অনেকবছর আগে একজন কার্টুনিষ্ট একটি কার্টুন একেছিলেন।
একদিকে আধুনিক সভ্য মানুষ, পাশে অত্যাধুনিক অস্ত্র। আরেকদিকে আদিম মানুষ, সাথে
আদিম অস্ত্র। আধুনিক মানুষের দিকে আঙুল তুলে বলছে, দেখ, ওরা বলে আমরা অসভ্য।
অস্ত্র তৈরী করা নিশ্চয়ই সভ্যতার পরিচয়। আমেরিকার আইন
অনুযায়ী যেকোন নাগরিক দোকানে গিয়ে অস্ত্র কিনতে পারেন। তার প্রয়োজন অনুযায়ী
পিস্তল, রাইফেল থেকে শুরু করে মেসিনগান পর্যন্ত। তারা সবচেয়ে সভ্য জাতি এতেও কোন
সন্দেহ নেই। অসভ্য তারাই যারা আমেরিকানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করে। যদিও
অস্ত্রগুলি তৈরী হয় তাদের দেশেই।
অস্ত্রের বিচারে সভ্য-অসভ্য হিসেব করা সম্ভব না। আলফ্রেড
নোবেল ডিনামাইট উন্নত করেছিলেন পাহাড় ভাঙার জন্য। এমনকি আইনষ্টাইন এটম বোমা তৈরীতে
কাজ করেছেন বিশ্বকে জাপানীদের হাত থেকে রক্ষা করতে, আর বুশ-ব্লেয়ার ইরাকে অভিযান
চালিয়েছেন সাদ্দাম হোসেনের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে।
অস্ত্র বাদ দিয়ে বরং সত্যিকারের সভ্যতার পরিচয় যাতে
প্রকাশ পায় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে। মানুষ যত লেখাপড়া করে তত সভ্য হয়।
আচারে, ব্যবহারে, কথাবার্তায় সবকিছুতেই তার প্রকাশ ঘটে। সেদিক থেকে হিসেব করলে
সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিরাই সবচেয়ে সভ্য, আর বকলম ব্যক্তিরা অসভ্য।