পুলিশ খুন করে না

Aug 8, 2011
আজ থেকে বহু বছর আগে, এদেশ যখন ইংরেজরা শাসন করত তখন তাদের ইচ্ছে হয়েছিল এই জাতির বৈশিষ্ট সম্পর্কে জানার প্রতিটি জেলার মানুষকে বিশ্লেষন করে তাদের বৈশিষ্ট খুজে এক রিপোর্ট তৈরী করেছিল গ্রান্টের রিপোর্ট নামের সেই রিপোর্টে যা বেরিয়ে এসেছিল সেটা ভয়াবহ মানুষ অসত, প্রতিহিংসাপরায়ন, অকৃতজ্ঞ, ঠগবাজ, হঠকারী, লোভি, জালিয়াত, মিথ্যাবাদী, ঘুষখোর, নিজের লাভের জন্য পরের ক্ষতি করে, পরের ক্ষতিতে আনন্দলাভ করে, পরের সম্পত্তি দখল করে, কাজে ফাকি দেয়, আদালতে মিথ্যে সাক্ষি দেয় ইত্যাদি যতরকম সম্ভাব্য খারাপ লক্ষন আছে সবই উল্লেখ করা হয়েছে মানুষ এককভাবে ভিতু, সম্মিলিতভাবে ভয়ংকর একথা উল্লেখ করলে সেই সমাজ সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা তৈরী হয় না
এসব নিশ্চয়ই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের সহজ-সরল-কর্মঠ মানুষের এবং দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্ঠা যেমনটা ইদানিং করেছে ইকনমিষ্ট ওরা সবসময়ই বাংলাদেশের ক্ষতি করতে চায় ছলে-বলে-কৌশলে এদেশ দখল করে রেখেছিল দুশো বছর এখনও লোভ যায়নি
বাচাল যেহেতু বলা হয়েছেই সেহেতু বাচালতাকে আরেকটু বাড়িয়ে উল্লেখ করা যেতে পারে, ইকনমিষ্টের ওই বক্তব্যের কাছাকাছি বক্তব্য বকারাম উল্লেখ করেছিল বছর দেড়েক আগে এখানেই
সে যাকগে অত অতীত নিয়ে মাথা ঘামায় কে প্রতিদিন যখন রোমাঞ্চকর ঘটনা ঘটছে রোমাঞ্চউপন্যাসের চেয়েও রোমাঞ্চকর হলিউডের মুভির চেয়েও আকর্ষনীয়
টিভিতে ভিডিও দেখানো হয়েছে মোবাইলে রেকর্ড করা ভিডিও পুলিশ এক কিশোরকে তুলে দিয়েছে জনগনের হাতে তারা পেটাচ্ছে একজনের উল্লসিত বক্তব্য,  পুলিশ কইছে মাইরা ফালা, মারস না ক্যা
তারপর, তাকে মেরে ফেলা হল মাথায় ইট দিয়ে মেরে চারিদিকে উল্লসিত মানুষ আহা এমন সুযোগ যদি প্রতিদিন পাওয়া যেত ভিডিও দেখে কি শখ মেটে যদি নিজে না করা যায়! মৃতদেহ গাড়িতে উঠিয়ে পুলিশ চলে গেল তারপর বক্তব্য, গনপিটুনিতে ডাকাত মারা গেছে
গ্রান্টের রিপোর্টের সাথে মিল কি দেখতে পাচ্ছেন ?
বকারামের লেখা খুব বেশি মানুষ পড়ে না কারন বকারাম শুধুই বাঙালী জাতির দোষ খুজে বেড়ায় যাকিছু খারাপ সেগুলি উল্লেখ করে খারাপ ব্যাখ্যা করে এই দেশের মানুষ খারাপ হতে পারে না দুএকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে ইংল্যান্ডেও ঘটেছে পুলিশের দিকে পেট্রোল বোমা, লুটপাট, বাড়িতে আগুন সারা পৃথিবীর মানুষ দেখেছে তাই বলে কি ওদের সম্পর্কে এমন কথা বলছে কেউ ? এসব নিয়ে কেউ দুকথা বলে না। সবাই উঠেপড়ে লেগেছে কিভাবে বাংলাদেশের নামে কুতসা রটানো যায়।
পুলিশ তৈরী করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্বার্থে ব্যবহারের জন্য। এরপর ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। পুলিশেরও মালিক বদল হয়েছে। নিয়মিতভাবেই মালিক বদল হয়। তার ভেতর থেকে তাদের নিজেদের কিছু স্বাধীনতাও তারা আদায় করে নিয়েছে। আমরা মালিকের স্বার্থ দেখব, আমাদের স্বার্থও মালিককে দেখতে হবে, এই নিয়মে। গত কিছুদিন ধরে নিয়মিতভাবেই এটা খবর। হয়ত কোন কারনে গতি পেয়েছে এই প্রক্রিয়া।
খবরের পেছনের খবর, সেই কিশোর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল পকেটে ১৪ হাজার টাকা নিয়ে। প্রথমেই টাকা এবং মোবাইল ফোন যায় পুলিশের হাতে। যদি সে গনপিটুনিতে মারাই যায় তাহলে আর ওগুলোর খোজ করবে কে ?
আর যাই হোক পুলিশ তো খুন করেনি ?

0 comments:

 

Browse