পিটানি

May 27, 2012

৪১ ডিগ্রী তাপমাত্রার রাতে টানা ৪ ঘন্টা লোডসেডিং, ফল হিসেবে বাড়ির বাইরে শুয়ে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা এবং তারই ফল হিসেবে পুলিশের গাড়িতে উঠে থানায় গমন।
এটা খবর হওয়ার মত ঘটনা না। নিতান্ত বাড়ির সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলে জানা। বরং খবর হচ্ছে পুলিশের দক্ষতা। সারা বিশ্বের মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের বক্তব্য বাংলাদেশের পুলিশ-র‌্যাব নাকি মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় হুমকি। এরসাথে সুর মিলিয়েছে আমেরিকার পররাষ্ট্র বিভাগের রিপোর্টও। তাদের বক্তব্যও এক।
আমেরিকার নাম করলে দুকথা না বলে পারা যায় না। সারা বিশ্বের মানুষ সেখনে যাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে রয়েছে। প্রশংসারও অন্ত নেই। তারা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে-আবিস্কারে যেমন এগিয়ে তেমনি সেখানকার মানুষগুলোও সরলসোজা। মনের মধ্যে কুটচাল নিয়ে চলে না। একইসাথে আমেরিকাবিদ্বেসী মনোভাবও চলেছে সমানতালে। কারন ওই পররাষ্ট্রনীতি। একসময় বৃটিশ-ফরাসি-পর্তুগিজ-স্পেন অন্য দেশ দখল করে রাজত্ব করেছে। আর বর্তমানে তারা করছে অদৃশ্যভাবে। সৈন্য না পাঠিয়েই।

শিক্ষকতা ছেড়ে রিক্সা চালান

May 15, 2012

শিক্ষকদের দাবী নিয়ে আন্দোলন বাংলাদেশে নতুন বিষয় না। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষকেরা যেমন করেছেন তেমনি তাদের পুর্বপুরুষরাও করে গেছেন। আশা করা যায় ভবিষ্যত প্রজন্মও করবে। ঐতিহ্য সহজে ত্যাগ করা যায় না। করানো যায় না।
পাশের হার আগের সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে সরাসরি বোর্ডে বলে দেয়া হয়েছে, পাশ করান। সরকারের কৃতিত্ব বাড়ান। প্রধানমন্ত্রী সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদার কথা জানালেন, শোনা গেল খবরে। তার পাশাপাশি পুলিশের লাঠিপেটা আর জলকামান থেকে গরম জল দিয়ে আন্দোলন থামানোর খবর। ব্যাটা শিক্ষদের কতবড় সাহস, রাজপথে নামে। জানস রাজপথ কার। আইনমন্ত্রী কইছে দুই মামলায় বিরোধীদলের আন্দোলন ঠান্ডা। দিমু নাকি মামলা ?

গোফ থাকলে গোফে তা

May 14, 2012

জাকালো গোফ থাকলে ভাতা পাওয়া যায়। আর যাবে নাই বা কেন ? জাকালো গোফের ভাগ্য কি সবার হয়! বিগালের লেজের মত গোফ, পাকিয়ে ঘুরিয়ে এনে গালের ওপর রাখা। কিংবা দাড়ির সাথে জুড়ে দেয়া। একেবারে নিখুত রাখতে তেল-মসলা প্রয়োজন হয় বৈকি। সেজন্য ওই ভাতা। সেইসাথে ফঅউ হিসেবে তা দেয়া। মাঝে মাঝে আঙুল দিয়ে ঠিক করে নেয়া।
যাদের বাহাদুরী গোফ নেই তারাও কখনো কখনো গোফের আমেজ পান। আর পেলেই তা দিতে শুরু করেন। এমনকি গোফ না থাকলেও আঙুল বুলিয়ে নেন। তা দেয়া বলে কথা।
গন্যমান্য ব্যক্তির সান্নিধ্যও গোফে তা দেয়ার একটা সুযোগ। এই ধরুন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি যদি প্রশংসা করেন।

জহির রায়হান যদি থাকতেন

May 12, 2012

জহির রায়হানকে প্রতিবছর ডিসেম্বরে স্মরন করা হয় তিনি বিজয়ের শেষ মুহুর্তে খুন হয়েছেন বলে। ব্যক্তি হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন সেকথা অনেকেই ভুলে গেছেন। তার লেখা একটি ছোট গল্প থেকে হয়ত কিছুটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে।
দুর্মুল্যের বাজারে ভদ্রলোক বাড়ি রং করেছেন। কাজে যাওয়ার সময় ছেলেকে ডেকে ধমকে-ধামকে বললেন, এইখানে দাড়িয়ে থাকবি। কোনমতে কেউ যেন পোষ্টার লাগানো, চিকামারার কাজ করতে না পারে।
অফিসে গিয়ে দেখলেন তার চাকরী নট। তিরিক্কি মেজাজ নিয়ে বাড়ি রওনা হলেন। বাড়ির সামনে এসে মেজাজ আরো তুঙ্গে উঠল। তার ছেলের খবর নেই আর এক ব্যাটা মই নিয়ে উঠে দেয়ালে পোষ্টার লাগাচ্ছে। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন। আস্তিন গুটিয়ে তিনি দাড়ালেন মইয়ের কাছে।
রোগা-পটকা মলিন পোষাকের একজন লোক মই থেকে নেমে এল একসময়। তিনি তার কলার চেপে ধরলেন। রাগে তার মুখ দিয়ে কথা বেরচ্ছে না। আঙুল তুলে দেখালেন তার সদ্য রং করা দেয়ালে লাগানো পোষ্টারের দিকে। এতক্ষনে তার চোখে পড়ল পোষ্টারের বক্তব্য। সেখানে লেখা আছে, ছাটাই বন্ধ কর।

ব্যাঙের চামড়া

May 10, 2012

একটা গল্প আছে, ব্যাঙকে যদি পানির মধ্যে রেখে সেই পানির তাপ বাড়ানো হয় তাহলে সে টের পায়না একসময় সেই পানি যদি ফুটতে শুরু তাহলেও না একসময় সে মারা যায়
গল্পের উতস এক ইংরেজি ডকুমেন্টারী কিছু মানুষ বহু সময় ব্যয় করে, বহু টাকা খরচ করে, মেধা খাটিয়ে, গবেষনা করে এসব তৈরী বলতে চেষ্টা করছেন এই বিশ্ব সেই পানির পাত্রের মত তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে মৃত্যু ডেকে আনার পর্যায়ে যাচ্ছে আর মানুষ নামের ব্যাঙ সেটা টের পাচ্ছে না
বিশ্ব এক বিশাল যায়গা মহাবিশ্বের তুলনায় ছোট বলতে পারেন বলতে পারেন হাজার কোটি গ্রহ-নক্ষত্রের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, বসবাসযোগ্য যায়গা তারপরও মানুষের কাছে বাস্তবতা হচ্ছে এটা বিশাল মানচিত্রে এক বিন্দুর মত বাংলাদেশ, সেখানে চেনার জন্য ঢাকা লেখা কষ্টকর তারপরও এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় যেতে কয়েক ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হয় ভাড়ার পরিমান শত ছাড়িয়ে হাজার ছুই ছুই
কাজেই এখানে পরিবর্তণ হলে সেটা টের পাওয়া কষ্টসাধ্য তাতে সন্দেহ কি ?
ঢাকা শহরে রিক্সার সংখ্যা কেউ জানে না জানার প্রয়োজন বোধ করে না বেশি রিক্সা মানেই বেশি মানুষের কর্মসংস্থান ক্ষতিকর গ্যাস নেই, এমনকি গাড়ি আমদানী করার মত বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করার বিষয়ও নেই স্বদেশী পন্য, ব্যবহার করে ধন্য

জয় বাবা সেলুকাস

May 1, 2012

সেলুকাস অথবা সেলিউকস যাই হোক না কেন, কার বলা বলা হচ্ছে সবাই জানেন। আলেকজান্ডারের একজন সেনাপতির নাম। প্রবাদের মত কথাটি প্রচলিত। আলেকজান্ডার এই দেশ দেশে অবাক হয়ে বললেন, হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ।
প্রবাদ এই অর্থে যে কথাটি কমবেশি সবাই বলেন। নিজের নিজের প্লাটফর্ম থেকে। কবি-সাহিত্যিক-ভবঘুরেরা বলেন দেশের সৌন্দর্য বর্ননা করতে। তা তারা করতেই পারেন। পদ্মার চড়ে যখন ধানচাষ হয় তখন সেখানেও তারা সোনার তরী আবৃত্তি করতে পারেন। বুড়িগঙ্গার পানির দুর্গন্ধে যখন দমবন্ধ হয় তখনও নাক চেপে গাকগাক করে বলতে পারে, এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে না-কো তুমি। আসলেই তো! খুজে পাবেন কি ? বিশ্বে কোন বড় শহরের পাশে চারটি বড় নদী থাকার পরও সেই পানি ব্যবহার করা যায় না এমন উদাহরন নেই।
কেউ কেউ ভিন্ন অর্থেও একই উপমা ব্যবহার করেন। দুজন সাংবাদিক খুন হলেন নিজ বাড়িতে। সরকার-প্রশাসন-সরকার সমর্থক এর প্রতিবাদের মধ্যে দেখলেন যুদ্ধবিরোধীদের বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্র। আদালত দেখল ভাবমুর্তি নষ্টের চেষ্টা। রুল জারী করা হল, এই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বললে আদালত অবমাননা হবে। যা করা হল না তা হচ্ছে সেই খুন কে করেছে, কেন করেছে তার উত্তর জানা। এখানে সেলুকাস নামের সেই ব্যক্তির নাম উচ্চারন করা হয়ত বেমানান না।
 

Browse