ভাল থাকার নয়া কৌশল

Jul 27, 2011
ভাল থাকতে কে-না চায় সবাই বলে সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন আরো কিকি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। যাতায়াতের জন্য মাইল দশেক হাটা উপকারী হলেও বাস্তবে সেটা সম্ভব হয় না, কিছু একটা বাহন প্রয়োজন হয়। আর গাছতলায়ও থাকতে পারেন না, কোথাও থাকতে হয়। এজন্য বাড়িভাড়া দিতে হয়। সরকার বলছেন আপনি মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করলে আপনার আয়ের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারকে ট্যাক্স দেবেন। বাস্তবে আপনি যখন ১৫ হাজার টাকা আয় করছেন তখন সেই টাকায় থাকার যায়গা হচ্ছে না। শুধুমাত্র বাড়িভাড়া দেয়ারজন্যই এরসাথে আরো টাকা যোগ করতে হচ্ছে। এরপর রিক্সা-বাস-ট্যাক্সি যাই বলুন না কেন, সেটা যোগ হচ্ছে। আজকাল বাসভাড়াও শতটাকা, রিক্সাভাড়া আরো বেশি, ট্যাক্সিভাড়া হিসেবের বাইরে।
আপনি না খেয়ে থাকবেন না। সরকার দাম বেধে দিয়ে অনেককিছুর। সেইদামেও যদি কেনেন তাতেও হাজার টাকার নোটে কুলায় না। কাজেই ভাল থাকতে হলে নয়া কৌশল না খুজে উপায় কি ?

পাগল বলে কি আপন পর বুঝি না

Jul 24, 2011
মোল্লা নাসিরুদ্দিন একবার বস্তাভর্তি গম গাধার পিঠে চাপিয়ে রওনা দিলেন সেগুলি ভাঙিয়ে আটা বানিয়ে আনবেন। তার এক প্রতিবেশি এসে বলল, ভাই নাসিরুদ্দিন, এরসাথে আমার একই গম টুকু যদি ভাঙিয়ে এনে দাও তাহলে খুব ভাল হয়। আমি অন্য কাজের জন্য যেতে পারছি না। হোজ্জা বললেন, ঠিক আছে।
দুজনের গত নিয়ে হোজ্জা চলেছেন। একজন সঙ্গিও আছে সাথে। হোজ্জা মাঝেমাঝে প্রতিবেশির বস্তা থেকে গত নিয়ে নিজে বস্তায় রাখছেন। তার সঙ্গি বলল, ওকি হোজ্জা মশাই। এক বস্তার গম আরেক বস্তায় রাখছেন কেন ?
হোজ্জা বললেন, আমার মাথায় একটু গড়মিল আছে। অনেক সময় উল্টাপাল্টা কাজ করি।
তার সঙ্গি বলল, তাহলে নিজের বস্তার গম অন্য বস্তায় রাখছেন না কেন ?
হোজ্জার উত্তর, পাগল বলে কি আপন পর বুঝি না!

আমাদের এক মহান রাষ্ট্রপতি আছেন

Jul 20, 2011
বিশেষন ব্যবহারের বেশকিছু রীতি আছে। আমি ব্যাকরনের কথা বলছি না, বাস্তব ব্যবহারের কথা বলছি। যদি ছাত্র উল্লেখ করেন তাহলে বিশেষন হচ্ছে মেধাবী। যদি গ্রামের মানুস উল্লেখ করেন তাহলে উল্লেখ করবেন সহজ-সরল। যদি ধর্নীয় বিষয় হয় উল্লেখ করবেন পবিত্র। সেকথা সংসদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদি সাংসদ, মন্ত্রী এদের বিষয় থাকে তাহলে বলবেন মাননীয়। আর সবাইকে ছাড়িয়ে যদি রাষ্ট্রপতি পর্যায়ে যান তাহলে বলবেন মহামান্য।
বাংলাদেশে এটাই আইন। আপনি রাষ্ট্রপতি ছাড়া কাউকে মহামান্য বলতে পারেন না।
কাজেই সেই মহামান্য ব্যক্তি মহান হবে এটাই তো স্বাভাবিক। অন্য কারো যে ক্ষমতা নেই সেই ক্ষমতা তার আছে। জজ কোর্ট, হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট যদি হার মানে তাহলে তারকাছে ধর্না দেবেন। অন্তত খুন করেও মৃত্যুদন্ড থেকে বাচার এটা সবচেয়ে নিরাপদ এবং প্রমানিত পদ্ধতি।

নিজের ঘরে এডভেঞ্চার

Jul 19, 2011
একজন মানুষ নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করে যাচ্ছে এমন রোমাঞ্চকর দৃশ্য দেখতে খুবই ভাল লাগে। ড্রইংরুমে বসে দেখবেন ভুমিকম্প, ঘুর্নিঝড়, জলোচ্ছাস, আগ্নেয়গিরি কিংবা পারমানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই। তারপর বলবেন, আহা কি চমতকার। এটাই তো মানবজাতির পরিচয়। এভাবেই তো আদিমানব জাহাজ-নৌকা ছাড়াই সাগরপাড়ি দিয়েছে, এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে গেছে, এক মেরু থেকে আরেক মেরুতে গেছে, এভারেষ্টের চুড়ায় উঠেছে।  আজও করছে। ওইতো মুসা-মুহিত এভারেষ্টের মাথায় উঠেছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে।
ঘরে বসে হাই ডেফিনিশনে এসব দেখার মজাই আলাদা। খরচ তো বেশি না। ৫০ টাকা হলেই ডিভিডি কেনা যায়। টিভিটার দাম একটু বেশি এই যা। সাথে হোম থিয়েটার সাউন্ড। মনে হবে ঘটনার মধ্যেই বসে দেখছি। যারা এসব তৈরী করেন তারাও জানেন মানুষ কি পছন্দ করে। কোটি ডলার ব্যয় করে তৈরী করেন একেবারে পছন্দসই দৃশ্য।

বাংলাদেশে জনসংখ্যা কমছে

Jul 16, 2011
আজকাল পত্রিকা-টিভি-অনলাইনে অনেকেই খারাপ খবর শুনতে শুনতে বিরক্ত হেলপার গাড়ি চালিয়ে ৪৭ জন স্কুলছাত্রকে পানিতে ফেলে মেরেছে, শিক্ষক ছাত্রী ধর্ষন করেছে থেকে শুরু করে রাজনীতির খবর, কোথাও ভাল কিছু নেই সবাই (বকারাম সহ) উঠেপড়ে লেগেছে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে মাঝেমাঝে সরকার যখন বলেন বর্তমানের মত এত উন্নত অর্থনীতি ইতিহাসে কখনো ছিল না তখনো কিছু মানুষ ঘাড়বাকা করে বলে এমন দুর্মুল্যও কখনো ছিল না যখন বলেন এমন গনতন্ত্র আগে কখনো ছিল না তখনো তাদের বক্তব্য এত নির্লজ্জ দলীয়করন আগে ছিল না যখন বলেন এত ভাল আইনসৃংখলা পরিস্থিতি আগে কখনো ছিল না তখন বলেন আগে পুলিশের পরিচয় পুলিশই ছিল, ছাত্রলীগ ছিল না যখন বলেন বিদ্যুত ব্যবস্থার সমাধান হয়ে গেছে তখনও বলেন ঢাকার বাইরে বিদ্যুত মাঝে মাঝে যায় না, মাঝেমাঝে আসে এমনকি অর্থমন্ত্রী যখন বলেন শেয়ার বাজার স্থিতিশীল, ভাল করছে তখনও অনেকে বলেন এটা আরেক ধাক্কা একমাসে বিও হিসেব বন্ধ হয়েছে সাড়ে ৫ লক্ষ, তারপরও শেয়ার বিক্রির রেকর্ড ধন্য ধন্য

কীর্তিমানের কীর্তি

Jul 15, 2011
বকারামের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা হচ্ছে;
বিষয়টি বকারামের বকা সম্পর্কিত। অধিকাংশ মানুষ (ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যারা কোনভাবে বকারামের সাইটে ঢুকে পড়েন) রাবারের বলের মত ছিটকে বেরিয়ে যান। গুগল এই ছিটকে বেরিয়ে যাওয়াকে বলে বাউন্স। যিনি সাইটে ঢুকে পরমুহুর্তেই চলে গেছেন। এটাই বলে দেয় বকারামের বকাবকি অধিকাংশের কত অপছন্দ।
তারপরও কেউ কেউ কিছুটা ধৈয্য ধরে দেখার চেষ্টা করেন, কেউ কেউ নিয়মিত। সেকারনেই এখনও বকাবকি থামেনি। যদিও থামার সম্ভাবনা যথেষ্ট।
এভাবে শুরু করার অর্থ হচ্ছে, সবাই বকাবকি করেন না। অত্যন্ত গুছিয়ে, ইতিহাসের রেফারেন্স ব্যবহার করে, অভিধান থেকে শব্দ খূজে তবেই যথার্থভাবে প্রয়োগ করেন। তারা কীর্তিমান। আর কীর্তিমানের কথা সবাই শোনে।
আজকের কাগজখানাই দেখুন না। অনেক কীর্তিমানের ছবিসহ তাদের বক্তব্য ছাপা হয়েছে। বিষয়ওটিও অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। কেবলমাত্র উচুমানের শিক্ষিত হলে তবেই মর্মে প্রবেশ করে। বিষয়টি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা।
বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মরিপেক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এদেশে কেবলমাত্র মুসলমান বাস করে না যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলার রাখবেন। অন্য ধর্মের যারা আছে আদেরও অধিকার সমান। কাজেই সংবিধানে সেকথা থাকতে হবে।
একটু পুরনো দিনের কথা দিয়েই কারনটা ব্যাখ্যা করা যাক। ৪৭ এর দেশবিভাগের সময় মস্ত দাঙ্গা হয়েছিল। ভারত থেকে ট্রেনভর্তি লাশ পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানে, পাকিস্তান থেকে ট্রেনভর্তি লাশ পাঠানো হয়েছে ভারতে। আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশ এলাকায় (পুর্ব পাকিস্তান) এধরনের কিছু ঘটেনি।

রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের নাম পাল্টান

Jul 14, 2011
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার কে এনিয়ে কোন সন্দেহ থাকা অনুচিত। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান হিসেবে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেই তিনি জনগনের ভোটে সর্বশক্তিমান হয়েছেন। কাজেই দাবীটা তার একারই। তারপরও সামান্য একটু বিষয় থেকে যায়। ইদানিং নোবেল পুরস্কার কথাটা বেশ ঘনঘন শোনা যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যানে বাঙালী জাতি আরেকবার ওই সৌভাগ্যের সুযোগ পায় তাহলে সেটা নিয়ে টানাটানি ভাল দেখায় না। একবারই যথেস্ট টানাটানি হয়েছে।
কথাটা বলতে হচ্ছে কারন এখানে একজন প্রতিদ্বন্দি রয়েছে। তিনি অনেক বছর ধরেই ডিজিটাল ডিজিটাল বলে হাহাকার করছেন। মাল্টিমিডিয়া বিশেষজ্ঞ হিসেবে একবার দেশের সবাইকে মাল্টিমিডিয়া শেখানোর জন্য এখানে-ওখানে-সেখানে স্কুল খুলেছিলেন। সেটা ফ্লপ করেছে বটে, তিনি মাল্টিমিয়া বিশেষজ্ঞ খেতাবটিও ব্যবহার করেন না। পরিবর্তে যা ব্যবহার করেন সেকারনেই সন্দেহ। টিভিতে নিয়মিত অনুষ্ঠান করেন, নিয়মিত পত্রিকায় কলাম লেখেন, স্কুলের টেক্সট বইতেও তার লেখা পড়ানো হয়। আর নামের সাথে ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ইত্যাদি। শংকাটা সেকারনেই।

বাঙালীর নৃতত্ত্ব এবং না-তত্ত্ব

Jul 13, 2011
বাঙালীর বয়স মোটামুটি হাজার-এগারশ বছর। এর আগে এই অঞ্চলে মানুষ বাস করলেও তারসাথে বাঙালী কিংবা বাংলা এইজাতিয় শব্দগুলি ছিল না। বাঙালীর নৃতত্ত্ব নিয়ে খুববেশি গবেষনা কেউ করেননি। অন্তত বাজারে বই খুজতে গেলে পাবেন না। যে দুচারজন্য করেছেন এটা তাদেরই বক্তব্য। কাজেই যদি খুত ধরতে চান তাহলে তাদের খোজ করবেন।
তারা বাঙালীর বর্ননা করেছেন বাঙালীর মতই। বাঙালী কেমন ?
তারা লম্বাও না বেটেও না। গায়ের রং কালোও না ধলাও না। নাক বোচাও না উচুও না। চুল কোকড়ানোও না সোজাও না। যাকিছু বর্ননা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন তার সবকিছুকে না বলবেন, তারপর যা অবশিষ্ট থাকে সেটাই বাঙালী।

পালানোর পথ নেই

Jul 10, 2011
বাংলাদেশে এখন খবর বলতে একটাই, আন্দোলন আর হরতাল। লাঠিপেটা আর গাড়ি পোড়ানো। এই আগুনের তাপে বাজারে যে আগুন লেগেছে সেটাও চাপা পড়েছে। সমাজের উচু থেকে নিচু পর্যন্ত সবার মুখে ওই একই কথা, হরতালে দেশের সর্বনাস হচ্ছে নয়ত আরো হরতাল চাই। এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির অবসান চাই নয়ত এই একদলীয় ব্যবস্থার অবসান চাই। দুপক্ষের গলাই জোড়ালো।
এখন দুপক্ষ বলাও কঠিন। আসলে বহুপক্ষে জট পাকিয়ে গেছে। সরকার এবং তার সমর্থকরা যখন জানাচ্ছেন সকলের সাথে পরামর্শ নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে এই প্রথমবার রাতের বদলে দিনে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, গনতন্ত্র রক্ষা করা হয়েছে, দেশকে অবৈধ ক্ষমতার হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে তখন বিপক্ষ শিবির পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে। সবার সাথে আলোচনা করে সবার মত নিয়ে যদি সংবিধান সংশোধন করা হয় তাহলে প্রতিবাদ করছে তারা কারা। ওখানে যে শুধু বিরোধী দল নেই, ইসলামি বলে রীতিমত একটি জোট রয়েছে, আবার সরকারের মহাজোটের অংশও রয়েছে। তারা একবার সংশোধনের মত দিল আবার রাস্তায় নেমে পুলিশের লাঠিপেটা খেল এটা কিভাবে সম্ভব?

নিরপেক্ষতার বাজার ভাল

Jul 9, 2011
কেউ কেউ কবি নয় সকলেই কবি, কথাটার মানে কি ঠিক জানা নেই। এর বক্তব্য কি এই যে কবি হিসেবে কাউকে পৃথক করা প্রয়োজন নেই কারন সকলেই ওই দলে। তাহলে প্লেটোর কথা অনুযায়ী সবাইকে রাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে হয়। তিনি সেটাই চেয়েছিলেন। তাদের সাথে কারাপ আচরন করবেন না, ভালভাবেই বলবেন, আমার আদর্শ রাষ্ট্রে কবির প্রয়োজন নেই।
কবির প্রয়োজন না থাকলেও ব্যবসায়ীর প্রয়োজন অবশ্যই আছে। ব্যবসার মুল আদর্শের কারনেই হোক আর বাস্তবিক কারনেই হোক। আদর্শিক কারন হচ্ছে জনগনকে সেবা দেয়া। আপনি জাপানী জিনিষ কেনার জন্য জাপান যেতে পারেন না। ব্যবসায়ীর কাজ হচ্ছে জাপান থেকে জিনিষটি এনে আপনার কাছে পৌছে দেয়া এবং বিনিময়ে কিছু লাভ করা। আর বাস্তবিক কারন হচ্ছে লাভ করা। যেকাজে লাভ সেকাজ করবেন, যেভাবে লাভ বেশি সেভাবে করবেন। কখনো বেশি এনে লাভ বেশি, কখনো গুদামে জমা করে লাভ বেশি।

বিনা টিকিটের দর্শক

Jul 8, 2011
টিভি দেখতে টিকিট কাটতে হয় না। কোনমতে এটা টিভির সংস্থান করতে পারলে বিনে পয়সায় দেখা যায়। টিভির শোরুমের সামনে দাড়ালে বিশাল টিভিও দেখা যায় বিনে পয়সাতেই। ব্যক্তিগতভাবে নিজে টিভি দেখার ভক্ত নই। এমনকি খবরও না। কখনো টিভির সামনেও যাওয়া হয় না। তারপরও প্রযুক্তি যখন সুবিধে দিয়েছে তখন রাতে ঘুমানোর আগে বিছানায় শুয়ে ল্যাপটপে খোজ করা যায়, কোথাও খেলা সরাসরি দেখাচ্ছে কিনা। বিনে পয়সায় ষ্টেডিয়ামের ভেতর দেখা যায় যখন। আর তখনই, এক চ্যানেল থেকে আরেক চ্যানেলে যাওয়ার পথে অন্য দৃশ্যও দেখা যায় ফাও হিসেবে।

বাঘে-মোষে লড়াই করে

Jul 7, 2011
বাঘে-মোষে লড়াই কথাটা কিভাবে চালু হয়েছে বোঝা কঠিন অন্তত বাস্তব যুক্তিতে মেলে না বাঘ থাকে সুন্দরবনে, সেখানে মোষ নেই কোনকালে হয়ত ছিল, বর্তমানে যে নেই সেটা শতভাগ নিশ্চিত বর্তমান বাংলাদেশে মোষ নামের যে প্রাণী দেখা যায়, যার মাংশকে গরুর মাংশ বলে চালানো হয়ে সে নিতান্তই গোবেচারা প্রাণী গরুর থেকেও নিরীহ বাঘের সাথে লড়াই করতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না
আবার লড়াই করা মোষ রয়েছে আফ্রিকায় তাকে ভয় করে না এমন প্রাণী নেই শক্তিতে পেরে ওঠে এমন প্রানীও নেই তার সাথে বাঘের লড়াই কথাটাও মানায় না কারন সেখানে বাঘ নেই অন্তত আমরা যাকে বাঘ বলি সেটা হতে পারত মোষে-সিংহে লড়াই কিন্তু আফ্রিকার মোষ এমনই প্রাণী যে নিতান্ত অনাহারে মারা যাওয়ার অবস্থা না হলে সিংহও তার ধারেকাছে যায় না
যেভাবেই হোক কথাটা চালু হয়েছে বাংলাদেশে বাঘ এবং মোষ কোনভাবে লড়াই শুরু করেছে আর যেখানে লড়াই করছে সেখানকার লতাপাতা জীবন দিচ্ছে তারা না পারে এই পক্ষে যোগ দিতে না পারে ওই পক্ষে
এদিকে লড়াইও থামার লক্ষ নেই কোন পক্ষ জেতে না, কোন পক্ষ হারে না

বাংলাদেশে বেকার নেই

Jul 6, 2011
সুখবরটা প্রথমে দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী, বাজেটের সময়। তার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লক্ষ। শতকরা ৫ এর নিচে। অর্থনীতির হিসেবে একে স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়া হয়। কাজেই বাংলাদেশে বেকার বলে কিছু নেই।
কথাটা একেবারেই ঠিক। দেশর অধিকাংল মানুষ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জরিত। সবচেয়ে বেশী মানুষ জরিত কৃষি এবং মস বিষয়ক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে। আর কে-না জানে সবাইকেই একাজ করতে হয়। চাকরী করুন আর ব্যবসা করুন, চুরি করুন আর টেন্ডারবাজি করুন, শেয়ার ব্যবসা করুন আর ছিনতাই করুন, বাচতে হলে খেতে হয়। দিব্বি পকেটে টাকা নিয়ে চাল-মাছ কিনতে হয়। একে কি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বলে না!
টাকা কোন পথে কতটা পাওয়া গেল তাতে কিছু যায় আসে না। হাতে টাকা আসা অর্থ আপনি বেকার নন। ভিক্ষুক বহু টাকা আয় করে, অনেক চাকুরের চেয়েও বেশি। তাকে বেকার বলবেন কেন ? আর চাদাবাজি করে যদি কোটিপতি হওয়া যায় তাকেই বা বেকার বলবেন কোন সাহসে।

লাঠির দিকে হাত বাড়াবেন না

Jul 5, 2011
বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতি বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। অন্তত আমেরিকান-ইউরোপিয়ানদের মত নিজের স্বার্থ নিয়ে জীবন কাটান না। বরং নিজের স্বার্থ বাদ দিয়ে রাজনীতির স্বার্থ দেখেন। ব্যবসা প্রতিস্ঠান বন্ধু রেখে, অফিস কামাই করে, কারখানা বন্ধ রেখে মিছিলে যান। এত সচেতনতা আর পাবেন কোথায়!
ইদানিং সচেতনতা যে আরো বেড়েছে তাতেও সন্দেহ নেই। শেয়ার বাজারের সুচকের চেয়েও দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এরজন্য কোন সুচকের ব্যবস্থা নেই বলে গ্রাফ দেখা সম্ভব হচ্ছে না, কিন্তু যদি পত্রিকা কিংবা টিভি দেখেন তাহলে গ্রাফ প্রয়োজন হওয়ার কথা না। নাটক নির্মাতারাও ফেল মেরে যাচ্ছেন টক শো নির্মাতাদের কাছে। দুপক্ষের দুজনকে দাওয়াত করে এনে দুপাশে বসিয়ে দিন, ব্যস। ঘন্টার পর ঘন্টা অবিরাম সচেতনতাবর্ষন। মাঝেমাঝে বিজ্ঞাপনের জন্য দুচার মিনিট বিরতি।

বিবি গোলামের বাক্স

Jul 1, 2011
একসময় নাম ছিল সাহেব বিবি গোলামের বাক্স। ধারাবহিকভাবে উপস্থিত হতেন সাহেব, তারপর বিবি তারপর গোলামগন। সাহেব যখন সাহেবত্ব হারালেন তখন পরিনত হল বিবি গোলামের বাক্সে। এই বিবি নয়ত ওই বিবি, এই গোলাম গন নয়ত ওই গোলামগন। সাথে একই গোলামগন। চিড়িয়াখানা সম্পর্কে সেই কথাটা মনে আছে কি। সেখানে নানারঙের বাঘ আসে, লম্ফঝম্প করে, একসময় বিদায় হয়। খাচা খাচাই থাকে। বিবি-গোলামের বাক্সও ঠিক তেমনি। বিবি বদল হয়, গোলাম বদল হয়, বাক্স বাক্সই থাকে।
অন্য কোন ব্ক্স যদি প্রতিদ্বন্দি হয় তাহলে সেটা বন্ধ করতে হয়। সেটাও হয়েছে। একটা বাক্স প্রতিদ্বন্দিতা করেছিল কিছুদিন। সেটা বন্ধ হয়েছে এক বিবির আমলে। অনেকে আশা করেছিলেন বিবি বদল হয়ে হয়ত আবারও বাক্স খুলবে। সেটা হয়নি। তারও ভয়, যদি শেষমেশ মুল বাক্সের প্রতিদ্বন্দিতা শুরু করে। তারচেয়ে বাবা বন্ধই থাকো। দুর থেকে দেখো। বিবিসি তাদের জড়িপে বলেছে ওই বাক্স সবচেয়ে জনপ্রিয়। ওর তুলনা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, মুল বাক্সের মত যোগ্য গোলাম কি সবখানে থাকে ?
 

Browse