হাত থাকতে মুখে কেন

Aug 9, 2011
অনেক সময় মনে হয় এটাই শেষ। আর এনিয়ে কথা বলব না। কিন্তু কথা না বলে উপায় কি ? ঘটনা যখন প্রতিদিন ঘটছে। একদিনের ঘটনা আগের দিনের থেকে চিত্তাকর্ষক। সমস্ত চেতনা যখন ঢেকে থাকে সেই ঘটনায়।
ছয জন ছাত্রকে পিটিয়ে মারা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে পিটিয়ে তারনামে ডাকাতি মামলা দেয়া হয়েছে, এক কিশোরকে জনতার হাতে তুলে দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে, তাকেও বানানো হয়েছে ডাকাত। এসব নিত্যদিনের খবর। ক্রশফায়ারের খবর কিচুটা কমেচে, সেইসাথে বেড়েছে অন্য ধরনের খবর। পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হল এক যায়গা থেকে, লাশ পাওয়া গেল আরেক জেলায়। কে মেরেছে কেউ জানে না। কারো দায় নেই।
আসলে বাংলাদেশের কোন কিছুরই দায় কারো নেই। প্রধামন্ত্রী নবীর পর্যায়ে চলে গেছেন। তিনি উপদেশ দেন। ব্যবসায়ীদের উপদেশ দেন লাভ কম করতে, চিকিতসকদের উপদেশ দেন গরীবদের বিনামুল্যে চিকিতসা দিতে, শিক্ষকদের উপদেশ দেন সুশিক্ষা দিতে। মুল দায়িত্ব অন্যদের। তারা যদি দায়িত্বপালন না করেন সেই দায় তারওপর দেবেন কেন ? তিনি তো জাতির জনক কন্যা।
অনেকে বলেন এমন প্রতিভার তুলনা হয়ত ইতিহাসে নেই। সমস্ত ভাল কাজের কৃতিত্ব তার, সমস্ত দোষ অন্যদের। মন্ত্রীসভায় এমন মন্ত্রী রেখেছেন যাদের একপা তুলে দাড়িয়ে থাকতে বললে বিনা বাক্যব্যয়ে সেটাই করবেন। মাঝেমধ্যে সরকারের কৃতিত্বের কথা প্রচার করবেন। তিনজনকে ডিবির তুলে নিয়ে যাওয়া এবং পরে তাদের লাশ পাওয়ার উত্তরে যেমন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি আগের চাইতে ভাল।
আগের পরিস্থিতি বলতে যদি ৭২-৭৪ বুঝিয়ে থাকেন তাহলে হয়ত ভালই। তারা আবার দেশ বলতে ওই সময়টাই বুঝান। বাকিসময় দেশ ছিল সন্ত্রাসীর হাতে। এভাবে মানুষ খুন না হোক সংবিধানকেই খুন করেছে।
অন্যকোন দিকে না হোক জনসংখ্যায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উপরে। একেবারে ৭ নম্বরে। তারা কি বলছেন ?
তারা কাজ করছেন। একদল সরকারকে গালি দিচ্ছেন। উত্তরে আরেকদল বলছে, আগের সরকার ভাল ছিল কিসে ? বিদ্যুতখানে যে চুরি করেছে, বাপরে ৫ বছরেও সেটা সামাল দেয়া যায়নি। শোনেননি প্রধানমন্ত্রী কি বলেছে। পর্যাপ্ত বিদ্যুত তৈরী করেও সরবরাহে ত্রুটির জন্য দেয়া যাচ্ছে না।
কেউ আবার গালাগালি করছেন দুপক্ষকেই। এরা নিশ্চয়ই তৃতীয় পক্ষ। কিংবা দর্শক। দুপক্ষ খেলছেন, তারা গ্যালারীতে বসে হাততালি দিচ্ছেন। বাংলাদেশ জিম্বাবের কাছে হারল কেন ? ওদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
বিষয়টা ওই পর্যন্তই। দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌছে দেয়া হবে। থ্রিজির লাইসেন্স দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আপনারা আমার সন্মান রাখছেন না। তাড়াতাড়ি কাজ করুন।
বার সবাই সেই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেম করছেন। দিনরাত যখন সামনাসামনি দেখা হয় না তখন বাকিটা পুরন হবে ফেসবুকে। থ্রিজি চালু হলে মোবাইল ফোনেই। তাড়াতাড়ি চালু করেন।
ফেসবুক অন্যদেশের মানুষও ব্যবহার করে। বরং বাংলাদেশের মানুষ থেকে বেশিই করে। মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক দশক দেশ শাসন করা সরকারকে সরানোর আন্দোলন করেছে ফেসবুক ব্যবহার করেই। আমাদের ওসবে কাজ কি ? আওয়ামি লিগ যদি খারাপ করেই থাকে, জনগন যদি সামনে আওয়ামি লিগকে ভোট নাই দেয়, যদি ইলেকশন হয়, যদি বিএনপি দাড়ায় তাহলে হয়ত বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। জনগন ঠিক করবে, আমার মাথা ঘামানোর দরকার কি ?
আমার মত কি জানতে চান ?
আমার কোন মত নেই। জনগনের মতই আমার মত। কথা কইয়া কি নিজের জিবন দিমু নাকি ? দ্যাহেন না তিনজনরে ক্যামনে মারছে। কে মারছে কেউ জানে না। নিজের ঘরে বইসা থাকেন। ফেসবুক ব্যবহার করেন।
যদি কিছু কইতেই হয়, গালাগালি করেন। কেউ বাধা দেয় নাই। বোঝেন নাই, আসলে গালাগালির সুযোগ করার জন্যই এইসব করতাছে। যত খুশি গালাগালি করেন কিচ্ছু কইব না। যুক্তির কথা কইবেন আর মরবেন।

0 comments:

 

Browse