তার নামে। এরশাদ সাব যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন তার নামে লিখে দেয়া হয়েছে।
কে ? স্বৈরাচার এরশাদ! জানেন না সে অবৈধ সরকার। কোর্ট রায় দিয়েছে। সে যাকিছু করেছে সব অবৈধ। তার সময়ে করা দলিল অবৈধ। তার সময়ে জন্ম নেয়া মানুষ অবৈধ ..
গনতন্ত্রের সত্যিকারের চেহারা আসলে এটাই।
 

Browse