খুশি থাকুন ভাল থাকুন

Dec 30, 2011
রাত এগারটার সময় যদি বলা হয় সবধরনের জ্বালানী তেলের দাম পাচ টাকা করে বাড়ানো হল, বারোটা থেকে এইদামে কিনতে হবে তাহলে আপনার কিছু করার থাকে না। সত্যি বলতে কি এক ঘন্টা কেন, একদিন কিংবা একমাস আগে জানালেও আপনি কিছু করতে পারেন না। বরং জানার পর এটুকু শান্তনা অন্তত পেতে পারেন মাসখানেকের মধ্যে তেলের দাম আরেকবার বাড়বে না। বাড়লে হয়ত গ্যাস কিংবা বিদ্যুতের দাম বাড়বে। আর এই সময়ে বাড়বে আপনার খরচ। গাড়ির তেল কিনুন আর কাজের জন্য কেরোসিনই কিনুন, লিটারপ্রতি পাচ টাকা সরকারের কাছে জমা হবে। যার গাড়ি নেই তারজন্য বাসভাড়া বা ট্যাক্সিভাড়া। যদি পায়ে হেটে চলতে চান তাহলেও রক্ষা নেই। খাবার-দাবার যাকিছু কেনেন সবই ওই তেলের গাড়িতে চলে। তাদের ভাড়াও যাবে আপনার পকেট থেকেই।
যদি ভেবে থাকেন মুখ খুলবেন তাহলে সাবধান। তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির কয়েক ডজনকে লাঠিপেটা করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাজেই, টাকা দিন। তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ঘড়ির কাটার মত বাড়ছে। সেইসাথে জিনিষের দাম। সরকার ব্যাংক থেকে নিচ্ছে দিনে দেড়শ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলো হাহাকার করছে টাকার জন্য। সরকার ডলারের বিপরীতে টাকার মুল্য কমিয়েছে কাজেই তেল আনতে খরচ বেশি। সেই টাকা আপনি যোগান দেবেন।  দেশের বিদ্যুত সমস্যার সমাধান করতে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বানানো হয়েছে আর টাকা দেবেন না! আপনি দেবেন না-তো কে দেবে ? দেশে তেল আমদানী করার অধিকার একমাত্র সরকারের। সরকার তাতে ভর্তুকি দেয়। কাজেই দাম কম রাখলে ভর্তুকির টাকা আপনি দেবেন। দাম বাড়ালে সে টাকাও আপনি দেবেন। আবার বিদ্যুতের দাম বাড়লে সেই টাকাও আপনি দেবেন। যারা বিদ্যুত তৈরী করছেন তারা আপনার এবং দেশের সেবা করছেন। কিছু লাভ তারা করতেই পারেন।
শুধূ তাদেরই না, সরকারেরও বহু টাকা প্রয়োজন। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন বাপরে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এত খরচ!
সেপ্রশ্ন করবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করলে জাতি কলংকমুক্ত হবে না। না খেয়ে মরলে মরুন কলংক নিয়ে মরতে দেয়া হবে না।
আর যদি বলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল কাজ করছে, সেটা বন্ধ হচ্ছে না, হওয়ার কোন কারনও নেই তাহলে নেতা-মন্ত্রীদের প্রতিমুহুর্তে বিচার চাই বলে জিকির করার প্রয়োজন কি ? যদি তারাই এসব করেন তাহলে ট্রাইবুনালেরই বা প্রয়োজন কি। স্বাধীনতার পক্ষের সব নেতারা একসাথে হয়ে বলেছেন বলেছেন একজন রাজাকার বেচে থাকতে তারা ঘরে ফিরবেন না। তাহলে বিচার নিয়ে হাউ-কাউ করারই দরকার কি। যাকে রাজাকার মনে হয়, যুদ্ধাপরাধী মনে তাকে মেরে ফেলুন। কেউ তো ঠেকাতে যাচ্ছে না। দেশের জনসংখ্যা সমস্যার একটা সমাধান হতেও পারে। দেখছেন না দিনরাত রাস্তায় কিভাবে মানুষ-গাড়ি-রিক্সা কিলবিল করছে।  এ ওকে ধাক্কা দিয়ে, তাকে উল্টে ফেলে যেভাবে পারে চলছে। কদিন পর পাশাপাশি দাড়ানোর যায়গাও হবে না। একজনের কাধে আরেকজন দাড়াতে হবে। আগে থেকে কিছু আবর্জনা পরিস্কার করুন।
যা ইচ্ছে হয় ভাবুন, যা ইচ্ছে হয় বলুন। গনতান্ত্রিক দেশে আপনাকে স্বাধিনতা দেয়া হয়েছে কথা বলার। গালাগালি করার। তাইবলে সরকার যা করছে তাতে বাধা দিতে যাবেন না।
প্রধানমন্ত্রী সুযোগ পেলেই আবৃতি করেন আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে জনগন কিছু পায়। সরকার যাকিছু দেয় খুশিমনে গ্রহন করুন। আমিন।

0 comments:

 

Browse