ভাল থাকার নয়া কৌশল

Jul 27, 2011
ভাল থাকতে কে-না চায় সবাই বলে সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন আরো কিকি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। যাতায়াতের জন্য মাইল দশেক হাটা উপকারী হলেও বাস্তবে সেটা সম্ভব হয় না, কিছু একটা বাহন প্রয়োজন হয়। আর গাছতলায়ও থাকতে পারেন না, কোথাও থাকতে হয়। এজন্য বাড়িভাড়া দিতে হয়। সরকার বলছেন আপনি মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করলে আপনার আয়ের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারকে ট্যাক্স দেবেন। বাস্তবে আপনি যখন ১৫ হাজার টাকা আয় করছেন তখন সেই টাকায় থাকার যায়গা হচ্ছে না। শুধুমাত্র বাড়িভাড়া দেয়ারজন্যই এরসাথে আরো টাকা যোগ করতে হচ্ছে। এরপর রিক্সা-বাস-ট্যাক্সি যাই বলুন না কেন, সেটা যোগ হচ্ছে। আজকাল বাসভাড়াও শতটাকা, রিক্সাভাড়া আরো বেশি, ট্যাক্সিভাড়া হিসেবের বাইরে।
আপনি না খেয়ে থাকবেন না। সরকার দাম বেধে দিয়ে অনেককিছুর। সেইদামেও যদি কেনেন তাতেও হাজার টাকার নোটে কুলায় না। কাজেই ভাল থাকতে হলে নয়া কৌশল না খুজে উপায় কি ?
সমস্যা সমাধানের জন্য নাকি বড় সমস্যার দিকে দৃষ্টি দিতে হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক সমস্যার দিকেই দৃষ্টি দিই তাহলে।
৬৭ সালে ইসরায়েল আরবের বহু যায়গা দখল করে নিল। লক্ষ লক্ষ প্যালেষ্টাইনীর যায়গা হল জর্ডান সহ অন্যান্য দেশে। সেই যায়গা এখনো ইসরায়েলের হাতে। তাদের ধর্ম তাদেরকে সেই যায়গার অধিকার দিয়েছে। রামের যেমন একজন দোসর ছিলেন তেমনি ইসরায়েলের দোসর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। বছরে ৩০০ কোটি ডলার সরাসরি পাওনা। তারওপর অস্ত্রসস্ত্র অন্যান্য বিষয় তো আছেই।
কাজেই প্যালেষ্টাইনীদের অবস্থা ওই আগে বর্ননা করার অবস্থার মতই। থাকার যায়গা নেই, খাবার নেই, পানি নেই। ইউরোপের দয়াশীল নেতারা দয়ার নিদর্শন দেখান। পানির ব্যবস্থা করেন, স্কুল গড়ে দেন, হাসপাতাল তৈরী করেন। তারপর ইসরায়েলের ট্যাংক এসে সেগুলি গুড়িয়ে দেয়। বৃটেন-ফ্রান্স-জার্মানী তাতে খুবএকটা মনখারাপ করে না। আবারও বানিয়ে দেয়।
কাজেই প্যালেষ্টাইনীদেরও সমাধান খুজতে হল। রীতিমত চেষ্টাও করল। অস্ত্র হাতে, মানববোমা তৈরী করে, রকেট ছুড়ে। কোনটাতেই কাজ হল না। বরং ওই মানববোমা তৈরীর কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বে।
কাজেই তাদের বাস্তবসম্মত পথ, তাদের দাবী, আমাদের ইসরায়েলের অংশ করে নাও।
একেবারে নির্ভেজাল সমাধান। আমরা প্যালেষ্টাইনী থাকতে চাই না। আমরা এখন থেকে ইসরায়েলি। বদলে ইসরায়েলের নাগরিক যে সুবিধে পায় সেগুলি পাব।
আর কথা বাড়ানো প্রয়োজন নেই। নিজের দিকে দৃষ্টি দিন। আপনার পরিবারের কাউকে খুন করা হয়েছে, আদালত খুনিকে ফাসির আদেশ দিয়েছে, তারপর অবাক হয়ে দেখলেন সে দিব্বি ছাড়া পেয়ে অস্ত্র হাতে এসে দাড়িয়েছে। এই ঘটনা একবার ঘটতে পারে, দুবার ঘটতে পারে, তিনবার ঘটতে পারে। যখন ক্রমাগত ঘটতে থাকে, প্রতিদিনের খবরে পরিনত হয়, তখন আপনাকে পথ বদল করতেই হয়।
কাজেই, শেষ সিদ্ধান্ত, যদি ভাল থাকতে চান, নিরাপদে থাকতে চান, আর্থিক স্বচ্ছলতা চান, ছাত্র হয়ে যান। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রলীগ, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে ছাত্রদল। নেতাদের দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন, ছাত্র হতে বয়স লাগে না। আজীবন ছাত্রনেতা থাকা যায়।
একবার ছাত্রনেতা হলে নিশ্চিন্ত। টেন্ডার, ব্যবসা, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট, শেয়ার বাজার, মজুতদারী যা করতে চান সব পাবেন। দুচারখানা খুন করলেও কেউ কিছু বলতে যাচ্ছে না।

0 comments:

 

Browse