কোন পাগল নেই

Feb 23, 2010
সুস্থ স্বাভাবিক এক বৃটিশ ভদ্রলোকের স্ত্রী লক্ষ্য করলেন তার স্বামী পর্নোগ্রাফির দিকে ঝুকে পড়েছে সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সেটা শতভাগ শিক্ষিত মানুষের দেশ এবং সেখানে শিক্ষা বলতে সার্টিফিকেট কেনা বুঝায় না শিক্ষার প্রয়োগ বুঝায়। কাজেই তিনি মাথা খাটালেন নিজে সমাধান না পেয়ে একসময় স্বামীকে নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে প্রথমে মনোবিজ্ঞানী তারপর সাধারন চিকিসক তিনি কিছুতেই হাল ছাড়বেন না একসময় ফল ফলল অন্যরকম ডাক্তার রিপোর্ট দিল তার মস্তিস্কে টিউমার হয়েছে ফলে অপারেশন টিউমার বাদ দেয়ার পর ভদ্রলোক আগের মতই স্বাভাবিক হয়ে উঠলেন
এখানেই যদি ঘটনা শেষ হত তাহলে সেটা বিবিসির খবর হত না কবর হয়েছে কারন কিছুদিন পর সেই ভদ্রলোকের সেই পর্নোগ্রাফির নেশা ফিরে এল আবারো ডাক্তার এবং সবাইকে চমকে দিয়ে জানা গেল তার টিউমার নতুনভাবে গজিয়েছে
লোকে বলে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর যে ফল পাওয়া যায় সেটাই বিজ্ঞান অন্তত এই ঘটনা প্রমান করেছে পর্নোগ্রাফিতে আগ্রহ স্বাভাবিক মস্তিস্কের কাজ না কিছুটা বিকৃতি সেখানে রয়েছে বড় আকারের হলে টিউমার জাতিয় কিছু, অথবা ছোট আকারের বৈকল্য বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্য।
তবে সমস্যা হচ্ছে, অমুকের মানষিক সমস্যা রয়েছে একথা মুখফুটে বলা যায় না এতে তার তো বটেই, পরিবারের মান যায় আর পর্নোগ্রাফির মত বিষয় যদি হয় তাহলে তো কথাই নেই ব্যক্তির, পরিবারের, সমাজের মান, দেশের মান সবই যায় কাজেই- মুখবন্ধ
প্রবাদ, দুদিনের চাদ ঘরে বসে দেখা যায় ঈদের আগের দিনের মত হা করে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে হয় না এমনকি দেখতে না চাইলেও দেখা হয় সমাজে যখন কোন ঘটনা ঘটে সেটাও অনেকটাই ঈদের চাদের মত কেউ কেউ আগ্রহ নিয়ে দেখেন কেউ কেউ না দেখার ভান করেন কিন্তু একসময় না দেখে উপায় থাকে না আজকাল আবার খবরের কাগজঅলারা দেশের-সমাজের ভাবমুর্তি নিয়ে ততটা মাথা ঘানায় না খবর পেলে প্রকাশ করে দেয় সেভাবেই
প্রকাশ পেয়েছে ঘটনা ধর্ষন করে তার ভিডিও করা হয়েছে দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে খবরটা একেবারে নতুন না অবশ্য কয়েক বছরে কয়েক ডজন খবর চোখে পড়েছে কাগজে বিষয় একই পরদিনই সেটা খবরের পাতা থেকে উধাও
এবারের খবর, কোন সংগঠন নাকি প্রতিবাদ করে মামলাও করেছে পুলিশ বলেছে, ব্যবস্থা নেয়া হবে অবশ্যই হবে আদালত কি বলে দেখি-
এত ছোট বিষয় নিয়ে বড় মাথা ঘামানো যায় না অন্তত ভাবমুর্তির কথা মাথায় রেখে হলেও বড় মাথার সামনে এপ্রশ্ন তোলা যায় না যদি যায়ও, ভদ্রলোকের সবসময়ই এককথা- এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা
আর যদি তেমন কেউ থাকে তাহলে, আপনের কাছে আছে নাকি ভিডিওডা দ্যানতো দেখমুনে- আমেরিকার মানের হইছে ? অন্যদিকে তো সম্ভাবনা নাই, এইদিকেও কি পারমু না!
এই মনোবৈকল্যের চিকিসা এদেশে হয় না একজন থেকে শতজনে, শত থেকে লাখে ছড়িয়ে পরে কম্পিউটারে, সিডিতে, মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পরে এই ভিডিও রীতিমত রমরমা ব্যবসা দোকানে-ফুটপাতে, শহরে-গায়ে-গঞ্জে সব যায়গায় ডিজিটাল দেশে কোন এলাকা পিছিয়ে নেই আমেরিকা-ইউরোপ যদি পারে আমরা পারব না কেন ? আমরা কম কিসে ? কিছু মানুষ আয়-রোজগার করে তো খাচ্ছে চোখ টাটায় কেন ? দেখে শিখুন জীবনের মানে কি
সমস্যা একটাই, একদিকে ইউরোপ-আমেরিকা যা পারে সেটা করে দেখানো পোষাক-আচরন-কথাবার্তা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই, আরেকদিকে সহজ-সরল-ধর্মপরায়ন-দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীর ভাবমুর্তি ঠিক রাখা একটা রাখলে আরেকটা যায় দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ দরীদ্রসীমার নিচে, আরো বাড়ছে, শিক্ষার হার কমছে, মান নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে সেখানে মনবৈকল্য নামের রোগ নিয়ে মাথা ঘামায় কে ?
জানেন না, দশের মধ্যে একজন অন্য কথা বললে সে পাগল, সবাই যদি বলে তখন কোন পাগল নেই

হায়- মরি বাংলা ভাষা

Feb 21, 2010
কিসের কথা কইতাছেন। একুশে ফেব্রুয়ারী। পার্টি। আইচ্ছা-আইচ্ছা, আমুনে। আইজতো ছুটির দিন। সমস্যা নাই। কি ব্যবস্থা করছেন কন। দ্যাশের লগে বিট্রে করতে পারমু না কইলাম। বাংলা মদের ব্যবস্থা রাইখেন। আর কি পোষাক পড়তে হইব ? কালা পাঞ্জাবী-কালা শাড়ি
লোকে নাকি অল্প শোকে কাতর হয়, বেশি শোকে পাথর হয়। বাঙালী কাতর না পাথর বোঝা কঠিন। আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলেন বাংলার প্রচলন হওয়া উচিত সবখানে, তবে ইংরেজি ছাড়া চলবে না। সবখানে বাংলা, পেশার জন্য ইংরেজি। ডলার-পাউন্ড-ইউরো তো আসে ওই ইরেজীর দেশ থেকেই। কথা না বললে ওরা জানবে কিভাবে আমরা কত অসহায়। কত প্রয়োজন। প্রয়োজনে সব করতে হয়। ঢাকাবাসি হয়ত গ্রীন সুপার মার্কেটের সামনে একজন পঙ্গু ভিক্ষুক দেখে থাকবেন। একদিন তার মুখে শোনা গেল, মাদার, মাদার, গিভ মি ফাইভ টাকা।
লক্ষ্য এক বিদেশী ভদ্রমহিলা। এমন নিখুত ইংরেজি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরুনো কীর্তিমানরাও বলতে পারেন কিনা সন্দেহ। একেই বলে প্রয়োজন। এজন্যই বিদেশী ভাষা।
আরেক উদাহরন না দিলে চলে না। পরিচিত একজন হঠাত করে জাপানী ভাষা শিখতে শুরু করল। কারন জানা গেছে জাপানী ভাষা শিখলে, জাপানের কোন প্রফেসরের রিকমেন্ডেশন বাগাতে পারলে জাপান যাওয়া যায়। চলল দু প্রক্রিয়াই। এক ভদ্রলোকের সাথে চিঠি আদান প্রদান। একবার সাহস করে লিখেই ফেলল জাপানী ভাষা শেখার কথা। পরের চিঠি এল খাস জাপানী ভাষায়। তারপর সেই চিঠি নিয়ে দৌড়াদৌড়ি। কে পাঠোদ্ধার করে দিতে পারে।
জ্ঞানলাভে জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও, কোরানের কথা। বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনে হিব্রু ভাষা শেখ, বর্তমান বাংলাদেশের কথা। এখনও হিব্রুর প্রচলন হয়নি সেখানে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে। তবে ভালমতই চালু রয়েছে কোরিয়ান-ইতালিয়ান-মালয়েশিয়ান ভাষা পর্ব। মুখে ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে।
ভাষার মাস। ভাষার দিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এতো আমাদেরই অবদান। সবাই- অবাক তাকিয়ে রয়। ক্রিকেটে সেঞ্চুরী না হতে পারে বইমেলায় প্রতিদিন নতুন বইয়ের সেঞ্চুরী পুর্ন হয়। বেষ্টসেলারের নতুন সংস্করন প্রতিদিন। লেখক নিজেই ষ্টলে উপস্থিত থাকবেন। আপনারা দলেদলে যোগ দিন। মাতৃভাষা প্রয়োগ করুন।
একবার এক বিদেশীর সাথে থাকা অবস্থায় রাস্তায় দুজনের মাতৃভাষার সংলাপ শুনে কান গরম হয়ে উঠল। একজনের সাথে আরেকজনের কি সম্পর্ক, কার জন্মদাত্রী কে এসব যদি জিজ্ঞেস করে বসে ? আড়চোখে তাকালাম তার মুখের দিকে কথার অর্থ বোঝে কিনা জানার চেষ্টায়। তিনি আস্বস্ত করে বললেন, সকলের আগে ওই শব্দগুলোর অর্থ শিখে নিয়েছি। একজন বলেছে ওগুলোই বেশি ব্যবহার হয়। ওথেকেই বুঝে নিতে হয় আন্তরিকতার পরিমান।
কাজেই, ভাষার গর্ব করুন। বাংলাভাষা দেশেই থেমে নেই। ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বাইরে। হয়ত হলিউডের **** *** শব্দের সাথে বাংলা শব্দও শোনা যাবে একদিন। আমরা এই ভাষাকে ছড়িয়ে দেব সবখানে।
আর ইংরেজি। ওটা ছাড়া জাপানীরা বিশ্বে দ্বিতীয়  ধনী দেশ হতে পারে। ওরা নিজের দেশে থাকে, দেশে কাজ করে। আমাদের শিখতেই হবে। যত ভাল ভাল চাকরী সব যে বিদেশে।

শপথ করিতেছি যে

Feb 20, 2010
শপথের বহর খুব ভালভাবেই দেখেছেন সবাই। সারা দেশে। বড় থেকে ছোট, ছোট থেকে বড়। এইমাথা থেকে ওইমাথা। শপথ করছি নিজে বদলাব। দেশ বদলে দেব। বিশ্ব বদলে দেব। চুরি করব না, ছিনতাই করব না, ঘুষ নেব না, টেন্ডারবাজি করব না, দুর্নীতি করব না। ছবিটা ঠিকমত তুলেছেন তো!
তারপর কি কারনে সেই ঝড় থেমে গেল। নিশ্চয়ই সবাই বদলে গেছে। অন্যকে বদলে দিয়েছে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে শপথের সেই চিরাচরিত নিয়মই বলবত। চলে আসছে কয়েক হাজার বছর ধরে। সেই কোন গ্রীক ডাক্তার নাকি নিয়ম করে গেছেন, ডাক্তার হতে হলে আগে শপথ করতে হবে। তার নামেই শপথ। চিকিসা করাই ডাক্তারের মুল কর্ম। মুল ধর্ম। মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ ছাড়াই চিকিসা করে যাব।
তারপর সেই শপথপর্ব শেষ হলে যেই লাউ সেই কদু। রোগি অপারেশন টেবিলে, টাকা কই ? যদি মইরা যায় তাইলে ট্যাকা দিব ক্যাডা ? আগে ট্যাকা ছাড়েন তারপর ছুরি চালাইতাছি।
শুধু ডাক্তার কেন, শপথের নিয়ম প্রচলিত সব যায়গায়। রীতিমত অনুষ্ঠান করে, টিভি ক্যামেরা সামনে এনে শপথ। চেয়ারম্যান হবেন, সংসদ সদস্য হবেন, মন্ত্রী হবে, প্রধানমন্ত্রী হবে, বিচারপতি হবেন, কোথাও মাফ নেই। শপথের দরজা পেরতে হবে। যা বলা হয় সুর মিলিয়ে সেটা বলে যেতে হবে। পড়ে দেখা প্রয়োজন নেই, সেকাজটা আরেকজন করে দেবে। তারপর হাসিমুখে ভুলে যাবেন তোতাপাখির মত কি বলেছেন (শপথের কাগজটা নিশ্চয়ই বাধাই করে দেয়া হয় না ড্রইংরুমে টাঙানোর জন্য)।
তা এতে অবাক হওয়ারই বা কি আছে! এতো শুধু এখানকার কথা না, সারা বিশ্বের কথা। ওইযে দুনিয়ার একেবারে উল্টোদিকে যে আমেরিকা সেখানেও একই নিয়ম। বারাক ওবামা শপথ করে বললেন তিনি সংবিধান মেনে চলবেন। সংবিধান রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করবেন। তারপরই প্রেসিডেন্ট অবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হয়ে গেলেন। সেটা নাকি আমেরিকার সংবিধান ভংগ করা। সেখানে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় নাকি ওসব হওয়া যায় না। একজন আবার শপথ আর সেই মিটিং, দুই ভিডিও একসাথে করে টিভিতে দেখিয়ে দিল। তার দোষ না হলে আমাদের দোষ কোথায় ?
রাজনৈতিক দলের সদস্য হওয়ার সময় নিশ্চয়ই শপথ করতে হয়। অন্তত মনে মনে হলেও। নিজের দলের স্বার্থ রক্ষা করব। দেশের স্বার্থ রক্ষা করব। কিন্তু সবসময় কি ওসব মানা যায়! আমাকে বাদ দিয়ে আরেকজনকে প্রমোশন দেবে, নমিনেশন পাবে আরেকজন তখন কি ওসব মানলে চলে। নিজে ঠিক থাকলে তবেই না দলের ভাল করা যায়। ওই সামান্য শপথ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কোথায়?
শপথের ব্যতিক্রম একটামাত্র যায়গাতেই। যেখানে কেউ শপথ ভাঙে না। ভাঙলে সরাসরি বিপদ। নিজে তখনকার মত কোনমতে কষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া যায় বটে কিন্তু বাকী জীবনে শান্তির পথ বন্ধ। আর যদি বাংলার বাঘের কবলে পড়তে হয় তাহলে তো কথাই নেই।
কাজেই, শপথ করিতেছি যে, যদি ধরা পড়ি, তাহলে কেউ কারো কথা বলব না। চাকুরি ছাড়লে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, এলাকা না ছাড়লে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হবে।
আগে বলা হয়নি, এই শপথ নেয়া হয় মাজারে। গাড়ি চুরির দলে যোগ দেয়ার সময়।

এমন শহর কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি।

Feb 15, 2010
বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় - ইকোনমিষ্ট পত্রিকার এই অভিমতের সঙ্গে আপনি কি একমত ? উত্তর দিন। হ্যা, না অথবা মন্তব্য নেই।
এটা অনলাইন জরিপ। ছাপা হয়েছে জনপ্রিয় দৈনিকের অনলাইন ভার্শনে।
অনেকেই ভোট দিয়েছেন। আপনিও দিয়েছেন নিশ্চয়ই। হ্যা অথবা না। অথবা মন্তব্য নেই। যদি মন্তব্য না থাকে তাহলে কষ্ট করে ভোট দেবেন কেন জানি না। গত নির্বাচনে একটা ব্যবস্থা ছিল, আপনি ইচ্ছে করলে বলতে পারতেন কোন প্রার্থীকেই পছন্দ করেন না। সবাই চোর-বাটপার। এখন সে সুযোগ নেই। যদি সকলের বিপক্ষে মত জানাতে হয় তাহলে একমাত্র উপায় ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া। অনেক দেশে নাকি এটাই পদ্ধতি। যেকারনে নির্বাচন বৈধ হওয়ার জন্য ৫০ ভাগের বেশি মানুষকে ভোট দিতে হয়। যে বিজয়ী হবে তাকেও এককভাবে ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে হয়। ৪৯ ভাগ ভোট পেলেও ধরে নেয়া হয় বাকি ৫১ ভাগ তার বিপক্ষে। কাজেই তিনি উপযুক্ত নন।
এই নিয়ম এখানেও প্রয়োগ করতে পারেন। হাজার দেড়েক কিংবা দুয়েক সাচ্চা দেশপ্রেমিক ভোট দিলেন। তারা কোন অবস্থানেই দেশের গৌরব ভুলুন্ঠিত হবে দেবেন না। কোথাকার কোন পত্রিকা সে কি-বা বলে বসবাসের অনুপযুক্ত। সবচেয়ে দুষিত, সবচেয়ে ঘনবসতি, সবচেয়ে অপরিপল্পিত, সবচেয়ে বেশি যানজট, সবচেয়ে বেশি ভুমিকম্পের ঝুকি, সবচেয়ে অনিরাপদ, পানি-বিদ্যুত সব বলা হয়ে গেছে। এখন এরসাথে যোগ করছে আর কি করা যায়। যেন রাবন পেয়েছে। নাকাল করো আরো, যে যেভাবে পারো। যদি বসবাসের অনযপযোগীই হয় তাহলে প্রতিদিন-প্রতিমুহুর্তে হাজার হাজার লোক ঢাকায় ঢুকছে কেন ? দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা পথঘাট কিলবিল করছে কেন ? কই, একজনও তো বলে না ঢাকায় থাকব না। ঢাকার বাইরে থাকব। যত্তোসব-
আসলে সমস্যা অন্য যায়গায়। সংখ্যাতত্ত্বে। সেই হাজার দুয়েক যদি দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিয়ে প্রমান করেনও, এমন শহর কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি, তাহলেও, বাকি যারা তাদের মত কি ? ঢাকার দেড় কোটি থেকে হাজার দুয়েক বাদ দিলে কত থাকে ? কিংবা দেশের ১৬ কোটি থেকে হাজার দুয়েক বাদ দিলে!
আমরা আসলে ওসব হিসেব-নিকেশ নিয়ে মাথা ঘামাই না। এদেশ আমার গর্ব। যা থাকে থাকুক। তুমি বাপু নাক গলানোর কে ? কটাকা দিয়েছ ? জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপুরনের টাকাটা পর্যন্ত দিলে না আবার বড়বড় কথা। ভাত দেবার মুরোদ নেই কিল মারার গোসাই।
আর কে কি মত দিল তাতে কি যায় আসে। আমরা কখনও একমত হই না। আমরা সবসময় বহুমতে বিশ্বাসি। রামকৃষ্ণ বলে গেছেন, যত মত তত পথ। একজন যদি বলে ফুটপাতের দোকান, রাস্তার পার্কিং বন্ধ করা উচিত আরেকজন নিশ্চয়ই বলবে দোকান দেয়া, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা তাদের অধিকার। একজন যদি বলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা উচিত আরেকজন নিশ্চয়ই বলবে ছাত্ররাজনীতিই দেশের গৌরব। আজ যারা দেশ চালান তারাই একসময় ছাত্রনেতা ছিলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞতা নিয়ে তবেই তো দেশ চালানোর কাজে হাত দেয়া যায়।
ওসব একমত হওয়ার পক্ষে আমরা নই। যাদের মাথায় কিছু নেই তারাই একমত হয়। অন্যে যা বলে তারসাথে হ্যা-হু করে।
আপনি হ্যা বলুন আর না বলুন আর মন্তব্য নেই বলুন, এমন শহর কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি।

নিজের মান নিজে রাখি

Feb 12, 2010
নিজের মান নিজে রাখি, কাটা কান চুলদিয়ে ঢাকি এটা বাংলা প্রবাদ নিজের মান রাখার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয় এবং এজন্য কান কাটা থাকলে তাকে চুল দিয়ে ঢেকে রাখতে হয় নইলে মান থাকে না
আসলে কান কাটার বিষয়টি অনেক পুরনো বলা যেতে পারে ঐতিহ্যগত ডাকাতি কিংবা বড় ধরনের অপরাধ করলে ধরে নাক-কান কেটে দেয়া হত ফল হত মারাত্মক পথে বেরলেই যে দেখত সে জেনে যেত অমুকের কান কাটা নিশ্চয়ই বড়ধরনের কিছু করেছে পথে বেরনো দায়। মানসন্মান বলে কিছু থাকে না।
কাজেই বিকল্প খুজতে হয়। ঢাকতে হয় কিছু দিয়ে।
কান কাটলে সেটা সহজেই ঢেকে ফেলা যায় চুল দিয়ে কানের অবস্থান সেজন্য বেশ মানানসই লম্বা চুলের প্রচলনও হয়ত সেকারনেই।
সমস্যা হত নাক কাটা গেলে সেটা ঢাকার ব্যবস্থা ছিল না আর গবেষকরা গবেষনা করে বলছেন বিশ্বের প্লাষ্টিক সার্জারীর প্রচলন হয়েছিল একারনেই, ভারতবর্ষেই
প্লাষ্টিক সার্জারীর সাথে প্লাষ্টিকের কোন সম্পর্ক নেই একথা বলার প্রয়োজন নেই এরসাথে সম্পর্ক শরীরের অন্য অংশের এক যায়গার চামড়া কিংবা মাংশ কেটে আরেক যায়গায় লাগানো প্রাচীনকালে এক যায়গা থেকে কেটে এনে আরেক যায়গায় নতুনভাবে লাগানোর ব্যবস্থা জানা ছিল না যা করা হত তা হচ্ছে কপালের দিক থেকে চামড়া কেটে উল্টে দেয়া কাটা নাক বেশ ঢেকে যেত
মুল কথায় ফিরি আজকাল ওভাবে প্রকাশ্যে নাক-কান কাটার প্রচলন নেই তখন ছিল কারন তখন মানবাধীকার বলে কিছু ছিল না। এধরনের কোন পেশা ছিল না এখন আছে এবং খুব ভালভাবেই আছে একজন অপরাধীকে ধরে মেরে ফেলবেন সেটা হবার না চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারী-মলমবাজ-চাদাবাজ যাই হোক না কেন তবে নিরপরাধ যদি মারা যায়, ছিনতাইকারীর হাতে যদি পথচারী মারা যায় তাহলে তেমন আপত্তি নেই ক্রশফায়ারে যদি একজন সন্ত্রাসী মারা যায় সেটা মানবাধীকার লংঘন, সন্ত্রাসীর হাতে কেউ মারা যেতেই পারে টিয়ারসেলে যদি ছাত্র মারা যায় তাতে কিছু যায় আসেনা অমনটা ঘটতেই পারে ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র মারা গেছে, এ-কি নতুন কিছু !
দাড়ান, দাড়ান
কে মারা গেছে ? কোন দলের ?? আমাদের ???
এমন ঘটনা ঘটতে দেয়া যায় না। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। দেশ বাচাতে এর ব্যবস্থা নিতেই হবে। আপনারা আওয়াজ তুলুন। কে কোথায় দেশপ্রেমিক আছেন, মুক্তবুদ্ধির মানুষ আছেন, স্বাধীনতার পক্ষের লোক আছেন, আওয়াজ দিন। দুচারজন রাজাকার মারা গেলে সে নিয়ে কথা বলার কি আছে। ওতে তো আপদ যায়। আমেরিকা পর্যন্ত বলেছে ওসব সন্ত্রাসী দল। তাদের কথা কি ফেলা যায়। আর বেওয়ারিশ মারা গেলে মাথা ঘামানোর কি আছে ? যার কোন দল নেই সে আবার কে !
তাই বলে নিজেদের কেউ মারা যাবে আর হাত গুটিয়ে বসে থাকব তা-কি হয় ? তদন্ত, তদন্ত, তদন্ত। কতরকম তদন্ত আছে করুন। আমার কথা মানতে হবে।
আজকাল নাক-কান কাটা ছুরিকাচি দিয়ে কাটা যায়না। সেটা জঘন্য অবরাধ। আর প্রচলিত যে কথা আছে, দুর্নামে কান কাটা গেল সেটাও হয় না।
কারন, কাটা কান ঢাকার মত চুলের অভাব নেই। চুল কিংবা পরচুলা যা-ই বলুন।

সত্যবাবু মারা গেছেন

Feb 3, 2010
সত্য নাকি একটাই হয়!
একদম বাজে কথা। সেই অন্ধের গল্প মনে আছে নিশ্চয়ই। চোখে দেখতে পায় না বলে কয়েকজন মিলে হাতড়ে দেখার চেষ্টা করল হাতি কেমন। তারপর তাদের বক্তব্য, হাতি দেয়ালের মত, হাতি কলাগাছের মত, হাতি কুলার মত।
আপনি বলছেন তারা মিথ্যেবাদি ? মোটেই না। সকলেই সত্য বলেছেন।
কখনো কখনো বিষয়টি হাতি দেখার এত সরল থাকে না। রীতিমত খটকা লাগিয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি ক্রশফায়ার পছন্দ করেন না, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ক্রশফায়ার বলে কিছু নেই। আর র‌্যাব প্রধান বলছেন এটা প্রয়োজনে করা হয়।
সবার কথাই ঠিক। প্রধানমন্ত্রী সত্যিসত্যিই পছন্দ করেন না। কাজেই তার কথা ঠিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন, ক্রশফায়ার বলে কিছু নেই এটাও ঠিক। বিশ্বে আজ পর্যন্ত এমন অস্ত্র তৈরী হয়নি যেটা গিয়ে গুলি করলে ক্রশফায়ার হয়। তাকে বড়জোর ফায়ার বলা যেতে পারে। আর র‌্যবের প্রধান বলেছেন বাস্তবতার কথা। কাকে মিথ্যেবাদী বলবেন ?
কিংবা ধরুন দেশের মানুষের কথাই। রীতিমত গবেষনা করে, তথ্য উপস্থাপন করে বলা হল ৪ বছরে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। আর জাতিসংঘ হিসেব করে বলছে দারিদ্র কমছে না বরং বাড়ছে। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে এই ঘটনা ঘটছে। তাদের হিসেবে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে ৫০ ভাগের বেশি মানুষ।
এখানেও, বাহুল্য হলেও বলতে হচ্ছে, দুজনার কথাই ঠিক। শতকরা হিসেব যখন করা হয় তখন সাড়ে ৫০ ভাগ বলতে ৮ কোটির বেশি মানুষ বুঝায়। তারা দরীদ্র হয়েছে, হচ্ছে, আরো হবে। চালের দাম, যাতায়াত খরচ, বাড়িভাড়া বাড়ছে বানের পানির মত। সরকার দশটাকা কেজি চাল দেয়ার কথা বলেছিল, মানুষ ৪০ টাকাতেও পাচ্ছে না। সেখানে আবার নতুন প্রতিভার সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউরিয়া দিয়ে চাল সাদা করা। যাই হোক, মানুষের আয় বেড়েছে যত টাকা ব্যয় বেড়েছে তারচেয়ে অনেক বেশি টাকা। কাজেই জাতিসংঘের রিপোর্ট ঠিক।
আবার চারিদিকে যদি একবারমাত্র দৃষ্টি বুলান, মধ্যম কেন রীতিমত ধনী দেশে পরিনত হচ্ছে, হয়ে গেছে এটাও ঠিক। কোটি টাকার গাড়ি, কোটি টাকার বাড়ি চারিদিকে। বাড়ি ভাড়া নেবেন, লক্ষ টাকা এডভান্স। দোকান ভাড়া নেবেন, দশ লক্ষ।
একবার পোষাকের দিকে দৃষ্টি দিন। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই। খাবারেই বা পিছিয়ে থাকবে কেন ?
কাজেই কেউই ভুল বলেননি। মিথ্যে বলেননি। মিথ্যে বলা মহাপাপ। এদেশে কোন মহাপাপী নেই।
মন্ত্রী বলেছেন ৪ বছরে দেশের নিরক্ষরতা দুর করা হবে। কাজ বহুদুর এগিয়ে গেছে। আর রিপোর্ট বলছে দেশে নিরক্ষরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবিসি রীতিমত উদাহরন দেখাচ্ছে পঞ্চম শ্রেনী পাশ করা ছাত্র বাংলা বর্নমালা চেনে না। এমন ঘটনা নাকি ভুড়ি ভুড়ি।
এখানেও দুপক্ষই ঠিক। তারা পঞ্চম শ্রেনী পাশ করেছে। ৫ বছর ধরে স্কুলের খাতায় নাম রেখেছে, সেই নাম দেখে সরকারী টাকা গেছে। সেই টাকা মহত শিক্ষক থেকে শুরু করে ভাতা হিসেবে ছাত্রও পেয়েছে। কাজেই তারা নিরক্ষর নেই। রীতিমত শিক্ষিত। যেটুকু শিক্ষিত অবশিষ্ট আছে তা দুর হবে কদিনেই। অন্যদিকে,
সেই স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন  ব্যক্তি যখন কাজে গেছেন, কাগজে লেখা ঠিকানা কোথায় দিতে হবে বোঝেন না তখন তখন তাকে নিরক্ষর বললে নিশ্চয়ই মিথ্যে হয় না।
আসলে সত্য বহুরুপী। কোনদিক থেকে দেখবেন সেটাই বিষয়। নিতান্তই যদি এই গোলমেলে হিসেবে না যেতে চান তাহলে ধরে নিন, সত্যবাবু মারা গেছেন।

মানি না মানব না

Feb 1, 2010
প্রতিদিন কত খবরই তো ছাপা হয় পত্রিকার পাতায়। সব দেখলে কি চলে ? যদি সেটা ছোট্ট খবর হয় তাহলে দেখার দরকার কি ? বাংলাদেশের জন্য শিক্ষার্থী ভিসার ব্যবস্থা বাতিল করেছে যুক্তরাজ্য, এটা কি কোন খবর ? খবর হত যদি শ্রমিক নেয়া বন্ধ করত। মাঝেমাঝে মালয়েশিয়া যেমন গরম খবর দেয়।
ওরা বলেছে ওরা প্রকৃত ছাত্র দেখতে চায়। কথাটা তো ঠিকই। বাংলাদেশও একথাই বলে। যতখুশি শ্রমিক নাও আমরা দিচ্ছি। যত প্রয়োজন সাপ্লাই দেব, আমাদের কোন অভাব নেই। তোমরাই তো বাধা দাও। সেকারনেই ষ্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে বাধ্য হয় ওরা। ভেবেছেন ওরা পড়াশোনা করতে যায়। অক্সফোর্ডে-কেমব্রিজে। গুনে দেখুন তো কজন বাংলাদেশি আছে ওখানে ? ওসব পড়ার জন্য অতদুর যেতে হয় না। ঢাকা শহরেই রয়েছে অক্সব্রিজ। একঢিলে দুই পাখি।
ওরা আসলে যায় ওই কাজ করতেই। যেসব কাজ অন্যরা করে না সেইসব কাজ করবে। হোটেলে থালাবাসন ধোয়, বরফের মধ্যে রাস্তা পরিস্কার করা ওইসব। তোমাদেরও উপকার, আমাদেরও। অভিজ্ঞতাও আছে ওদের। কদিন ফুটপাতে দোকানদারী করেছে, কদিন বাসে কক্টাক্টরী করেছে। অন্যকিছুও করেছে। মাঝেমধ্যে কিছুটা গড়মিল করে সেটাও মানি। লন্ডনের ববি আর ঢাকার ঠোলার মধ্যে গড়মিল করে ফেলে। ধরে নেয় যোগ্যতা থাকলে ওখানেও ছিনতাই করা যায়। কিন্তু সে আর কজন।
শিক্ষার্থীর ভিসা দেবে না এটা খুব ভাল কথা, কতজন শ্রমিক নেবে সেটা পরিস্কার করে বল। আমরা কি জানি না তোমরা কিভাবে বড় হয়েছ ? এদেশ থেকে, সারা বিশ্ব থেকে সবকিছু লুটেপুটে নিয়ে জমা করেছ তোমাদের দেশে। এখন তোমরা সেরা ধনী। বিশ্বে চার নম্বর। পরের ধনে পোদ্দারী।
আর শিক্ষার্থী হিসেবে যদি যায়ই, তোমাদের ক্ষতিটা কোথায়। তোমরা নিজেদের ছাত্রদের কাছে যা নাও তারচেয়ে চারগুন বেশি নাও বিদেশীর কাছে। এই টাকা তোমাদের ছাত্রদের জন্য খরচ করে বাহাদুরী নাও। লাভের ব্যবসা। তারওপর এইসব কথাবার্তা। নিজের পায়ে কুড়ুল মারা আর কাকে বলে। অষ্ট্রেলিয়া-সাইপ্রাস যুগযুগ ধরে এই ব্যবসা করে আসছে তারা তো সমস্যার কথা বলছে না। অষ্ট্রেলিয়ার সার্টিফিকেটকে নাকি তোমরা দাম দাও না। তাতে আমাদের বয়েই গেল। তারা জানে লাভ কিসে। কিভাবে নিজের লাভ করতে হয়, কিভাবে পরের উপকার করতে হয়। কই তারা তো একবারও ছাত্র নেবনা একথা বলেনি। বরং তাদের লোক এসে কিভাবে আরো বেশি নেয়া যাবে সেই ব্যবস্থা করে। পাচতারা হোটেলে এডমিশন ফেয়ার। ইনষ্ট্যান্ট এডমিশন।
আরো কতকিছু জড়িত এর সাথে। শতশত প্রতিষ্ঠান এই ভিসার ব্যবস্থা করে পেট চালাচ্ছে, হাজার হাজার মানুষ ইউ-কে ফ্রি ভিসা ব্যানার লিখে পোষ্টার ছেপে বিজ্ঞাপন ছেপে দুপয়সা কামাচ্ছে সবার পেটে লাথি।
কাজেই, ভাইসব। তোমরা এক হও। আওয়াজ তোল, মানি না মানব না। বৃটিশের কালো হাত-
 

Browse