সুভংকরের স্কুল

Dec 25, 2012

সুভংকরের ফাকি কথাটি কমবেশি সবাই শুনেছেন। সুভংকর নামের ব্যক্তির কথা কি কেউ জানাতে পারেন। সত্যি বলতে কি গুগল সার্চ করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি অবাক করার মত। একজন ব্যক্তির নাম সবাই জানে অথচ তার স্থান-কাল-পাত্র কিছু জানা নেই। নাম দেখে ভারতীয় ধারনা করতে পারেন। কাজের ধরন থেকে ধরে নিতে পারেন তিনি অংকে পারদর্শী ছিলেন। অংকের হিসেবে ফাকি দিতে পারতেন। এটুকুই।
অনেকে বলেন অংকে ফাকি দেয়া যায় না। দুই আর দুই যোগ করলে সবসময়ই চার হয়। কেউ কেউ আবার বলেন অংকের মত ফাকিবাজি আর কিছু নেই। যা দেখাতে চান তাই দেখানো যায়। অংক আর পরিসংখ্যান, এই দুইকে কখনো বিশ্বাস করবেন না।

মামার শালার পিসের ভাই

Dec 15, 2012

মামার শালার পিসের ভাই দুর সম্পর্কের আত্মিয় নাকি কাছের এককথায় উত্তর দেয়া হয়তো কঠিন। বাংলাদেশে বংশলতিকার প্রচলন নেই। যদিও দুটি রাজবংশ বিদ্যমান। অন্তত এই দুটি রাজবংশ যে বংশপরম্পরায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকবেন এটা নিশ্চিত।
বংশ পরম্পরার বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই প্রসারলাভ করছে। বর্তমান সরকার আইন করেছেন যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন তাদের কিছু পাওয়া উচিত। শুধু তারা নন, তাদের সন্তান, তস্য সন্তান অর্থাত নাতি-নাতনিকেও কিছু দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তারা শিক্ষাপ্রতিস্ঠানে ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন, চাকরী পাওয়ার সময় অগ্রাধিকার পাবেন, চাকরীর মেয়াদে অগ্রাধিকার পাবেন। ১৯৮৮ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংখ্যা ছিল ২০১২ সালে সেটা বেড়ে ৩ গুন হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো বাড়বে এতেও সন্দেহ করার কারন নেই।

টিনের চশমা

Dec 12, 2012

এমন এক শয়তান, নাকে বসে ধরে কান শয়তান বলুন আর যাকিছু মনে আসে বলে গালাগালি করুন, চশমা ছাড়া চলার কথা ভাববেন না এখন যদি নাও হয়, বয়স বাড়লে তাকে কান ধরার সুযোগ দিতেই হবে আর যদি ভাগ্য ভাল থাকে তাহলে আগেই শুরু করতে পারেন
সহজ কথা চশমার সুবিধে অনেক সারা দুনিয়া লাল দেখতে চান, লাল কাচের চশমা লাগান সবুজ দেখতে চান সবুজ কাচ লাগান সাথেসাথে কেল্লা ফতে সামনের সবকিছু পাল্টে গেছে
যদি কাচ না পান তাহলে প্লাষ্টিক কিংবা কাগজ ব্যবহার করেও একই ফল পাওয়া যায়
একবার ভেবে দেখেছেন কি এই চশমার কৃতিত্ব কতটা ট্রাফিক সিগনালের লাল-সবুজ বাতির কথাই ধরুন না কেন ? পছন্দমত রঙের চশমা লাগান, সবসময়ই লাল অথবা সবুজ দেখবেন সবসময় আপনার জন্য রাস্তা ক্লিয়ার অথবা সবসময়ই বন্ধ

দৃষ্টান্তমুলক

Nov 22, 2012

দৃষ্টান্ত সবসময়ই দৃষ্টান্ত। আপনি স্বিকার করুন বা নাই করুন, সেটা উদাহরন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নিজে অনুসরন না করলেও আড্ডা দেয়ার উপকরনে পরিনত হয়। নিজের পান্ডিত্য প্রচার করা যায়।
সেই মোল্লার কথা বলা হচ্ছে না যিনি সরাসরিই বলেন, আমি যা বলি সেটা কর। আমি যা করি সেটা করো না। তিনি বরং রীতিমত সত্যবাদি। সরল-সত্য কথাই বলেছেন। বলার সময় তিনি উপদেশ দেন, দৃষ্টান্ত দেখান। নিজে সেপথে চলেন না।
কাজেই দৃষ্টান্ত থেকে আপনি কোনটা গ্রহন করবেন সেটাকে আপনার বিষয়। আপনি তার কথা গ্রহন করে নিজের কথা হিসেবে প্রচার করতে পারেন। সেইসাথে তার আচরন অনুসরন করতে পারেন।
বাংলাদেশে কথা উঠলে রাজনীতি হাজির না হয়ে পারে না। কাজেই দৃষ্টান্ত দিতে গেলে সেখান থেকে দেয়াই ভাল।

সভ্যতা বনাম অসভ্যতা

Oct 30, 2012

অনেকবছর আগে একজন কার্টুনিষ্ট একটি কার্টুন একেছিলেন। একদিকে আধুনিক সভ্য মানুষ, পাশে অত্যাধুনিক অস্ত্র। আরেকদিকে আদিম মানুষ, সাথে আদিম অস্ত্র। আধুনিক মানুষের দিকে আঙুল তুলে বলছে, দেখ, ওরা বলে আমরা অসভ্য।
অস্ত্র তৈরী করা নিশ্চয়ই সভ্যতার পরিচয়। আমেরিকার আইন অনুযায়ী যেকোন নাগরিক দোকানে গিয়ে অস্ত্র কিনতে পারেন। তার প্রয়োজন অনুযায়ী পিস্তল, রাইফেল থেকে শুরু করে মেসিনগান পর্যন্ত। তারা সবচেয়ে সভ্য জাতি এতেও কোন সন্দেহ নেই। অসভ্য তারাই যারা আমেরিকানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করে। যদিও অস্ত্রগুলি তৈরী হয় তাদের দেশেই।
অস্ত্রের বিচারে সভ্য-অসভ্য হিসেব করা সম্ভব না। আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট উন্নত করেছিলেন পাহাড় ভাঙার জন্য। এমনকি আইনষ্টাইন এটম বোমা তৈরীতে কাজ করেছেন বিশ্বকে জাপানীদের হাত থেকে রক্ষা করতে, আর বুশ-ব্লেয়ার ইরাকে অভিযান চালিয়েছেন সাদ্দাম হোসেনের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে।
অস্ত্র বাদ দিয়ে বরং সত্যিকারের সভ্যতার পরিচয় যাতে প্রকাশ পায় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে। মানুষ যত লেখাপড়া করে তত সভ্য হয়। আচারে, ব্যবহারে, কথাবার্তায় সবকিছুতেই তার প্রকাশ ঘটে। সেদিক থেকে হিসেব করলে সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তিরাই সবচেয়ে সভ্য, আর বকলম ব্যক্তিরা অসভ্য।

নেতা হওয়ার যোগ্যতা

Oct 24, 2012

নেতা হতে যোগ্যতা লাগে, একথার প্রতিবাদ নিশ্চয়ই কেউ করবেন না। অন্তত যদি না ঘাড়ত্যাড়া নামের বিশেষ বৈশিষ্ট থাকে। যার ঘাড়ত্যাড়া তারা সব বিষয়েই নিজের বক্তব্য তুলে ধরবে। দুনিয়ার সবকিছুই তাদের চোখে খারাপ। তার পরামর্শ শুনলে খারাপ বলে কিছু থাকত না। হয়ত অবাক হতে পারেন, যদি সত্যিকারের জরিপ করা হয় দেখা যাবে একজন রিক্সাচালক, দিনমজুর কিংবা ভিক্ষুকও মনে করেন তার কথা শুনলে দেশের সব সমস্যা দুর হয়ে যেত।
থাকগে সেসব কথা। বরং যোগ্যতা নিয়েই থাকা যাক।
প্রবাদ আছে চুরিবিদ্যা বড় বিদ্যা। দক্ষ চোর হতে যে যোগ্যতা প্রয়োজন তা সবার থাকে না। সেই পরিমান চেষ্টাও থাকে না। ব্যাংক থেকে কাজার কোটি কেন, কয়েক হাজার টাকা মেরে দেয়ার চিন্তাও অনেকের মাথায় কাজ করে, যোগ্যতায় কুলায় না।

পদার্থবিদ্যার নীতি

Oct 18, 2012

জগতের সমস্ত পদার্থ (এবং অপদার্থ) পদার্থবিদ্যার নীতি মেনে চলে বিষয়টা এমন না যে আগে সবাই নীতিগুলি জেনেছে তারপর সেগুলির ব্যবহার শুরু হয়েছে এটা রাজনীতিবিদদের তত্ত্ব তারা আগে নীতি তৈরী করবেন এবং ধরে নেবেন তারপর কোন এককালে সেগুলি কেউ মানবে (নিজে বাদ দিয়ে) না মানলে বাধ্য করা হবে জগতের ক্ষেত্রে বরং এগুলি চালু আছে বহু বছর ধরেই কত বছর সেপ্রশ্ন অর্থহীন মানুষের আয়ু ১০০ বছর হলে তাকে র্দীর্ঘ বলা হয় (একমাত্র সাংগ্রিলা ছাড়া) তারকাছে হাজার কিংবা লক্ষ কিংবা কোটি এসব সংখ্যার কোন অর্থ হয় না সেকারনে অনেকে এসব সংখ্যা উল্লেখ করার সময় যতটা বেশি বলা যায় ততটাই বলেন। (উদাহরন, প্রথম আলো মংগল গ্রহের নদীর অস্তিত্ব সম্পর্কে রিপোর্ট করার সময় বলেছে হাজার হাজার কোটি বছর আগে সেখানে কলকল করে নদি বয়ে যেত। স্বয়ং হকিং এর মতে বিগ ব্যাং এর ঘটনা ১৫০০ কোটি বছর আগের, সৌরজগতের জন্ম ৬০০ কোটি বছর আগে। হাজার হাজার কোটি বছর আগে নদী থাকলেও থাকতে পারে, মংগল গ্রহ ছিল না।)

চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে

Sep 8, 2012

টাকা কোথা থেকে আসে ?
-         ব্যাংক থেকে।
-         কাজ করলে সেটা টাকায় পরিনত হয়।
-         জানি না।
এটা একটা কানাডিয় ডকুমেনটারীর অংশ। নিশ্চিত হতে না পেরে প্রশ্ন করা হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে (পল মার্টিন)।
-         দেখুন, টাকা হচ্ছে, ইয়ে, মানে টাকা আবিস্কারের আগে, টাকা হল, .... আমি ফোনটা ধরে আসি ....
যেভাবেই দেখুন না কেন, সহজ উত্তর একটাই। টাকা আসে ব্যাংক থেকে। কেন্দ্রিয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে টাকা ছাপা হয়। সেখান থেকে সাধারন ব্যাংকে, সেখান থেকে সাধারন মানুষের হাতে। আপনি গরু-ছাগল বাড়ি-গাড়ি সবকিছুর মালিক হতে পারেন, টাকার মালিক হতে পারেন না। নিজে টাকা ছাপলে জেলে যেতে হয়।
কাজেই টাকার মালিক আসলে সরকার। সেজন্যই পষ্ট করে লেখা, চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে।

পদত্যাগ মানে গলাধাক্কা

Aug 28, 2012

উদাহরন ১ : বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ব্লাংকেট সাহেব তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল তার বান্ধবিকে সরকারী বাড়ি বরাদ্দ পেতে নিজের পরিচিতি ব্যবহার করেছেন ফলাফল, পদত্যাগ
উদাহরন ২ : বিশ্বব্যাংকের প্রধান ছিলেন পল উলফোভিতজ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল সেখানে কর্মরত তার বান্ধবিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভাতা দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন ফলাফল পদত্যাগ
উদাহরন ৩ : বিশ্বব্যাংক নির্দিস্ট করে পরিচিতি উল্লেখ করে জানিয়েছে অমুক মন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে না সরালে পদ্মাসেতুর জন্য অর্থ দেয়া হবে না ফলাফল, একসময় বরাদ্দ বাতিল
উদাহরন ৪ : বিশ্বব্যাংকের বক্ত্যব্যে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টাকে সরে যেতে হবে ফলাফল, একেবারে টাটকা খবর, তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি দশবার পদত্যাগ করবেন

বাংলা পলিটিক্স

Aug 1, 2012

ছোটবেলায় স্কুলের পাঠ্যবইতে একটা গল্প পড়েছিলাম। নাম ভিলেজ পলিটিক্স। যতদুর মনে পড়ে বিষয়টা এমন;
রহিম এবং করিমের বাড়ি পাশাপাশি। রহিমের বাড়ির আমগাছের একটা ডাল চলে গেছে করিমের সীমানায়। উকিল জলিল করিমকে বললেন, পরের গাছের ডাল তোমার এলাকায়, কেটে ফেল। আইনত সেটা তুমি করতে পার।
করিম ডালটা কেটে ফেলল। রহিমের জন্য জলিলের পরামর্শ, তোমার গাছের ডাল আরেকজন কেটে ফেলল, একটা মামলা ঠুকে দাও।
বিচারক বললেন, জেনুইন কেস। মামলা চলতে পারে।
ব্যাস, হয়ে গেল। মামলা চলতে থাকল। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। বাঘে ছুলে আঠার ঘা, পুলিশে ছুলে ছত্রিশ ঘা আর উকিলে ছুলে বাহাত্তর ঘা। ঘা শুকাতে রহিম-করিম দুজনকেই বাড়ি বিক্রি করতে হল। টাকাগুলো কোথায় জমা হল সেটা হয়ত বলা প্রয়োজন নেই।

টাকার উতস

Jul 12, 2012

একজন বাসযাত্রী কন্ডাক্টরের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়লেন। কন্ডাক্টর কথায় একেবারে মিতব্যায়ী। মুখে কিছু না বলে পাশের লেখার দিকে আঙুল দেখালেন। সেখানে লেখা, কোন অভিযোগ থাকিলে চালককে বলুন।
যাত্রী নাছোরবান্দা। ড্রাইভারের কাছে নালিস জানাতে গেলেন। তিনি পাশের আরেক লেখার দিকে আঙুল দেখালেন, চলন্ত অবস্থায় চালকের সাথে কথা বলিবেন না।
বাস্তবতা তুলে ধরা এমন সার্থক কৌতুক খুব বেশি নেই। একে কৌতুক না বলে উপমা বললেই ভাল মানায়। বিশ্বাস না হয় একবার চারিদিকে দেখুন।

মশা-মানুষ তত্ত্ব

Jul 5, 2012

মশা এবং মানুষে মিল অনেক। দুজনার নাম এম দিয়ে কিংবা ম দিয়ে শুরু সেকথা বলা হচ্ছে না। এমনকি বিশ্বর সকল পশুপাখি-গাছপালা-নদিনালা যখন বিলুপ্তির শংকায় তখন এই দুই প্রানীর বংশবৃদ্ধির মিলের কথাও বলা হচ্ছে না। এমনকি সেই রুশ গল্পের কথাও বলা হচ্ছে না যেখানে সমাজের সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন এক ব্যক্তি বিকেলে শিশুদের নানারকম জিনিষপত্র কিনে দিয়ে বসে তামাসা দেখতেন, আর তারা যদি গন্ডগোল শুরু করত তখন ধমক দিয়ে বলতেন, মশার বাচ্চারা নিজেরাও মশা।
মিলের বিষয়গুলি দেখা যাক। মশা হুল ফুটিয়ে রক্ত টেনে নেয়, মনে হতে পারে একেবারে সাধারন প্রযুক্তি। কোকাকোলা খাওয়ার মত। আসলে তা না। রক্ত টেনে নেয়ার জন্য প্রথমে একটি পাইপ বসানো হয়। এরপর সেখানে একধরনের রাসায়নিক লাগানো হয় যেন রক্ত জমে না যায়। এরপর আরেকটি পাইপ বসিয়ে রক্ত টেনে বের করে আনা হয়। একেবারে আধুনিক মানুষের প্রযুক্তি।

অবমাননা প্রতিরোধে আইন চাই

Jul 1, 2012

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব কথাটা অবশ্য মানুষই বলে নিজেকে সেরা দেখতে কে-না পছন্দ করে মানুষ করবে এটাই স্বাভাবিক কমলাকান্তের মত দৃষ্টি থাকলে হয়ত জানা যেত বাঘ কিভাবে নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে কিংবা মানুষ আসলে একেকজন একেক ধরনের কাঠাল
সেটা হয়না বরং নিজেদের শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রচার করতে নানারকম কৃতিত্বের কথা তুলে ধরা হয় মানুষ যন্ত্র ব্যবহার করে, উন্নত ভাষা ব্যবহার করে ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি
অনেকে অবশ্য এসব বিষয়েও দ্বিমত প্রকাশ করতে পারেন অন্য প্রানীর ভাষাকে ভাষা মনে করা হয় না কারন আমরা সেটা বুঝি না কোন কোন প্রানীর শব্দ শুনতেও পাই না যার সম্পর্কে জানি না সেটা ভাল না মন্দ বিচার করি কিভাবে ?

পাগলকে পাগল বলিও না

Jun 1, 2012

আবার সেই পুরনো খবর। ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটুক্তি করা হয়েছে। ফলে দেশদ্রোহিতার মামলায় পড়েছেন একজন ছাত্র। বেচারা জানেন না পাগলকে পাগল বলতে নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুকার দিয়েছেন অন্য কেউ এমনকিছু করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদালতও খুশিমনে মামলা বিবেচনা করছে। খুনের মামলা নেয়া হয়না তাতে কি, এমন বড় অপরাধ কি পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায়! দেশপ্রেম বলে তো কথা আছে।
মামলা করেছেন শিক্ষাপ্রতিস্ঠানের দেশপ্রেমিক রেজিষ্ট্রার। তিনি স্বতপ্রনোদিত হয়ে ফেসবুক তদারকির দায়িত্ব নিয়েছেন। পুরস্কার অবশ্যই পাবেন।  কে কোনফাকে বেফাস কথা বলে দেশের সর্বনাশ করে ফেলে। দেশপ্রেমিকের দায়িত্ব দেশকে রক্ষা করা।

পিটানি

May 27, 2012

৪১ ডিগ্রী তাপমাত্রার রাতে টানা ৪ ঘন্টা লোডসেডিং, ফল হিসেবে বাড়ির বাইরে শুয়ে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা এবং তারই ফল হিসেবে পুলিশের গাড়িতে উঠে থানায় গমন।
এটা খবর হওয়ার মত ঘটনা না। নিতান্ত বাড়ির সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলে জানা। বরং খবর হচ্ছে পুলিশের দক্ষতা। সারা বিশ্বের মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের বক্তব্য বাংলাদেশের পুলিশ-র‌্যাব নাকি মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় হুমকি। এরসাথে সুর মিলিয়েছে আমেরিকার পররাষ্ট্র বিভাগের রিপোর্টও। তাদের বক্তব্যও এক।
আমেরিকার নাম করলে দুকথা না বলে পারা যায় না। সারা বিশ্বের মানুষ সেখনে যাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে রয়েছে। প্রশংসারও অন্ত নেই। তারা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে-আবিস্কারে যেমন এগিয়ে তেমনি সেখানকার মানুষগুলোও সরলসোজা। মনের মধ্যে কুটচাল নিয়ে চলে না। একইসাথে আমেরিকাবিদ্বেসী মনোভাবও চলেছে সমানতালে। কারন ওই পররাষ্ট্রনীতি। একসময় বৃটিশ-ফরাসি-পর্তুগিজ-স্পেন অন্য দেশ দখল করে রাজত্ব করেছে। আর বর্তমানে তারা করছে অদৃশ্যভাবে। সৈন্য না পাঠিয়েই।

শিক্ষকতা ছেড়ে রিক্সা চালান

May 15, 2012

শিক্ষকদের দাবী নিয়ে আন্দোলন বাংলাদেশে নতুন বিষয় না। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষকেরা যেমন করেছেন তেমনি তাদের পুর্বপুরুষরাও করে গেছেন। আশা করা যায় ভবিষ্যত প্রজন্মও করবে। ঐতিহ্য সহজে ত্যাগ করা যায় না। করানো যায় না।
পাশের হার আগের সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে সরাসরি বোর্ডে বলে দেয়া হয়েছে, পাশ করান। সরকারের কৃতিত্ব বাড়ান। প্রধানমন্ত্রী সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদার কথা জানালেন, শোনা গেল খবরে। তার পাশাপাশি পুলিশের লাঠিপেটা আর জলকামান থেকে গরম জল দিয়ে আন্দোলন থামানোর খবর। ব্যাটা শিক্ষদের কতবড় সাহস, রাজপথে নামে। জানস রাজপথ কার। আইনমন্ত্রী কইছে দুই মামলায় বিরোধীদলের আন্দোলন ঠান্ডা। দিমু নাকি মামলা ?

গোফ থাকলে গোফে তা

May 14, 2012

জাকালো গোফ থাকলে ভাতা পাওয়া যায়। আর যাবে নাই বা কেন ? জাকালো গোফের ভাগ্য কি সবার হয়! বিগালের লেজের মত গোফ, পাকিয়ে ঘুরিয়ে এনে গালের ওপর রাখা। কিংবা দাড়ির সাথে জুড়ে দেয়া। একেবারে নিখুত রাখতে তেল-মসলা প্রয়োজন হয় বৈকি। সেজন্য ওই ভাতা। সেইসাথে ফঅউ হিসেবে তা দেয়া। মাঝে মাঝে আঙুল দিয়ে ঠিক করে নেয়া।
যাদের বাহাদুরী গোফ নেই তারাও কখনো কখনো গোফের আমেজ পান। আর পেলেই তা দিতে শুরু করেন। এমনকি গোফ না থাকলেও আঙুল বুলিয়ে নেন। তা দেয়া বলে কথা।
গন্যমান্য ব্যক্তির সান্নিধ্যও গোফে তা দেয়ার একটা সুযোগ। এই ধরুন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি যদি প্রশংসা করেন।

জহির রায়হান যদি থাকতেন

May 12, 2012

জহির রায়হানকে প্রতিবছর ডিসেম্বরে স্মরন করা হয় তিনি বিজয়ের শেষ মুহুর্তে খুন হয়েছেন বলে। ব্যক্তি হিসেবে তিনি কেমন ছিলেন সেকথা অনেকেই ভুলে গেছেন। তার লেখা একটি ছোট গল্প থেকে হয়ত কিছুটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে।
দুর্মুল্যের বাজারে ভদ্রলোক বাড়ি রং করেছেন। কাজে যাওয়ার সময় ছেলেকে ডেকে ধমকে-ধামকে বললেন, এইখানে দাড়িয়ে থাকবি। কোনমতে কেউ যেন পোষ্টার লাগানো, চিকামারার কাজ করতে না পারে।
অফিসে গিয়ে দেখলেন তার চাকরী নট। তিরিক্কি মেজাজ নিয়ে বাড়ি রওনা হলেন। বাড়ির সামনে এসে মেজাজ আরো তুঙ্গে উঠল। তার ছেলের খবর নেই আর এক ব্যাটা মই নিয়ে উঠে দেয়ালে পোষ্টার লাগাচ্ছে। আজ তোর একদিন কি আমার একদিন। আস্তিন গুটিয়ে তিনি দাড়ালেন মইয়ের কাছে।
রোগা-পটকা মলিন পোষাকের একজন লোক মই থেকে নেমে এল একসময়। তিনি তার কলার চেপে ধরলেন। রাগে তার মুখ দিয়ে কথা বেরচ্ছে না। আঙুল তুলে দেখালেন তার সদ্য রং করা দেয়ালে লাগানো পোষ্টারের দিকে। এতক্ষনে তার চোখে পড়ল পোষ্টারের বক্তব্য। সেখানে লেখা আছে, ছাটাই বন্ধ কর।

ব্যাঙের চামড়া

May 10, 2012

একটা গল্প আছে, ব্যাঙকে যদি পানির মধ্যে রেখে সেই পানির তাপ বাড়ানো হয় তাহলে সে টের পায়না একসময় সেই পানি যদি ফুটতে শুরু তাহলেও না একসময় সে মারা যায়
গল্পের উতস এক ইংরেজি ডকুমেন্টারী কিছু মানুষ বহু সময় ব্যয় করে, বহু টাকা খরচ করে, মেধা খাটিয়ে, গবেষনা করে এসব তৈরী বলতে চেষ্টা করছেন এই বিশ্ব সেই পানির পাত্রের মত তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে মৃত্যু ডেকে আনার পর্যায়ে যাচ্ছে আর মানুষ নামের ব্যাঙ সেটা টের পাচ্ছে না
বিশ্ব এক বিশাল যায়গা মহাবিশ্বের তুলনায় ছোট বলতে পারেন বলতে পারেন হাজার কোটি গ্রহ-নক্ষত্রের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, বসবাসযোগ্য যায়গা তারপরও মানুষের কাছে বাস্তবতা হচ্ছে এটা বিশাল মানচিত্রে এক বিন্দুর মত বাংলাদেশ, সেখানে চেনার জন্য ঢাকা লেখা কষ্টকর তারপরও এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় যেতে কয়েক ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হয় ভাড়ার পরিমান শত ছাড়িয়ে হাজার ছুই ছুই
কাজেই এখানে পরিবর্তণ হলে সেটা টের পাওয়া কষ্টসাধ্য তাতে সন্দেহ কি ?
ঢাকা শহরে রিক্সার সংখ্যা কেউ জানে না জানার প্রয়োজন বোধ করে না বেশি রিক্সা মানেই বেশি মানুষের কর্মসংস্থান ক্ষতিকর গ্যাস নেই, এমনকি গাড়ি আমদানী করার মত বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করার বিষয়ও নেই স্বদেশী পন্য, ব্যবহার করে ধন্য

জয় বাবা সেলুকাস

May 1, 2012

সেলুকাস অথবা সেলিউকস যাই হোক না কেন, কার বলা বলা হচ্ছে সবাই জানেন। আলেকজান্ডারের একজন সেনাপতির নাম। প্রবাদের মত কথাটি প্রচলিত। আলেকজান্ডার এই দেশ দেশে অবাক হয়ে বললেন, হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ।
প্রবাদ এই অর্থে যে কথাটি কমবেশি সবাই বলেন। নিজের নিজের প্লাটফর্ম থেকে। কবি-সাহিত্যিক-ভবঘুরেরা বলেন দেশের সৌন্দর্য বর্ননা করতে। তা তারা করতেই পারেন। পদ্মার চড়ে যখন ধানচাষ হয় তখন সেখানেও তারা সোনার তরী আবৃত্তি করতে পারেন। বুড়িগঙ্গার পানির দুর্গন্ধে যখন দমবন্ধ হয় তখনও নাক চেপে গাকগাক করে বলতে পারে, এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে না-কো তুমি। আসলেই তো! খুজে পাবেন কি ? বিশ্বে কোন বড় শহরের পাশে চারটি বড় নদী থাকার পরও সেই পানি ব্যবহার করা যায় না এমন উদাহরন নেই।
কেউ কেউ ভিন্ন অর্থেও একই উপমা ব্যবহার করেন। দুজন সাংবাদিক খুন হলেন নিজ বাড়িতে। সরকার-প্রশাসন-সরকার সমর্থক এর প্রতিবাদের মধ্যে দেখলেন যুদ্ধবিরোধীদের বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্র। আদালত দেখল ভাবমুর্তি নষ্টের চেষ্টা। রুল জারী করা হল, এই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বললে আদালত অবমাননা হবে। যা করা হল না তা হচ্ছে সেই খুন কে করেছে, কেন করেছে তার উত্তর জানা। এখানে সেলুকাস নামের সেই ব্যক্তির নাম উচ্চারন করা হয়ত বেমানান না।

ওই নামে কাউকে চিনি না

Apr 23, 2012

সৈয়ত মুজতবা আলী দির্ঘদিন জার্মানীতে ছিলেন ছাত্র হিসেবে পড়েছেন শিক্ষক হিসেবে পড়িয়েছেন একবার পরিচিত একজনকে খুজতে গিয়ে তার বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছিল যে ঠিকানায় তার বন্ধুকে পাওয়ার কথা সেখানে গিয়ে একে-ওকে জিজ্ঞেস করে একই উত্তর পান, কেউ তাকে চেনেন না শেষমেস তাকে যে বাড়িতে পেলেন সে বাড়িতে অন্তত ডজনখানেক বার ঘুরে গেছেন বাধ্য হয়ে তাকেই জিজ্ঞেস করতে হল, এর মানে কি ? আপনাকে কি কেউই চেনে না ?
তার উত্তর, চিনবে না কেন ? সবাই চেনে
তাহলে কেউ ঠিকানা বলল না কেন ?
এটা হিটলারের নাজি বাহিনীর কর্মফল তারা কারো ঠিকানা খোজ করলে সবাই মনে করত সে নিখোজ হয়ে যাবে প্রিয়জনদের হারানোর সেই পদ্ধতি তারা এখানো ভোলেনি
কিন্তু আমি যে বললাম বন্ধু!
তাদের বক্তব্য, বন্ধুই যদি হবেন তাহলে ঠিকানা জিজ্ঞেস করতে হবে কেন
এটা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বহুবছর পরের ঘটনা কোন ব্যক্তি নিখোজ হয়ে যাওয়ার অর্থ তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আর কখনো তাকে দেখা যাবে না
বাংলাদেশে হিটলার নেই তার বাহিনীও নেই পুলিশ-র‌্যাব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করে ইদানিং প্রতিদিনই টিভি ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন আইনে গুম বলে কোন শব্দ নেই কাজেই কেউ হুম হচ্ছে না

কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন

Apr 22, 2012

একসময় ঢাকাকে নাকি বলা হত গ্রীন সিটি। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচনের সাথে তুলনা করার মত এরচেয়ে ভাল উদাহরন আর কি হতে পারে ?
জিম্বাবের একটা শহর কেবলমাত্র ঢাকাকে টেক্কা দিয়ে আছে বিশ্বে বসবাসের অযোগ্য শহরের প্রতিযোগিতায়। সত্যি বলতে কি, ঢেকেঢুকে না রাখলে হয়ত তাকেও ছাড়িয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নই হবে। তাকে যদি বলা হয় গাছপালার শহর তাহলে অন্ধকে পদ্মলোচন বললে সমস্যা কোথায়!
বর্তমান সরকারের ৩ বছরের সাফল্য প্রচার করতে টিভি ক্যামেরার সামনে নানাজনকে প্রশ্ন করে সেটা দেখানো হয়েছে টিভিতে। অন্তত দুটি বিষয়ে কথা বলার সময় ঝকঝকে দাত দেখা গেছে। বিদ্যুত আর শিক্ষাব্যবস্থার ব-হু-ত উন্নতি হয়েছে। যারা দাত দেখিয়েছে তাদের বেশি প্রশ্ন করার সময় অবশ্য ছিল না। থাকলে হয়ত শোনা যেত মোমবাদি কিনতে বেরিয়েছি, কিংবা আমার পোলাডা কারখানায় কামে লাগছে। ওই বিদ্যুত আর শিক্ষাপ্রতিস্ঠান কি আছে আমার ভাগ্যে।  সবাই বলছে দেশের উন্নতি হচ্ছে তাতেই আমি খুশি। হাজার হোক রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধিনতা।

লাভে ক্ষতি ক্ষতিতে লাভ

Mar 21, 2012
পত্রিকার খবর, আমেরিকার জন্মহার অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে একেবারে যুক্তিসংগত কারনে কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে সেদেশের মানুষ আয়ের নিশ্চয়তা নেই কাজেই সন্তান নিতে আগ্রহি হচ্ছে না তারা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ হলেও সেখানে সবাইকে কাজ করে আয় করতে হয় কারোই জমানো টাকা নেই একজনের আয়ে পরিবার চলবে সে ব্যবস্থাও নেই এটাই তার ফল জনসংখ্যা যদি কমতে শুরু করে আর কমতেই থাকে তাহলে একসময় হয়ত আমেরিকান বলে কিছু থাকবে না স্বনিভরতা ছেড়ে পুরোটাই নির্ভর করতে হবে আমদানীর ওপর
অনেক দেশেই নাকি জনসংখ্যার একই সমস্যা ফ্রান্সে, ইতালীতে, রাশিয়ায়, জাপানে
ওগুলো আসলে পাগলের দেশ লাভক্ষতি বোঝে না বাংলাদেশের কথা একবার ভেবে দেখুন তো একেবারে উদাহরনযোগ্য

সকলেই অভিনেতা

Mar 16, 2012
বাংলা চলচ্চিত্র কিংবা টিভি নাটক দেখা হয়না বহুকাল ধরে। অনেকের কাছে কথাটি যেমন স্বাভাবিক মনে হবে অনেকের কাছে তেমনি অবাক করাও মনে হবে। আজকাল অনেকে শুধু নাটক-চলচ্চিত্রের তারকাদের খবরই রাখেন না, মডেল তারকাদের প্রতিদিনের খবরও রাখেন। অভিনয়ের বাইরে সংবাদমাধ্যমে তাদের উপস্থিতি সেটা প্রমান করে।
একসময় বাংলা ছবি দেখতাম সিনেমা হলে গিয়ে (তখন অবশ্য অন্য পদ্ধতি ছিল না)। সম্ভবত সিনেমা হলের পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়া যেত। দেখা ছবিগুলির মধ্যে কয়েকটির কথা মনে করাও সম্ভব। যেমন প্রেমের ছবি যাদুর বাশি। রীতিমত সাড়া জাগানো পুরস্কার পাওয়া ছবি।
কোন কোন ছবির ডায়ালগও মনে আছে। যেমন, যাত্রা দেখে ফাতরা লোকে।

শয়তানের কারখানা

Mar 6, 2012
শয়তানের কারখানা কথার দুরকম অর্থ হয়। একটা হচ্ছে কারখানার মালিক জনাব শয়তান। আরেকটা হচ্ছে কারখানার কারবার শয়তান নিয়ে। হয়ত শয়তান তৈরী করা হয়। কিংবা মেরামত করা হয়।
শয়তান শব্দটা আপত্তিকর। যদিও শয়তান আছে সৃষ্টির শুরু থেকে। শয়তানের কারনেই নাকি এই বিশ্ব সৃষ্টি। তার দাপট কখনও কমেনি বরং অনেকে বলেন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এতখানি যার দাপট তারসাথে সাধারন ব্যক্তির তুলনা করলে সে নিশ্চয়ই নিজেকে হেয় মনে করে। সম্ভব হলে হয়ত আদালতে মানহানির মামলাও ঠুকে দিত। ভাগ্যিস সেটা ঘটেনা। কিংবা সেকারনেই কাউকে সরাসরি শয়তান বলা হয়না, একমাত্র রেগে গিয়ে গালাগালি না করা পর্যন্ত।
বরং পরোক্ষভাবে বলা যুক্তযুক্ত। এতে কারো গায়ে লাগে না, এদিক-ওদিক দিয়ে পিছলে যায়। যেমন ধরুন, অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা।

ক্ষমতা কার

Mar 4, 2012
ক্ষমতা কার প্রশ্নটা শুনতে সরল, উত্তর জটিল দুচারজনকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন নিশ্চিতভাবেই ভিন্ন ভিন্ন উত্তর পাবেন কারো মতে টাকাই ক্ষমতা, কারো মতে পদবি, কারো মতে অস্ত্র, কারো মতে সরকার, কারো মতে জনগন সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ পাবেন না চোরের ক্ষমতা বেশি নাকি পুলিশের ক্ষমতা বেশি এমন সরাসরি প্রশ্ন করলেও নিশ্চিত উত্তর পাবেন না অন্তত পুলিশের ক্ষমতা বেশি হলে চুরি থাকত না একথা যদি বিশ্বাস করেন
ক্ষমতার পরীক্ষা যখন নাটকে হয় তখন সেটা নাটকিয় হবে এটা আরো স্বাভাবিক
অধিকাংশ বাঙালী বিশ্বাস করেন একজন বাংলাদেশী যখন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তখন সেটা নিয়ে গর্ব করা দেশপ্রেমের লক্ষন দেশকে নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছেন যদিও পুরস্কার পাওয়ার পরই গদগদচিত্তে বলেছিলেন পুরস্কারের টাকায় হাসপাতাল বানাবেন, সেকথা ভুলে গেছেন সকলেই

যোগ্যতা বর্জন করুন

Feb 28, 2012
যদি নির্বাচন নিয়ে কথা ওঠে তাহলে এই জিকির সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। আর সামনে যদি নিশ্চিত নির্বাচন থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
জিকিরটা হচ্ছে, সত এবং যোগ্য দেখে ভোট দিন।
গত জাতীয় নির্বাচনের সময় এটা রীতিমত হুজুগে পরিনত হয়েছিল। কারনও ছিল অনেক। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায় থাকার কথা ছিল ৩ মাস তারা দিব্বি দুবছর কাটিয়ে দিল। রীতিমত ক্ষমতা দেখিয়ে। সেই ক্ষমতার বহর এতটাই যে দুই প্রধান দলের দুই প্রধানকে জেলে ঢুকানোর কাজটিও করা হয়েছে। এমন কৃতিত্ব বাংলাদেশে আর কেউ দেখাতে পারেননি। এরশাদও না। তারসাথে ছিল জরুরী আইনের মত অসীম ক্ষমতা।
বাংলাদেশের ভাগ্য ভাল তারা পাকিস্তান থেকে শিখেছেন এর ফল খুব ভাল হয় না। মোশাররফের অবস্থায় তারা পরতে চাননি। সেকারনে নির্বাচন। সেকারনে ওই জিকির।
এই জিকিরে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের তালিকা অনেক লম্বা। প্রথম সারিতে একদল বিশেষজ্ঞ রীতিমত ব্যবসা হাতে পেয়েছিলেন। এখন এই চ্যানেলে তারপর ওই চ্যানেলে। আর শেষপ্রান্তে রিক্সাচালক-দিনমজুর-ভিক্ষুক সবাই। একদল বলছেন সত যোগ্য দেখে ভোট দিন, আরেকদল বলছে সত যোগ্য দেখে ভোট দেব।

নিজের পরান বাচা

Feb 24, 2012
একজন মন্ত্রী বলেছেন সিমান্তের বিষয় নিয়ে সরকার চিন্তিত না। কাজেই সিমান্তে মরুন তাতে সরকারের কিছূ যায় আসেনা। পথঘাটে মৃত্যুর কথা নতুন করে না বলাই ভাল। ওটা সবদেশেই ঘটে। বাংলাদেশে বরং কমই ঘটে। আর নিজের বাড়িতে যদি খুন হন তাহলে প্রধানমন্ত্রী সেখানে পাহাড়ার ব্যবস্থা করতে পারেন না। ওটা সরকারের দায়িত্ব না।
আসলে এসব না বলে পুরনো গল্প বলাই ভাল। আপনাকে মরতে হবে। সমুদ্রে জাহাজ ডুবে মরতে পারেন বিছানায় শুয়েও মরতে পারেন। সমস্যা হয়েছে দিন যখন পুরনো দিনে থেমে নেই। সব দেশেই সরকার বলে একটি ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রতিপদে জনগনকে তাদের টাকা দিতে হয়। তারা সেই টাকায় সেরা খাবার খান, সেরা যায়গায় বাস করেন, সেরা বস্তু উপভোগ করেন এবং সেরা কথা বলেন।
কিংবা অন্যভাবেও দেখতে পারেন। বানর যদি মাথায় চড়ার সুযোগ পায় তাহলে নামবে কেন ? যে মাথায় উঠিয়েছে তাকেই কি দায়ী করা উচিত না!
আমি নিশ্চিত কোন বাঙালী এজন্য দায়ী নন। বাঙালী কখনো কোন ধরনের দোষ কিংবা ভুল করতেই পারে না। নির্বাচনের আগে রীতিমত জিকিরের মতই শোনা যায় দেখে, শুনে, ভেবে, দেশপ্রেমিক, যোগ্য, সত ব্যক্তিকে ভোট দেব। তারা সেটা করেনও। কোন কারনে বিজয়ের পর তাদের প্রকাশভঙ্গিটা ভিন্ন পাওয়া যায়। তখন আর তাদের সত, যোগ্য, দেশপ্রেমিক মনে হয় না।

বেশির চেয়ে কম ভাল

Feb 22, 2012
ভলতেয়ার তার দেশের মানুষ সম্পর্কে বলেছিলেন তারা অতিমাত্রায় দাম্ভিক। অনেকটা খালি কলসি বাজে বেশি-র মত। যা নেই তাই নিয়ে বড়াই করে।
অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করে বলতে পারেন ভাগ্যিস বাংলাদেশে অলতেয়ারের মত কেউ নেই। থাকলে কি বলত কে জানে!
কিংবা ভিন্নকথাও হতে পারত। ভলতেয়ার আবার কে ? ওসব চুনোপুটি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। বাঙালী বিশ্বসেরা। বাঙালী পারে না এমন কাজ নেই। কে বলেছে ? বাঙালী বলেছে।
বাংলা ভাষাকে বিশ্ববাসি চিনেছিল শতখানেক বছর আগে। একেবারে নিখুতভাবে বললে ৯৯ বছর আগে যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পান। সারা বিশ্ব জেনেছিল বাংলা নামে একটা ভাষা আছে, সেই ভাষায় উন্নতমানের কাব্যরচনা হয়। বহুবছর পর্যন্ত মানুষ বাংলাদেশ এবং ভারতকে রবীন্দ্রনাথের দেশ বলে চিনত।
এরপর গঙ্গায় বহু পানি গড়িয়েছে (ফারাক্কার বাধ সত্ত্বেও)। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ সব যায়গায় কৃতিত্ব দেখিয়েছে বাঙালী। জ্বলে পুড়ে মরে ছাড়খার তবু মাথা নোয়াবার নয়, বলেছিলেন সুকান্ত। এমনকি নোবেল পুরস্কারও জুটেছে বাঙালীর ঘরে। দরীদ্রদের ঋন দেয়ার মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিস্ঠা করে পেয়েছেন একজন বাঙালী। আরেকজন বাঙালী পেয়েছেন মানবতার অর্থনীতির কথা বলে।

নিজের পোষাক ঠিক রাখা জরুরী

Feb 18, 2012
ফেব্রুয়ারী ভাষার মাস। ভাষার মাসে ভাষার জন্য কিছু করা হবে না তাও কি হয়। বাঙালী জাতি কি এতটাই নেমকহারাম!
আজকাল সরকার, প্রশাসন কিংবা জনগন কেউই দায়িত্ব পালন করে না। অনেক সময়ই আদালতকে নাক গলাতে হয়। রুল জারি করতে হয়। কাজেই ভাষার সন্মান রাখতে সেখানে কিছু করা হবে সেটাও হয় না। কাজেই, সংবাদপত্রের খবর;
হাইকোর্টের বেঞ্চ বেতার-দুরদর্শনে বাংলা ভাষার বিকৃতি রোধে ব্যবস্থা নিতে রুল জারি করেছে।
খবরটি প্রথম আলোর। তারা মুহুর্তেই বুঝে গেছে রেডিও বলা যাবে না, বলতে হবে বেতার। টেলিভিশন বলা যাবে না, বলতে হবে দুরদর্শন। কে জানে যদি আদালত অবমাননার মামলায় পড়তে হয়। কথার একটু এদিক-সেদিক করলে যদি আম-ছালা দুইই বাচানো যায় তাতে দোষ কি ? সরকারও খুশি পাঠকও খুশি। লোকে বলে টাইম পত্রিকা এই নিয়মে ব্যবসা করে।
বাংলা ভাষার হাল কি, কোনদিকে যাচ্ছে এনিয়ে আগেও লেখা হয়েছে। অযাচিতভাবেই নিজের মত প্রকাশ করা হয়েছে। বরং সে বিষয় থাক। বিষয়টা অন্যভাবে দেখা যাক।

ভি ফর ভ্যানডেটা

Feb 11, 2012
এডলফ হিটলার আর এডাম সাটলার, নামের উচ্চারনে খুব পার্থক্য নেই। ভি ফর ভ্যানডেটা নামের হলিউডি ছবি দেখলে মনে হবে আচরনেরও পার্থক্য নেই। সাটলার বৃটেনের হাই চ্যান্সেলর। সরকার প্রধান যখন প্রধানমন্ত্রী না হয়ে হাই চ্যান্সেলর হন তখন তারপক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ। কারো মতের তোয়াক্কা করতে হয় না। একেবারে হিটলারের মত।
ভি ফর ভ্যানডেটা ছবির পেছনে কিছু ইতিহাস আছে। ১৬০৫ সালে গাই ফকস নামে এক ব্যক্তি প্রশ্ন তুলেছিল বৃটেনের পার্লামেন্ট সাধারনের পক্ষে কাজ করে কি-না। তারমতে করে না। কাজেই পার্লামেন্ট ভবন নামের ওই ভবন থাকার প্রয়োজন নেই। নভেম্বরের ৫ তারিখকে প্রতিবাদ দিবস হিসেবে তুলে ধরার জন্য বারুদ দিয়ে উড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেছিল সেই ভবন। তারপক্ষে সম্ভব হয়নি। তাকে ধরে ফাসি দেয়া হয়। ৪০০ বছর পার হলেও গাই ফক্সের কথা মানুষ একেবারে ভুলে যায়নি। সম্প্রতি পুজিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আমেরিকা সহ অনেক দেশে তার মুখোশ ব্যবহার করেছে। এই বিশেষ দিনকে আরেকবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য এই ছবি।

জীবনের দাম কত

Feb 1, 2012
দাম হিসেব করা হয় টাকায় জীবনের দাম কত টাকা ?
অনেকেই বলবেন ফালতু প্রশ্ন প্রশ্নের বাকি অংশ কোথায় ? জীবনের ব্রান্ড কি, মডেল কি ? তবে তো দাম মোবাইল ফোনের দাম কত এটা কি প্রশ্ন হল! দুহাজার টাকায় পাওয়া যায়, ৫০ হাজার টাকায়ও পাওয়া যায়
জীবনের দামও তেমনই ব্রান্ড এবং মডেল অনুযায়ী নিতান্ত দার্শনীকতার খাতিরে বলতে পারেন জীবন দিনের মত সকালে সুর্য ওঠে, দুপুরে মাঝগগনে থাকে, তারপর ঢলতে শুরু করে একসময় অস্ত যায় কোন অনিয়ম নেই জীবন যখন সকালে শুরু হয়েছে তখন একসময় দুপুর বিকেল সন্ধ্যা হয়ে রাত আসবেই প্রশ্ন তখনই ওঠে যখন দুপুরে সুর্য ডুবে যায় কখনো কখনো সেটা ঘটে বয়স ৩০ বছর হয়নি, হঠাত করে জীবন প্রদিপ নিভে গেল গাড়ির ধাক্কায় কিংবা বিএসএফ কিংবা পুলিশের গুলির কথা বলছি না, একেবারে নিজের ইচ্ছেয় গলায় ফাস লাগিয়ে
একজন সেটাই করেছেন পরিচয় তিনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী ৩৩ লক্ষের একজন এক বছরের বেশি সময় ধরে স্লোগান দিয়েছেন (অন্তত চেষ্টা করেছেন), পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছেন একসময় শেয়ার বাজারের রাস্তায় হাজির হয়েছে সাজোয়া গাড়ি বিএসএফ যখন গুলি করছে, পুলিশ যখন মিছিলে গুলি করছে তখন এখানে করলে দোষ কোথায়

ক্রিকেট খেলা নাকি নাটক

Jan 21, 2012
রাজনীতির সাথে ক্রিকেট খেলার মিল খুবই বেশি। ইচ্ছে করলেই সব ভাল বলা যায়, ইচ্ছে করলেই সব মন্দ বলা যায়। ব্যাটসম্যান যদি খেলতে না পারেন তাহলে গুড বোলিং, যদি শট খেলেন তাহলে গুড শট, যদি ফিল্ডার ধরে ফেলেন তাহলে গুড ফিল্ডিং, যদি ধরতে না পারেন তাহলে গুড প্লেসমেন্ট। আবার ইচ্ছে করলেই বিপরীত কথাও বলতে পারেন। ব্যাড বোলিং, ব্যাট শট, ব্যাড ফিল্ডিং, ব্যাড প্লেসমেন্ট থেকে শুরু করে ব্যাড লাক পর্যন্ত। কাজেই ক্রিকেট একধরনের রাজনীতি।
অনেকে আবার বলেন আসলে রাজনীতির সাথে বরং নাটকের মিল বেশি। নাটকে যেমন একজন নাট্যকার থাকেন, সিগারেটে টান দিতে দিতে হিসেব করেন কে কখন কোথায় কি করবে (অনেকটাই ঈশ্বরের মত), পরিচালক যেমন সেগুলি ঠিকমত করা, অভিনেতা যেমন সেগুলি দিনরাত প্রকটিস করেন রাজনীতিও তেমনি। কিছু মানুষ ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে, কিছু মানুষ সেগুলি কাজে পরিনত করার দায়িত্ব নেয়।

কত কষ্টে কষ্ট লোপ পায়

Jan 17, 2012
ঘোড়ার আগে গাড়ি না গাড়ির আগে ঘোড়া, সাম্প্রতিককালের অত্যন্ত মুখরোচক এক বিষয় নেতাদের সৃষ্টি আর জনগন যখন রামছাগলের ছানা তারা উতসাহ পেয়ে নাচবেন এটাই তো স্বাভাবিক তারা একে টেনে নিয়ে গেছেন ডিম আগে না মুরগি আগে পর্যন্ত সমাধান অবশ্য হচ্ছে না সমাধান নিয়ে কারো মাথাব্যথাও নেই একটু লাফানো গেল এটাই পাওনা।
অবশ্য আমার স্বল্পবুদ্ধিতে কে ঘোড়া আর কে গাড়ি সেটা বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি সরকারের দাবি নির্বাচন কমিশনারের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে কাজেই এখন নির্বাচন কমিশনার ঠিক করতে হবে এই জরুরী কাজ না করলে সংবিধান থাকে না। আপনার সায় দিন আর বিরোধী দলের বক্তব্য নির্বাচন কমিশনারে কি যায় আসে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে নির্বাচনই হবে না সেটার আগে ফয়সালা হোক

যে ঘটনা ঘটে

Jan 10, 2012
কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি ফেসবুকে জরিপের চেষ্টা করেছিল, আপনি প্রেসিডেন্ট ওবামার মৃত্যুর পক্ষে নাকি বিপক্ষে। পেজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবশ্য খবরটি পাওয়া গেছে একদিনই, পরদিন সেটা উধাও। ঠিক সেখান থেকে কিনা নিশ্চিত করা কঠিন, বাংলাদেশে একজন মত প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর পক্ষে। ওই ফেসবুকেই। তিনি জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আদালত স্বতপ্রনোদিত হয়ে বলেছে তারনামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করতে।
জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খবর হয় অনেক কারনে। একে বলা হয় আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। অবস্থান একেবারে রাজধানী ঘেসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা ছাড়ালেই সবুজ গ্রাম। ভেতরের লেকে শীতকালে হাজার হাজার পাখি ভীড় জমায়। বিষয়টি এতটাই পরিচিতি পেয়েছে যে অনেকে সেখানে যান সেই পাখি দেখতেই।

পাগলেও টাকা চেনে

Jan 9, 2012
পাগলেও টাকা চেনে, এটা কথার কথা। আসলে কে পাগল কে পাগল না চেনা কষ্টকর। যদি টাকা দিয়ে যাচাই করতে চেষ্টা করেন তাহলে টাকা চিনলে হয়ত বলবেন সে পাগল না। যেহেতু সে টাকা চেনে।
বরং অন্যভাবে টাকা মহাত্ব যাচাই করা যেতে পারে। একেবাড়ে গন্ডমুর্খ, অক্ষরজ্ঞান তো দুরের কথা এক-দুই গুনতে জানে না। সেও কোন অবলিলায় টাকার হিসেব করতে পারে। এই রহস্যের সত্যিই সমাধান নেই। অর্থ অনর্থের মুল যতই বলা হোক তারপরও সবাই সেই অনর্থের দিকেই ছোটে।
এসব তত্ত্বকথায় আসলে জীবন চলে না। বাস্তবতা হচ্ছে মানুষকে বাচার জন্য খেতে হয় এবং টাকা খাওয়া যায় না।  জিম্বাবের সেই বিখ্যাত ছবির কথা কি মনে আছে ? এক ব্যক্তি সকালে রুটি কিনতে যাচ্ছেন ব্যাগভর্তি টাকা নিয়ে। সহজে টাকা বহন করার জন্য ছাপা হয়েছে কোটি ডলারের নোট।

থামলে ভাল লাগে

Jan 6, 2012
এক পাগল ক্রমাগত দেয়ালে মাথা ঠুকছিল। একজন জিজ্ঞেস করল, ওভাবে মাথা ঠুকছ কেন ? কষ্ট লাগে না ?
তার উত্তর, থামলে কি আরাম!
আপনার মাথায় যদি কেউ আঘাত করতে থাকে সেটা বন্ধ করলে আরাম লাগারই কথা। ব্যথা কি জিনিষ কিভাবে বুঝবেন যদি ব্যথা না পান। একইভাবে দিনে পাচবার যদি বিদ্যুত না যায় তাহলে বিদ্যুতের মর্যাদা বুঝবেন কিভাবে।
এখন শীতকাল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ জোরেশোরে শোনা গিয়েছিল কি পরিমান বিদ্যুত তৈরী হবে। মন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছিলেন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিদ্যুত উতপাদন করা হবে (কেন কে জানে ?) শীতকালে যখন বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে তখন ভারতে রপ্তানী করা হবে আর গরমকালে ভারত থেকে আমদানী করা হবে (হয়ত গরমকালে তাদের চাহিদা কম থাকে)।

রাজাকার কাহাকে বলে

Jan 4, 2012
কোন পরীক্ষায় সম্ভবত এপ্রশ্ন করা হবে না এমনকি কোনধরনের ইন্টারভিউতেও না, যদি না সেখানে অতি রসিক বাঙালী থাকেন অবশ্য বাঙালীর রশিকতা নিয়ে প্রশ্ন না করাই ভাল একেবারে তুলনাহীন একজন শীর্ষস্থানী নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করেছেন তার স্বামী কোথায় যুদ্ধ করেছেন তিনি জানেন কিনা ইতিহাস বইতে যতদুর লেখা ছিল (বর্তমানের কথা জানা নেই, ইতিহাস প্রতিদিনই পাল্টায়) তিনি কোন সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন, কোথায় যুদ্ধ করেছেন, বীরত্বের কারনে কি খেতাব পেয়েছেন, কখন অতিরিক্ত প্রমোশন পেয়ে সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসার হয়েছে, এই খেতাব এবং প্রমোশন কে দিয়েছে  বরং ইতিহাসে লেখা নেই জনাব তোফায়েল আহমেদ কোথায় যুদ্ধ করেছেন সেটা আগেভাগে লিখে ফেলাই ভাল
বাংলাদেশের মানুষ বাস্তবে জানে না জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন নাকি রাজাকার ছিলেন তিনি যুদ্ধ করেছেন নাকি পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধের গোপন তথ্য পাচার করেছেন সেকারনেই রাজাকার কাহাকে বলে বিষয়টি সামনে এসে দাড়ায়
 

Browse