ভুল করলে ভুল হয়

Jun 29, 2011
সত্যজিত রায় একখানা গল্প লিখেছিলেন এক ব্যক্তিকে নিয়ে। তিনি যা করেন তাতেই অন্যদের সমস্যা তৈরী হয়। এমন না যে তিনি কারো ক্ষতি চান, ক্ষতি হয়। গল্পের বিস্তারিত উল্লেখ না করে শেষটুকু উল্লেখ করাই যথেষ্ট, তিনি মারা গেলেন তার এক আত্বীয়ের বিয়ের দিনে। এরথেকে বড় ভুল আর কি হতে পারে।
মানুষ কেন ভুল করে এনিয়ে নানারকম ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন পশ্চিমা সমাজবিজ্ঞানী-দার্শনীকেরা। সেটা পশ্চিমের বিষয়। এদেশে এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই কারোই। একসময় একজন সমাজবিজ্ঞানী গবেষনা করে বাঙালী এবং চীনাদের মধ্যে খুব মিল পেয়েছিলেন। দুদেশের মানুষই নাকি নিজের দেশে অলস, অন্য দেশে কঠোর পরিশ্রমী। দুদেশের মানুষই চাপের মধ্যে ভাল কাজ করেন। অন্য কথায় দৌড়ের ওপর থাকলে এদিক ওদিক খোচাখুচি করেন না।

বকিশনে আর খবরদার-

Jun 27, 2011
সোডার বোতল খুললে ফসফসিয়ে রাগ করে কেন এ প্রশ্নের জবাব পাননি সুকুমার রায়। সেটা বহু আগের কথা। তখন নিশ্চয়ই মানুষ এসব বিষয় নিয়েও মাথা ঘামাত। আজকাল এসব প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামানোর ফুরসত নেই। অনেকের ঘেই গরমে-লোড সেডিং এসি চলে। কখনোই মাঘা ঘামে না। যাদের সেটা নেই তাদের রয়েছে মাথা ঘামানোর নানা গুরুত্বপুর্ন বিষয়। একেবারে রাজকীয় বিষয়। কে রাজা হবেন, কে সভাসদ হবেন এইসব। এর বাইরে চিন্তা করার কোন বিষয় নেই। কাজেই বকারামকেও আর সবকিছু ছেড়ে এনিয়েই কথা বলতে হয়।
অনেকদিন আগেই বকারাম একবার উল্লেখ করোছল আগামী রাজকার্য কিভাবে চলতে যাচ্ছে। জামাত রাজাকারের দল, ইসলামি চরমপন্থি দল। বাংলাদেশে ওদের যায়গা হতে পারে না। বিএনপি অগনতান্ত্রিক দল। গনতান্ত্রিক দেশে অগনতান্ত্রিক দল থাকতে পারে না। আবার একদলীয় গনতন্ত্র কথাটা ভাল শোনায় না। অন্তত বিরোধী দল থাকতে হয়। অন্তত জাপা যতদিন মহাজোটের সদস্য ততদিন সেটা অগনতান্ত্রিক দল হতেই পারে না। বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করেছিল। এরশাদ সেটা করেনি। তার ওপর কদিন আগে তার মামলা বাতিল করেছে আদালত। কাজেই এরশাদ বিরোধী দলের আসনে সভাসদ হিসেবে বসতেই পারেন। বেশ গনতন্ত্র চর্চ্চা হয়।
প্রশ্নটা আসলে অন্য যায়গায়।  অনেকটা সুকুমার রায়ের গোলকধাধার মতই।

মাতব্বরী ভাল জিনিষ

Jun 25, 2011
মাতব্বরী করতে কে-না পছন্দ করে। একজন শিশু যদি হাতে টিভির রিমোট পায় সেও সেটা হাতছাড়া করে না। জানে মাতব্বরীর সুযোগ ওখানেই। আর যদি বয়স্ক হয় তাহলে তো কথাই নেই। বয়স যত বাড়ে মাতব্বরী করার প্রবনতাও তত বৃদ্ধি পায়। অন্যান্য দেশে বয়স্কদের বলা হয় সিনিয়র সিটিজেন। তারা জীবনের অনেক বছর পার করেছেন, অনেক অভিজ্ঞতা। কাজেই তারা মাতব্বরী করবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাদের আলাদা করে চিনে রাখুন। পোড়া দেশে বয়স্কদের আলাদাভাবে চেনা প্রয়োজন হয় না। কারন বয়স বাড়লে অভিজ্ঞতা-জ্ঞান-সন্মান এসব বাড়ে না। বরং শরীরের শক্তি কমে। চুলে পাক ধরে, দাত পড়ে যায়, হাতে-পায়ে বল কমে। বনে যেমন বুড়ো বাঘের কদর নেই তেমনই অবস্থা হয়।
সেই অবস্থা দুর করার জন্য সহায়ক হচ্ছে মাতব্বরী।

রাতকানা ভাল নাকি দিনকানা

Jun 24, 2011
চিকিতসাবিজ্ঞান বলে রাতকানা একটি বিশেষ রোগ। তারা দিনের বেলা স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু দেখেন, সুর্য অস্ত গেলে আর দেখেন না। বিদ্যুত থাক বা না থাক, মোমবাতি-চার্জার জ্বালানো হোক বা নাহোক, তারা দেখতে পান না। একমাত্র সুর্য্যের আলোতেই তারা দেখেন।
সৃষ্টিকর্তা এমন অদ্ভুত রোগ কেন সৃষ্টি করেছেন তার ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন। আসলে সৃষ্টিকর্তার কোনকিছুরই ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা তার সৃষ্টের নেই। হয়ত সেকারনেই এই ভ্রান্তি। কিন্তু অন্যভাবে দেখলে, রাতকানা তো সকলেই। দিনরাতে বিষয় বাদ দিয়ে একটু অন্যভাবে দেখুন না কেন।

বাঘ বনাম বেড়াল

Jun 21, 2011
অনেকে বলেন বাংলার বাঘ সুন্দরবনেই ভাল মানায় এমনকি চিড়িয়াখানায়ও মানায় না কিন্তু তার সমস্যা কি সেটা কি ভেবে দেখেছেন অনেকেই বলছেন সুন্দরবন গাছশুন্য হচ্ছে ফলে একসময় বাঘশুন্য হবে এটাই তো স্বাভাবিক আর চিড়িয়াখানায যে দুচারখানা আছে তাদের খাবার যায় যারা চিড়িয়াখানা দেখাশোনা করেন তাদের পেটে ফলে তারাও কতদিন টিকবে বলা কঠিন এইবেলা বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখাই ভাল
বিজ্ঞান এখনও এতটা অগ্রগতি লাভ করেনি যে ল্যাবরেটরীতে বাঘ তৈরী করবে আর করলেও সেটা থাকবে কোথায় সেটাও বড় প্রশ্ন সহজ সমাধান হতে পারে সমাজ
আবার তাতেও সমস্যা অনেক সত্যিকারের চারপাঅলা বাঘ যদি ফুটপাতে ঠেলাঠেলি করে চলতে শুরু করে তাহলে অবস্থাটা কি হবে ভেবে দেখেছেন কি?

চুরিতে সমস্যা কোথায়

Jun 17, 2011
মানুষের স্বাভাবিক প্রবনতা অল্পের থেকে বেশি পছন্দ করে। অল্প টাকা, অল্প খাবার, ছোট বাড়ি, ছোট গাড়ি যাই বলুন না কেন তারচেয়ে বেশিটাকা, বেশি খাবার, বড় বাড়ি, বড় গাড়ি অনেক বেশি প্রিয়। বড় থাকতে কেউ ছোটর দিকে চায় না। এমনকি উপন্যাসের কাছে ছোটগল্প পাত্তা পায় না।
কাজেই মানুষ ছোট বিষয় বাদ দিয়ে বড় বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবে এটাই স্বাভাবিক। যদি আলোচনা করতেই হয় তাহলে ভিক্ষুক কিংবা বেকারকে নিয়ে সময় নষ্ট করে কে, তারচেয়ে বরং প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, নেতা কিংবা বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে মাথা ঘামানো মানায়। নির্বাচনের কথাই যদি বলতে হয় তাহলে এমন নির্বাচনের কথা আলোচনা করা উচিত যেখানে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়। ছোটখাট নির্বাচন আলোচনা থেকে দুরে থাকবে, খবর থেকে দুরে থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। অন্তত যতক্ষন না খুনখারাপির মত কিছু না ঘটে। অথবা খবর বলার মত ঘটনা না ঘটে।
কখনো কখনো ঘটনা ঘটে। তখন খবর হয়। এমনই এক খবর। ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদের একজন প্রার্থী বলেছেন, তিনি জীবনে বহুলোকের গরু-ছাগল-হাস-মুরগী সহ বহুকিছু চুরি করেছেন। তাকে ভোট দিয়ে জনগনের সেবা করার সুযোগ দিন, তিনি সবার চুরি করা জিনিষপত্র ফেরত দেবেন।
এবং তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

কুকুর খারাপ না

Jun 15, 2011
ইসলাম ধর্মে কুকুর নিষিদ্ধ প্রানী। কারনটা খুব সামান্য, কিছু খারাপ কাজ করাকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। খুব খারাপ নিশ্চয়ই বলা হয়নি। বাংলা ভাষায় প্রবাদ রয়েছে কুকুরের জন্য মুগুর। একমাত্র লাঠিপেটা করলে কুকুরকে কথা শোনানো যায়।
কথাটায় কিছুটা বাড়াবাড়ি রয়েছে একথা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়া দরকার নেই। কেউ যখন বলেন কুকুরের মত অকৃতজ্ঞ তখন বরং সেটা একেবারে মিথ্যে (আইনের ভাষায় অসত্যও বলতে পারেন)। কারন কুকুর আর যাই করুক অকৃতজ্ঞ হয় না। কখনো মনিবের বিরুদ্ধে যায় না। বরং জানা না থাকলে শুনে আশ্চর্য হতে পারেন মানুষের প্রথম বন্ধু হয়েছিল যে প্রানী সেটা কুকুর। আদিকালে শিকারের সময় পাশে থেকে সাহায্য করত। নিজের জীবন বিপন্ন হলেও পাশ থেকে সরে যেত না।

পাগলে কিনা বলে

Jun 14, 2011
মনস্তত্ববিদ বলেন আসলে পাগল বলে কিছু নেই প্রত্যেক ব্যক্তির চিন্তার নির্দিষ্ট ধরন থাকে ধরন শব্দটা যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে বাংলায় প্যাটার্ন বলতে পারেন সেই প্যাটার্নের সাথে মিল করে একজন অপরজনকে বিশ্লেষন করে যখনই গড়মিল দেখা যায় তখন তাকে পাগল সাব্যাস্ত করে
একজন শিশুকে সেই অর্থে অনায়াসে পাগল বলতে পারেন তাদের হিসেব বয়স্কদের হিসেবের সাথে মেলে না শিশু আর যাই ভাবুক কিভাবে অনেক টাকার মালিক হবে সেটা ভাবে না তাদের জগত আলাদা সবই পাওয়া যায়, সবই হওয়া যায় কিছু করতে হয় না একমাত্র পাগলই কিছু না করে সবকিছুর মালিক হতে আশা করে
শিশুদের সাথে কথা বলার সমস্যাও অনেক অন্তত যদি কথায় কথায় ধমক দেয়ার অভ্যেস না থাকে ধমকে তারা আর শিশু থাকে না, পাগলামি ছেড়ে বাস্তববাদি হয় একথা যদি মাথায় থাকে সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই তাদের প্রশ্ন সামলানো কঠিন হয়ে দাড়ায় অনেকসময় রীতিমত নাজেহাল অবস্থায় ফেলে নিজের বুদ্ধি জাহির করতে চায়য়
যেমন ধরুন, মানুষ কোন শব্দ সবচেয়ে বেশি বলে ?
মানুষের কাছে নিজের নাম সবচেয়ে প্রিয় শব্দ একথা অনেকবার শুনেছি কিন্তু সেটা উত্তর হতে পারে না কেউ নিশ্চয়ই নিজের নাম উচ্চারন করে না সবসময় আমার বুদ্ধিতে বলে সম্পর্ক বিষয়ক শব্দ যা কমবেশি সকলেই কথার শুরুতে-মাঝে-শেষে ব্যবহার করে কিন্তু এর প্রশ্নের কারন নিশ্চয়ই সেটা না এখনও বুঝে ওঠেনি কাউকে ঘায়েল করার জন্য মোক্ষম শব্দ খুজতে হয়, সেগুলি অনবরত ব্যবহার করতে করতে ঠোটস্থ করতে হয় এর বক্তব্য নিশ্চয়ই আলাদা
তাকেই উল্টো প্রশ্ন করতে হয়, কোন শব্দ ?

বাউন্ডুলে জিন্দাবাদ

Jun 13, 2011
রাহুল সাংকৃত্যায়ন একখানা বই লিখেছিলেন ভবঘুরে শাস্ত্র নামে আপনি যদি ভবঘুরে হতে চান তাহলে কিভাবে হবেন তার বিবিধ বর্ননা অন্যকথায় কিভাবে তারপথে চলবেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য হয়েও তিনি ছোটবেলায় বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন একবার ধর্ম বদল করলেন, তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে ধর্মত্যাগ করে কম্যুনিষ্ট হলেন তারচোখে মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ভন্ড আপনারাও তাকে অনুসরন করে দলভারী করবেন এটাই নিশ্চয়ই তার কাম্য ছিল
সৈয়দ মুজতবা আলীও নিজেকে ভবঘুরে ভাবতেন নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতেন দেশ-বিদেশ তিনিও ভবঘুরে শব্দটি ব্যবহার করেই লিখেছেন
আপনি ভবঘুরে দেখেছেন কি ?
হয়ত দেখেন নি অন্তত বুকে-পিঠে ভবঘুরে লিখে ঘুরে বেড়ানো কাউকে যখন দেখেননি সবাই তো আর তাদের মত লিখে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেন না
বুকে-পিঠে লেখা হয় দৃষ্টি আকর্ষনের জন্যই নানারকম লেখা কারো জামায় লেখা, দেখতে যেমন খেতেও তেমন খেয়ে দেখবেন নাকি!
এরই মধ্যে চোখে পরল চমকে ওঠার মত লেখা, বাউন্ডুলে

মহত্ব থেকে লাভ

Jun 11, 2011
মহত ব্যক্তিরা মহত কথা বলেন...
অনেকে হয়ত এরই মধ্যে অস্ত্র তৈরী করে ফেলেছেন। মনে মনে বলছেন, আরে ব্যাটা ওই কথা কি আমার থিক্যা বেশি জানস। আমি কি জানি না মহত ব্যক্তি কি, মহত কথা কি ?
কাউকে মহত ব্যক্তি চেনানো কিংবা মহত কথার উদাহরন দেয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নেই। বরং একটু ঘুরিয়েই বলি। অনেক সময় মহত্ব সরাসরি ধরা পড়ে না, সামান্য হলেও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। এতে আপনার মহত্ব কমছে না। নিজেকে মহত ধরে নিয়েই মহত্বের খাতিরে এই সামান্য বিষয়টি এড়িয়ে যান।
কথা হচ্ছে, মহত ব্যক্তিরা মহত কথা বলেন। তারা কখনোই খারাপ দিক দেখেন না, যাকিছু ভাল, যাকিছু আশাবাদি সেদিকেই দৃষ্টি দেন। ওই যে অর্থমন্ত্রীর কথাই ধরুন না কেন। তিনি মহত বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন শেয়ারবাজারে সবাই সর্বশ্রান্ত হয়নি, কিছু মানুষ টাকা কামিয়েছে। এটাই মহত্ব। ওই কিছু মানুষের যে উপকার হয়েছে তাকে স্বিকৃতি দিন।
কিংবা প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন হরতালে পরিবেশ দিবসে পরিবেশ রক্ষা হয়েছে। কলকারখানা বন্ধ- গাড়ি চলাচল বন্ধ। সপ্তাহে একদিন এমন হলে কার্বনের টাকা আমাদের হাতে না এসে যায় না। সাথেসাথে সায় দিয়েছে বিরোধীদলও (এটাই বরং বিরল ঘটনা)। তারা আরো উতসাহে দুদিন হরতাল ডেকেছে। মহতের খাতায় নাম লেখানোর চেষ্টা আরকি।

ঘুস দক্ষতা বাড়ায়

Jun 9, 2011
এটা দুঃখজনক যে ঘুসের মত অতুলনীয় পদ্ধতি কে আবিস্কার করেছেন সেকথা ইতিহাসে লেখা নেই এমনকি যে গুগলে যে কোন শব্দ, ভুল হোক আর ঠিকই হোক, টাইপ করলে লক্ষ লক্ষ ফল দেখা যায় সেখানেও এর ফলাফল শুন্য আবিস্কারক হিসেবে কারো নাম নেই
অথচ ঘুসের মহাত্বের কথা কে না জানে মালয়েশিয়ায় তো আইন করা হয়েছিল, ঘুস নিন তবে একা খাবেন না সরকারকে ঘুস ট্যাক্স দিতে হবে
ব্যাকরনগতভাবে ঘুস নেয়া নাকি ঘুস খাওয়া এটাও আসলে নির্ধারিত হয়নি ঘুসের মত বিষয়ের জন্য এটাও অবমাননাকর সুকুমার রায় যদিও বলেছিলেন ঘুস খায় দারোগায়, তাহলেও সবচেয়ে সহজ ঘুস পদ্ধতি হচ্ছে টাকা টাকা কি কেউ খায় বড়জোর সেই টাকায় কিছু কিনে খায় কাজেই ঘুস খাওয়া শব্দ গ্রহনযোগ্য কিনা ভেবে দেখা উচিত

হয়রানি

Jun 5, 2011
হয়রানিমুলক মামলা একথা শুনতে শুনতে মানুষের এতটাই কানসওয়া হয়ে গেছে যে এরপর কি শোনার ধৈর্য্য থাকে না। গত আড়াই বছরে বহু হাজার মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে এই কারনে। এমনকি রাজনৈতিক হয়রানীমুলক কারনে এমন খুনের মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে যে খুনির সাথে আদৌ রাজনীতির সম্পর্ক নেই। কিন্তু আগেই যেমন বলেছি, এগুলি কানসওয়া। এনিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না।
জরুরী আইনের সরকার যখন নানারকম মামলা কারনে নেতাদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করল তখন বিদায়ী সরকারের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেই ফেললেন, ওই মামলা তো হয়রানী করার জন্য দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জরুরী সরকার দুর্নীতি দুর করবেনই করবেন। দুই প্রধান দলের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হল দুর্নীতি মামলায়।
সেসব ইতিহাস। কিন্তু ওই মামলা নামের বিষয়টি থেমে থাকেনি। মামলা মানেই গ্রেপ্তার, গ্রেপ্তার মানেই রিমান্ড তারপর জেলহাজত। আদালত যদি জামিন দেয়ও সেই রায় জেলে পৌছে না, পৌছালেই বা কি আসে যায়!
বিষয়টি উল্লেখ করতে হচ্ছে কারন গত চারদলীয় জোট সরকারের একজন মন্ত্রী এরসাথে জড়িত। কাজেই খবরে সেটা স্থান পায়। তার জামিন দিয়েছে আদালত, সেটা নিয়ে বহু টানাহেচড়া। জামিন পেয়েছেন মুক্তি পাননি, এইসব। সেটাই খবর। অবশেষে তিনি ছাড়াও পেলেন ৪৭০ দিন জেলবাস করার পর। সেটাও খবর। এবং তখনই খবরে জানা গেল তার নামে মামলা সম্পর্কে।
তিনি ঘড়ি এবং মোবাইল ছিনতাই করেছেন, পুকুরের মাটি চুরি করেছেন।

দেখি না কি হয়

Jun 2, 2011
বহু মানুষ সিদ্ধান্ত বদল করে ইতিহাস সৃষ্টি করে রেখেছেন বিশ্ববাসীর সামনে। গ্যালীলিওর কথাই ধরুন না কেন। ডাক্তারী পড়ছিলেন। হঠাত উপলব্ধি করলেন সেটা তার বিষয় না। সেটা ছেড়ে গ্যালীলিয় হলেন। মানুষের চিন্তার পদ্ধতি পাল্টে দিলেন। নইলে ইতালির গ্যালীলিও নামে এক ডাক্তারের কথা কে মনে রাখত।
কিংবা ল্যু সুনের কথাই ধরুন না কেন। তিনিও ডাক্তারী পড়ছিলেন। তারপর নিজের পথ বুঝে সিদ্ধান্ত পাল্টালেন। ডাক্তার হওয়া ছেড়ে সাহিত্যিক হলেন এবং বিশ্বখ্যাতি লাভ করলেন।
অন্য দেশের উদাহরন যদি পছন্দ না হয় তাহলে দেশের উদাহরনই দেখুন না। এটাও ওই ডাক্তারী ছেড়ে অন্য দিকে যাওয়ার উদাহরন। জগদীস চন্দ্র ডাক্তার হতেই বিলেত গিয়েছিলেন। সেটা ছেড়ে বিএসসি পাশ করেই সন্তুষ্ট থাকলেন। আর পরিনত হলেন বিজ্ঞানীতে।
এসবের ব্যাখ্যা করেছেন ডেল কার্নেগি। তিনি উপদেশের বই লিখে বিশ্বখ্যতি লাভ করেছেন। তার বক্তব্য, ক্ষতি বন্ধ করা। যেই বুঝলেন আপনার পথ ভুল সেই মুহুর্তে সেটা ছেড়ে দেয়া।

উল্টাসুর

Jun 1, 2011
পাশ্চাত্যে গানের সুরের হিসেব খুব সহজ। অংক জানলেই চলে। এ-ওয়ান মানে ১১০ হার্টজ, এ-থ্রি মানে তার দ্বিগুন, ২২০ হার্টজ। এভাবেই দ্বিগুন, তিনগুন, চারগুন ...
ভারতীয় উপমহাদেশে সেতুলনায় সঙ্গিত অনেক জটিল। অনেকটাই কান নির্ভর। সা-রে-গা-মা-পা যাই বলুন না কেন, কানে শুনে বুঝতে হবে সেটা ঠিক আছে কিনা।
আর সেখানে যদি উল্টাসুর যোগ হয় তাহলে খবর আছে!
সেকারনেই সঙ্গিতে এত আয়োজন। তবলা, হারমনিয়াম, তানপুরা, সারিন্দা। সবাই একই তালে চলে। একই সুরে কথা বলে। একজন যে সুর ধরে অন্যকেও সেটাই ধরতে হয়। নইলে সঙ্গিত থাকে না।
সুর অবশ্য সঙ্গিত ছাড়াও থাকে। কথার সুরই ধরুন না কেন। একজন যা বললেন তারসাথে সুর ধরে তাকে আরেকটু এগিয়ে নেয়া। নীতির রাজা রাজনীতি যদি হয় তাহলে তো কথাই নেই। বরং এখানে গড়মিল হলে সমস্যা সঙ্গিতের চেয়েও বেশি। ওই যে প্রধানমন্ত্রীর কোন এক উপদেষ্টা (প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কতজন কে জানে!) বললেন র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন সন্ত্রাসী, তার বাপ সন্ত্রাসী, ভাই-বোন সব সন্ত্রাসী। পায়ে গুলি করবে না-তো কি করবে!
এরসাথে সুর মিলিয়ে যার দায়িত্বে র‌্যাব সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ওনার বক্তব্যই সরকারী বক্তব্য। আমাকে আলাদাভাবে প্রশ্ন করবেন না।
 

Browse