ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন

Feb 28, 2011
আড়াই হাজার বছর আগের কনফুসিয়াস কি বলে গেছেন তা নিয়ে এখনও মানুষ মাথা ঘামায় কেন ? একজন পশ্চিমা লেখক তার ব্যাখা দিয়েছেন এভাবে, তখনকার সাথে বর্তমানের খুব বেশি তফাত নেই। তখনও যারা ক্ষমতায় ছিল তারা অনবরত মিথ্যে বলত, জনগনকে মিথ্যে আশ্বাস দিত অর্থনীতি, শিক্ষা এসব নিয়ে, বাগাড়ম্বর করত আর নিজেরা সমস্ত সম্পদ ভোগ করত।
বর্তমানে বিষয়গুলি কমেছে না বেড়েছে বলা কঠিন। তবে সমাজ যে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। ব্যক্তি নিজেকেই চেনে। বড়জোর নিজের পরিবারকে। তার অর্থ প্রয়োজন, সম্পদ প্রয়োজন, ক্ষমতা প্রয়োজন। কতটা তার পরিসীমা নেই। যত বেশি তত ভাল। আর যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা সেগুলি দিতে বিন্দুমাত্র কার্পন্য করেন না। পরের জমি দখল করবেন, করুন। টেন্ডারের নামে সরকারী টাকার শ্রাদ্ধ করবেন, করুন। ব্যবসার নামে গলা টিপে ধরবেন, ধরুন। খুন করবেন, করুন। পুলিশ পেটাবেন, সাংবাদিক পেটাবেন, পেটান। আমরা বাধা দিচ্ছি না। তবে ভুলে যাবেন না, আপনি আমাদের লোক। আমাদের বিরুদ্ধে যদি কথা বলেন তাহলে ওই যে অপরাধগুলো করেছেন সেজন্য জেলে যেতে হবে। লক্ষ রাখবেন বিরোধী দলের দিকে। আর জনগনের দিকে। দুটো যেন কোনভাবে একসাথে না মেশে।
ইতিহাস বলে এমন অবস্থায় ভুমিকা নেন কিছু শিক্ষিত মানুষ। তারাই বলে দেন, আসলে ক্ষমতায় কোন বংশের কে আছে তাতে কিছু যায় আসে না। তারা কি করছে সেটাই বিষয়। আপনার প্রয়োজন খাবার, থাকার যায়গা, পোষাক, চিকিতসা, কাজ। এগুলি নিশ্চিত করাই সরকারের কাজ। একারনেই মানুষ সরকারকে প্রতিপদে টাকা দেয়। তারা কতবড় জাতিয় পতাকা ওড়াল দেখে পেট ভরে না।
বর্তমানের ক্ষমতাশীনরা এইসব তথাকথিক শিক্ষিতদের থেকে অনেক বুদ্ধিমান, অনেক ধুর্ত। বিদেশ সফরে যান শতসখা সনে। একেবারে নিশ্চিত এই শতজন একেবারে পকেটের মধ্যে। ভুলেও এদের মুখ থেকে টু শব্দ বেরবে না। এরাই শিক্ষিত করবেন অন্যদের। তারাও এই নিয়মেই চলবে।
এর বাইরে যে শিক্ষা সেটা নিয়ন্ত্রন করবে ব্যবসায়ীরা। কোচিং সেন্টার দিয়ে শুরু, ইউনিভার্সিটি দিয়ে শেষ। শিক্ষালাভ কতরবেন কেন, অর্থ উপার্জনের জন্য। কোন বিষয়ে শিক্ষালাভ করবেন, যেখানে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়। বহু বছর আগে বঙ্কিম এভাবেই বলেছিলেন কথাটা। এরা সেটা শিখেছেন, খুব ভালভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন। অনেকেই বলে থাকেন বাঙালী বই পড়া ছেড়ে দিয়েছে। মোটেই না। সেই মানিক বন্দোপাধ্যায়ের কথাই ধরুন না কেন। বাজারে খুজলে বই পাওয়া দুস্কর মনে হতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষ সেগুলি পড়েন, বাস্তবে প্রয়োগ করেন। শিশুকে কোন পদ্ধতিতে পঙ্গু বানাতে হয়, ভিক্ষুক বানিয়ে অর্থ উপার্জন করতে হয়।
গনতন্ত্র নাকি সরকারী দল আর বিরোধী দলের লড়াই। একে অন্যকে পাহাড়া দিয়ে রাখেন। সে পদ্ধতিও সব সমাজে কাজ করে না। তারাও জানেন আসলে গনতন্ত্র কি জিনিষ। সময় হলে সবাই মিলে ভোট দেবে। যারা কয়েকবছর লুটপাট করেছে তাদের ওপর বিরক্ত হয়ে বিপক্ষ দলকে ভোট দেবে। দিক না কেন ? সতটা সম্ভব চেষ্টা তো করছি। ওই যে, যাদের সবকিছু দিয়ে হাতে রেখেছি, যে পুলিশদের বেতন দেই তারা থেকে শুরু করে দলের নিয়োগ দেয়া বিচারপতি পর্যন্ত। তারপরও যদি কাজ না হয়, ওরা যাক ক্ষমতায়। কি করতে পারে সেতো জানিই। এক চোর আরেক চোরের প্রতিদ্বন্দি হতে পারে তাইবলে চোরের পেটে লাথি মারে না।
কথা একটাই, ওই দলের সাথে জনগন যেন কোনভাবেই এক হতে না পারে। ভয় ওই জনগনকেই। ওই যে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, বাহরাইন, আরো কি কি দেশ ... কিভাবে দেশের ক্ষতি করছে। ভারতেও নাকি লক্ষ মানুষ পথে নেমেছে দাম বেড়েছে এই কারনে।
আমরা আগে থেকেই সাবধানী। ওরা যেন কোনভাবে একসাথে না হয়। যারা কথা বলতে জানে তারা যেন ভুলেও বিপক্ষে না যায়। ওইসব ইন্টারনেট নিয়ে যারা মাথা ঘামায় তারা ভিডিও-এমপিথ্রি নিয়েই ব্যস্ত থাকুক। ইন্টারনেটে প্রেমালাপ করুক। এসব সামাজিক যোগাযোগে আমাদের কোন আপত্তি নেই। ওয়াইম্যাক্স চালু করেছি, এরপর থ্রিজি করব।
তাইবলে বাজারের খবর নিয়ে আলাপ করবেন না। চাকরী চাই বলবেন না। দেশের কথা যদি বলতে হয় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলুন, ভাষা আন্দোলনের কথা বলুন। গর্ব করুন গর্বিত অতীত নিয়ে। বর্তমানের দিকে দৃষ্টি দেবেন না।
সেবিষয়ে বিচ্ছিন্ন থাকুন।
আর কনফুসিয়াসের কথা বলছেন! ওসব ফালতু বিষয় নিয়ে সময় কাটানোর সময় আমাদের নেই।

মাথা বড় না টুপি বড়

Feb 26, 2011
ব্যবসা করা ভাল না চাকরী করা ভাল এই বিতর্ক বহুদিনের। মিমাংসা হয়নি। কেউ এটা ছেড়ে ওটাতে যান, কেউ ওটা ছেড়ে এটাতে। দুপক্ষেরই যুক্তি প্রবল। একপক্ষের মত, চাকরীতে বেতন নিশ্চিত, ব্যবসায় আয়ের ঠিক নেই। আর আরেক পক্ষের মত, ব্যবসা যত ভাল লাভ তত বেশি। আয়ের কোন সীমা নেই।
শেষ বিচারে হয়ত ব্যবসায়ীরাই এগিয়ে। কেউ কেউ ব্যবসা অপছন্দ করে এমন কথাও বলেন, ব্যবসা, ধুর ওকাজ মানুষ করে। তারচেয়ে চাকরী কত ভাল। তবে চাকরীটা যদি ব্যবসা প্রতিস্ঠানে হয়। সত্যিকারের বেতন তো ওরাই দেয়। সরকারী চাকরীর সম্ভাবনা যখন নেই তখন আঙুর ফল টক।
কাজেই ব্যবসার উন্নতি মানেই ব্যক্তির উন্নতি, সমাজের উন্নতি, দেশের উন্নতি। উদাহরন দেখেন না। ওই যে গুগল। সারা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ব্যবসা করে বলেই তো।
ব্যবসার ধরনটাও ওই গুগলের মতই। আপনি ওয়েব সাইট তৈরী করবেন, কোন খরচ নেই। তাদের সাইটে গিয়ে কয়েকটা ক্লিক করুন। আপনি ওয়েব সাইটের মালিক। নাম কিনতে হবে না, যায়গা ভাড়া করতে হবে না।
আয় করতে চান। তাদের খাতায় নাম লেখান। আপনার ওয়েবসাইটে লোজ যাবে আর আপনার নামে টাকা জমা হতে থাকবে। ইমেইল ব্যবহার করতে চান। তাদের কাছে নাম লেখান। তাদের এক টাকাও দিতে হবে না।
যদি নিতান্তই বদনাম করতে চান তাহলে বলতে পারেন, আরে এসব করেই তো ওরা টাকা কামাচ্ছে। আপনার নাম ভাঙিয়ে, আপনার খাতায় কিছু টাকা জমা দেখিয়ে নিজেরা আয় করছে হাজার হাজার কোটি ডলার। এই যুক্তি মানানসই। অন্তত বাংলাদেশের জন্য তো বটেই। তারা বড়লোক হবে আর আপনি সেকাজে সাহায্য করবেন এটা কি হয়!
বাংলাদেশের ব্যবসার ধরন সেতুলনায় অনেক ভাল। চাকরী করছেন ডাক্তার হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে। আরে কটাকা বেতন দেয় ওরা! চা-সিগারেটের দামও হয় না। সেজন্যই তো ওই ব্যবসা। ক্লিনিক আর কোচিং সেন্টার। ওগুলোই তো দেশ বাচিয়ে রেখেছে। নইলে সব মানুষ অসুখে মারা পড়ত, দেশ নিরক্ষরে ভরে যেত। মুল কাজ তো হয় ওখানেই।
লোকে বলে ব্যবসার সাথে সেবার সম্পর্ক। আরো ভাল ভাষায় বললে সার্ভিসের। সেটা দেই বলেই তো আয় করতে পারি। দেশ কি চলছে না! মানুষ কি না খেয়ে আছে ? না খেয়ে কেউ বাচে ? কই, না খেয়ে মারা গেছে এমন খবর শুনেছেন ?
রীতিমত সেবা দিয়েই ব্যবসা করতে হয়। অবশ্য সেখানেও ঝক্কি কম না। রীতিমত প্রতিযোগিতা। রীতিমত লাইনঘাট। অমুকের ইন্টারনেটে মাসে ২ গিগাবাইট ব্যবহার করা যায়, আমি ৩ গিগাবাইট দেব কেন ? আমার ১ গিগাবাইটের কি দাম নেই ? আরো টাকা ঢালুন, নইলে আমারও ওই ২ গিগাবাইটই।
ব্যাংক একাউন্ট করবেন ? কত টাকা রাখবেন ? এনআইডি আছে ? কমিশনারের দেয়া চরিত্রের সার্টিফিকেট ? বন্দুকের লাইসেন্স ? পাসপোর্ট ? না থাকলে পথ দেখেন। ব্যাংক একাউন্ট এত সহজ না। অমন কাষ্টমার না হলেও আমার চলবে। পারলে আরেক যায়গায় যান, দ্যাখেন তারা কি বলে।
আপনার যদি শুনে অভিজ্ঞতা না হয় তাহলে দেখে অভিজ্ঞতা লাভ করুন, সব ব্যবসায়ীই ব্যবসায়ী।
দোষ ধরছেন কেন ? এটা চোখে পড়ছে আর কিভাবে ব্যবসা করা হচ্ছে সেটা দেখছেন না। এই নিয়ম চালু রাখতে রীতিমত তেল মালিস করতে হয়। সময়ে গলা চেপে ধরতে হয়। দাম বাড়াবেন বাড়ান, কখনো কমাবেন না। সার্ভিস দেবেন দিন, আরেকজনের সাথে মিল রেখে দিন। ব্যবসায়ী হয়ে ব্যবসায়ীর পেটে লাথি মারবেন সেটা হবে না।
আর লাইনঘাট, আজকাল মনো-ষ্টেরিও লাইনে কাজ হয় না। এমনকি সারাউন্ড জ্যাকেও কাজ হয় না। এখন লাইনের ধরন আলাদা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না। তারা লাভের জন্যই ব্যবসা করেন। লাভ করা তাদের অধিকার।
আর ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধান বলছেন ৩ মাসের মধ্যে দ্রব্যমুল্য কমবে। নইলে ব্যবস্থা।
আপনি হাততালি দিয়ে বলতে পারেন, বাহবা! দেখা যাক তাহলে। মাথা বড় না টুপি বড়।
কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। সকলেই সে স্কুলে পার হয়েছেন অনেক আগে। কখন কি বলতে হয়, কখন ভুলে যেতে হয় সে বিদ্যে রপ্ত করে তবেই মাঠে নেমেছেন। এতটা পিছলে যাওয়ার ক্ষমতা বাইন মাছেরও নেই।
কাজেই, টুপি বড় না মাথা বড় সে তথ্য কখনো জানা হবে না।

কি করিলে কি হইত

Feb 23, 2011
যদি - এই শব্দের ওপর বাঙালীর নির্ভরতা অত্যন্ত বেশি। যদি এটা হয় তাহলে ওটা হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে তো বটেই, একেবারে জাতীয় পর্যায়েও। বাংলাদেশের মানুষের আয় দ্বিগুন হতে পারে যদি, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে যদি, গার্মেন্টস শিল্পের মত আউটসোর্সিং শিল্প গড়ে উঠবে যদি, ইত্যাদি ইত্যাদি। একজন জাতীয় নেতা তো বলেই দিলেন বাংলাদেশ ২২তম ধনী দেশ হবে যদি ...
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন বর্তমানে জি২০ বলে যে ২০টি দেশ পরিচিত তাদের পর ২১ নম্বরে যাবে কোন দেশ। কিন্তু এসব ফালতু বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করে কে ?
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলেছে বাংলাদেশ। খেলার আগে টসে জিতেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ পেয়ে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। তারা এতটাই বেশি রান করল যা করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ হারল। ব্যাস, শুরু হয়ে গেল।
আসলে শুরু হয়েছে ওই টসের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় থেকেই। তারপর আর থামেনি। আগে ব্যাট করলে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই জিতত। ৩০০র কাছাকাছি রান করলে ভারত চাপে পরত। তখন টুক করে জয় তুলে নেয়া। বাংলাদেশের কাছে কি ভারত পারে! দেখিয়েছি না আগের বিশ্বকাপে!
কাজেই, বাংলাদেশের পরাজয়ের কারন ওই টসের সিদ্ধান্ত। যদি ওটা ঠিক হত।
আসলে এই বিষয় আমাদের একটাই গভীরে রয়েছে যে এনিয়ে কথা বলা আসলে সময় নষ্ট করাই। ক্লাইভ যদি মীরজাফরের সাথে ষড়যন্ত্র না করত তাহলে কি ইংরেজদের সাধ্য ছিল এদেশ দখল করে! তারা কি জানে এদেশের মানুষ কি করতে পারে!
কোন কোন ইতিহাসবিদ বলেন বটে, আসলে ভুল ছিল চালে। হিসেবে। মীরমদন-মোহনলালের মত দেশপ্রেমিকের পক্ষেই সামান্য সংখক ইংরেজদের হারানো সম্ভব ছিল। যদি না তারা ধরে নিতেন তাদের মত ইংরেজদেরও গোলাবারুদ বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। আসলে সেটা হয়নি। তারা ভালভাবেই সেটা রক্ষা করেছিল। ফল হিসেবে তারা যখন ইংরেজদের আক্রমন করলেন সেটা ছিল তরবারি হাতে সরাসরি তাদের কামানের সামনে দাড়ানোর মত।
বাংলাদেশ তাদের থেকে শক্তিশালী দেশের কাছে হেরেছে একথা বলতে লজ্জা কোথায় আমার জানা নেই। অন্তত আইসিসি যখন তাদের বিচারে ভারতকে ১ নম্বর টেষ্ট দল বলে। বাংলাদেশ কখনো এই তালিকার সিকি পথও পেরতে পারেনি। বরং এই খেলায় ভারতের বিপক্ষে রীতিমত লড়াই করেছে এটাই তো গর্বের বিষয় হতে পারত।
ওধরনের গর্বে আমাদের বিশ্বাস নেই। ষড়যন্ত্র না করে কেউ আমাদের হারাতে পারে না। এখানেও খোজ করলে সেটা পেলেও পাওয়া যেতে পারে।
আমরা অন্যধরনের গর্বে বিশ্বাস করি। সেই গর্ব কিভাবে তৈরী হয় সেনিয়ে মাথাব্যথা নেই। ভাড়াকরা বাড়িতে দুটো রুম নিয়ে স্কুল, এই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। খেলার মাঠের মত অপ্রয়োজনীয় কাজে যায়গা নষ্ট করে কে ? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বলতে পারি, স্কুলের যে মাঠে ছোটবেলায় ফুটবল খেলেছি সেই মাঠে তৈরী হয়েছে শিক্ষকের বাড়ি। স্কুল শিক্ষকের জন্য।
ক্রিকেটার কিভাবে তৈরী হবে ? কেন, সেজন্য কম্পিউটার গেম তো রয়েছে। আর টিভিতে সারা বছর ক্রিকেট দেখার ব্যবস্থা। কোনভাবে শিখে জাতিয় দলে চলে আসুন। আমরা হাত বাড়িয়ে বসে আছি।
আমাদের দল আসলে হারতে জানে না। কিছু মানুষ চায় না দল জিতুক। ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। ওজন্যই তো ওসব ঘটে। মাসরাফি বাদ পরে, সাকিব ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এসব কারনেই দল হারে। এসবের সমাধান করলেই ...
পুনশ্চ : খবরের কাগজে রিপোর্ট বেরিয়েছে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির কোম্পানীর শেয়ারের দাম গত দুবছরে বেড়েছে ৭৫ গুন। দাম বাড়ার পর তারা বহু কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। আরো লিখেছে, তার আগের বছরগুলিতে শেয়ারের দাম ছিল মুল দামের অর্ধেকেরও কম। কোম্পানীর নাম ছিল লোকসানের খাতায়, এমনকি কারখানা বন্ধ ছিল। এসব তথ্য আবার খেলার সাথে জড়াবেন না। তিনি যে সরকারী দলের নেতা, তার সাথেও এর কোন সম্পর্ক নেই।

বই পড়লে বুদ্ধি কমে

Feb 16, 2011
সাক্ষাতকারের সুবিধে অনেক। এখানে নাট্যকারের লেখা সংলাপ মুখস্ত করতে হয় না, পরিচালকের কথামত অভিনয় করতে হয় না। একেবারে নিজের পছন্দমত অভিনয় করা যায়, নিজের পছন্দমত শব্দ ব্যবহার করা যায়। কাজেই এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হবে এতে অবাক হবার কি আছে!
টিভিতে পুরো ১ ঘন্টার অনুষ্ঠানই হোক আর খবরের এখানে সেখানেই হোক, কিংবা অমুক ব্যাংকের বিজ্ঞাপন বিরতিতেই হোক, সাক্ষাতকার চলতেই পারে। নানা বিষয়ে, নানা কারনে।
এটা ভাষার মাস। কাজেই আলোচনা সেখানেই সিমাবদ্ধ থাকুক।
বছরের অন্তত একমাস ভাষা চর্চ্চা হতেই পারে।
পুরো মাসজুড়ে বইমেলা। বিশ্বে আর কোথাও একমাস বইমেলা চলে কিনা জানা নেই। আমাদের সেটাই প্রয়োজন। অন্তত বাকি মাসগুলিতে যখন ভাষা কিংবা বই প্রয়োজন নেই তখন একমাস চললে আপত্তি কেন ? যতদিন পর্যন্ত মানুষ ক্লান্ত হয়ে ঝিমুতে শুরু না করে, যতদিনে না বিরক্ত হয়ে বলে ওঠে, ধুত্তোর ...
বলছিলাম সাক্ষাতকারের কথা। লেখক, পাঠক, প্রকাশক, দোকানদার, ভবঘুরে সকলের। সকলেই পঞ্চমুখ ভাষা নিয়ে কথা বলা বিষয়ে, তা দোআশলা ভাষায়ই হোক আর অন্যকিছুই হোক। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়েছে আমাদের কারনে, একি যেমন তেমন কথা। নিতান্ত দেশদ্রোহি হলে তবেই প্রশ্ন করতে পারেন কয়েক লক্ষ মানুষের ভাষায় উইন্ডোজ তৈরী হলেও বিশ্বের ৭ নম্বরে থেকেও বাংলায় হয়নি কেন। বাংলায় লেখার জন্য আলাদা টাকা খরচ করতে হয় কেন ? কিংবা শত্রুতা করে বলতে পারেন কিবোর্ডে কোন কি চাপলে কোন অক্ষর তৈরী হবে সেটা একজনের পৈত্রিক সম্পত্তি হল কিভাবে ?
ওসব ফালতু কথা।
কথা হচ্ছে, ভাষা নিয়ে, বই নিয়ে এবং বইমেলা নিয়ে। আর বই মানেই লেখক।
অতীতের যেসব গুনিজন লেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে শোনা, তারা স্বপ্ন দেখতেন লেখক হবেন। লিখতেন আর প্রকাশকের পেছনে ঘুরতেন। কোন একসময় লেখা ছাপা হয়ে পাঠকের হাতে পৌছলেই হয়ে গেল, সাথেসাথে খোজ পড়ে গেল লেখকের। রাতারাতি খ্যাতি।
আজকাল কেউ ওকথা ভাবেন না। লেখক ভালভাবেই জানেন লেখা ছাপতে চাইলে খরচটা নিজেকেই দিতে হবে। পত্রিকার কথা ভুলে যান। সাহিত্য পত্রিকা বলে কিছু নেই। সাহিত্যপাতা নামে যা আছে সেখানে যায়গা পাবেন না। আপনে কেডা ? লেখক ? পথ ছাড়েন। বিজ্ঞাপনদাতা হইলে কথা কন।
কাজেই নিজের টাকায় রংচঙে বই ছাপা। এবং মুরগা লেখক হিসেবে পরিচিতি। বইয়ের শেষ ঠিকানা ফুটপাত, হরেদরে একদামে বিক্রি।
কাজেই, লেখক যদি কমতে থাকে, পাঠক যদি কমতে থাকে, এবং যদি সেটা স্বীকার করা হয়, তাহলে একটামাত্র পরিনতিই সম্ভব।
আগেভাগে একটা কথা বলে নেয়া ভাল। পাঠক কমছে, বইয়ের বিক্রি কমছে, বইমেলায় ভীড় কমছে একথা না বলাই ভাল। দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হতে পারে।
এবারে সত্য বলা যাক। এবারের বইমেলায় বইয়ের সংখ্যা কমেছে। আজকাল তথ্য জানা খুব সহজ। সেই তথ্য বলছে আগের বছর যে পরিমান বই ছাপা হয়েছে এবার তারথেকে অনেক কম। মুরগা লেখকগন আগ্রহ হারিয়েছেন। খ্যাতিমানরা তাদের সব রস বেচে ফেলেছেন। পানি মিশিয়ে যতদিন চালানো যায় সে সময়টাও পার হয়ে গেছে। কাজেই, বই কম। বিক্রি কম।
এটা যদি বর্তমান বছরের ঘটনা হয় তাহলে নিশ্চিত থাকুন, আগামী বছর বইয়ের সংখ্যা আরো কমবে।  
সময় থাকতে একটা বুদ্ধি দিয়ে রাখি। ভাষার মাসে যদি একমাস মেলা চালাতে হয় তাহলে পরিবর্তন প্রয়োজন। পদ্ধতিও খুব সহজ। বইয়ের দোকানের ভীড় কোথায় গেছে খোজ নেয়া।
সিডি-ডিভিডির দোকানে দেখুন সেখানে ভীড়ের কমতি নেই। আর কে-না জানে কম্পিউটারে গেম খেললে বুদ্ধি বাড়ে। বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে বলেছেন। ডিজিটাল দেশে ডিজিটাল সরকারও সেকাজ সহজ করে দিয়েছেন। ৪০ টাকায় এক ডিভিডি। ২৫ টাকায় সিডি। সন্তানকে গেম কিনে দেবেন আর তাদের বুদ্ধি তরতর করে বাড়তে থাকবে। খামোখা বইয়ের পেছনে টাকা খরচ করে কে ?
কাজেই, আয়োজকগন, এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন। মেলায় ভীড় বাড়াতে চাইলে বইয়ের দোকান কমান, সিডি-ডিভিডির যায়গা বাড়ান। মেলা উপলক্ষে ২০ টাকায় ডিভিডি এবং ১৫ টাকায় সিডি বিক্রির ব্যবস্থা করুন (সেটা সম্ভব)। ওসব সাক্ষাতকারে কান দেবেন না।
আর নতুন যুগের নতুন স্লোগান দিন, গেম খেললে বুদ্ধি বাড়ে, বই পড়লে বুদ্ধি কমে।

প্রযুক্তি বনাম প্রো-যুক্তি

Feb 12, 2011
গত কয়েক হাজার বছরের জ্ঞান ব্যবহার করে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। একসময় অর্থনীতিতে পড়ানো হত জনসংখ্যা বিষয়ক তত্ত্ব। যদি জনসংখ্যা অত্যধিক হয় তাহলে প্রাকৃতিকভাবে সেখানে সমতা ফিরে আসে। দুর্ভিক্ষ-মহামারী এসব বড় কারন। বিপুল সংখ্যক মানুষ মরে সমাজে স্থিতাবস্থা ফেরে। কিন্তু মানুষ সেই তত্ত্বকে ভুল প্রমান করেছে। এখন কলেরা মহামারী হয় না। বলতে গেলে মানুষ প্রকৃতির নিয়মকে পাল্টে ফেলেছে।
এরপরও কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষকে অসহায় অবস্থায় পরতে হয়। ঘুর্নিঝড়, বন্যা কিংবা খরা এখনো প্রতিরোধ করা যায়না। তবে মানুষ ব্যবস্থা নিতে পারে। কখন, কোথায়, কি পরিমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে সেটা আগাম জানা যায়। ব্যবস্থা নেয়া যায়। একটা বাদে।
ভুমিকম্প। মানুষ এখনো আয়ত্ব করেনি কবে কোথায় ভুমিকম্প হবে। বলা হয় প্রাচীন চীনে একধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত ভুমিকম্প সম্পর্কে জানতে। প্রাচীনকালের সেই যন্ত্রে আগাম তথ্য না পেলেও ভুমিকম্প কোনদিকে কতদুরে হয়েছে সেটা জানা যেত। কারনটাও সংগত। রাজা রাজধানীতে বসেই জানতেন কোনদিকে হাজার মাইল দুরে ভুমিকম্প হয়েছে, তার শক্তি কত। সাথেসাথে ত্রানসামগ্রী পাঠিয়ে দিতেন সেদিকে। খবর পাবার অপেক্ষা কয়েকদিন বসে থাকতেন না।
ভুমিকম্পের হাত থেকে বাচতে আরেক পদ্ধতির ব্যবহার সবথেকে বেশি। ভুমিকম্পে ক্ষতি হবে না এমন ভবন তৈরী। জাপান এদিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে। তাদেরকে সবচেয়ে বেশি ভুমিকম্প সহ্য করতে হয়। কাজেই ইট-সিমেন্টের থেকে কাঠের বাড়ি তাদের বেশি উপযোগি। সেটাই ভাল প্রযুক্তি। এমনকি বর্তমানের উচু ভবন তৈরীর সময়ও এমন প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হয়েছে যা ভুমিকম্প সহ্য করতে পারে।
ভুমিকম্প বাংলাদেশেও হয়। উল্লেখ করার মত বড় ধরনের ভুমিকম্প না হলেও মাঝেমধ্যে জানান দেয়, আসছে। সাথেসাথে সাংবাদিকরা ছোটেন যে তার ব্যাখ্যা দিতে পারেন তারকাছে। টিভিতে কিংবা খবরের কাগজে তাদের বক্তব্য শোনার সুযোগ পায় মানুষ। কখনো কখনো বিশেষজ্ঞের পরিমান যদি এতটাই বেশি হয় যে একসাথে সবার কথা শোনা যায় না, তখন তাদের ডাকা হয় গোলটেবিল-লম্বা টেবিলের চারিদিকে। প্রত্যেকে তাদের প্রফেশনাল যুক্তি তুলে ধরেন। সংক্ষেপে একে প্রো-যুক্তি বলতেও ক্ষতি নেই। অন্যান্য দেশের প্রযুক্তির কাছাকাছি।
বাংলাদেশের সবটাই প্রো-যুক্তি একথা হয়ত ঠিক না। এদেশেই একজন নির্মান সামগ্রী হিসেবে বিশেষ ধরনের বোর্ড তৈরী করেছিলেন। একেবারে সাধারন প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরী করা যাবে, খরচ কমবে, কাঠের বদলে ব্যবহার করা যাবে। এটা প্রো-যুক্তি না, রীতিমত প্রযুক্তি। কিন্তু বিষয়টা থেমে আছে সেখানেই। বাড়ি তৈরী উপকরন ওই ইট-বালু-সিমেন্ট-রড। কিসের অনুপাত কত হলে লাভ বেশি সেটাই বিবেচ্য। কেউ কেউ বলেই বসেন, জন্মমৃত্যু আল্লার হাতে, ওনিয়ে ভেবে কি হবে। এমনিতেই যখন বাড়ি হেলে পড়ে তখন ভুমিকম্প নিয়ে ভাবার কি আছে।
আসলেই ভাবার কিছু নেই। আল্লাহ এত ক্ষমতা মানুষকে দেননি। অন্তত ধার্মিক মুসলমানকে তো বটে।
যেসব দেশে মানুষ ধার্মিক না তারা বরং প্রযুক্তি নিয়ে মাথা ঘামায়। যেমন ধরুন সেই চীনের কথাই। তারা ১৫ তলা এক হোটেল তৈরী করেছে ৬ দিনে। ৯ মাপের ভুমিকম্পেও নাকি সেটার কিছু হবে না। তৈরীর খরচ কমেছে ২০ ভাগ। আর সেখানে নাকি বিদ্যুত খরচ হবে ৬ ভাগের ১ ভাগ। দেয়াল, জানালা, বিদ্যুত ব্যবহার এগুলি নাকি সেভাবেই হিসেব করা।
কাজেই ধরে নেয়া যায় সেখানে ওই ইট-সিমেন্ট-বালু-রডের ব্যবহার হয়নি। এমনকিছু ব্যবহার করা হয়েছে যা হাল্কা, শক্ত এবং খরচ কম। এজন্য নিশ্চয়ই ইট বানানোর জন্য হাজার হাজার ভাটা প্রয়োজন হবে না। সেটা পোড়ানোর জন্য গাছ কিংবা গ্যাস। তাদের প্রযুক্তিই অমন।
আমাদের ইটভাটাই ভাল। বহু মানুষের কর্মসংস্থান।
ভুমিকম্প সম্পর্কে প্রো-যুক্তিবিদদের যুক্তি শুনতে আমাদের কোনই আপত্তি নেই। নাটকের চেয়ে বেশি আকর্ষনীয়। দিব্যি সময় কাটে।

বাঙ্গালের স্বপ্নভঙ্গ

Feb 8, 2011
দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে মিসরের তাহরির স্কয়ারে মানুষের জমায়েতের। কাউফিউ-প্রতিপক্ষের আক্রমন-বৃষ্টি কোনকিছুই সরাতে পারেনি তাদের। দাবী তাদের একটাই, বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে। সেটা না হওয়া পর্যন্ত সরব না এখান থেকে।
মিসরের মানুষের সামনে অনেক স্বপ্ন সরকার বদল হলেই অবস্থার পরিবর্তন হবে মানুষ চাকরী পাবে জিনিষপত্র কেনার মত টাকা হাতে আসবে জীবনযাত্রা উন্নত হবে এরই মধ্যে তারা দেখিয়েছে লক্ষ মানুষ একসাথে হলে অস্ত্রহাতে মিলিটারী কিছু করতে পারে না। তাহলে পথে নামব না কেন ?
বিশ্বের কোথাও যখন এমন ঘটনা ঘটে তখন বাকিরা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সেদিকে।  শুরু হয়েছিল তিউনিসিয়ায়। এখন হচ্ছে মিসরে। আশেপাশের অনেক দেশে লক্ষন দেখা যাচ্ছে। সকলেরই স্বপ্ন, এটা যদি সত্যিই হয়। যদি সরকারকে সরানো যায় তাহলেই সকলের ভাগ্যের পরিবর্তন। দেশের উন্নতি। সকলের চোখে একই স্বপ্ন।
বাঙালী এই স্বপ্ন দেখে না কারন এই না যে বাংলাদেশে সমস্যা নেই সেই একই সমস্যা, আরো প্রকটভাবে বিদ্যমান বেকারের সংখ্যা কয়েক কোটি, জিনিষের দাম বাড়ে ঘন্টায় ঘন্টায় জনসংখ্যা আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশের দ্বিগুন, আয়তনে ক্ষুদ্র প্রাকৃতিক সম্পদ আর পিরামিড দেখা মানুষ থেকে যে আয় তার কানাকড়িও এদেশে হয়না। সম্পদ সীমিত একমাত্র জনসম্পদে। সেই জনসম্পদের বড় অংশ বেকার। সেইসাথে রীতিমত ঘোষনা দিয়ে দলের লোকজনদের কোটিপতি বানানোর প্রক্রিয়া টেন্ডার-ব্যবসা-চাকরী সবকিছু দলের মানুষের হাতে তুলে দেয়া সরকারের পতন চাই একথা বলার মত কারনের অভাব নেই বিরোধীদলের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, প্রয়োজনে মিসরের মত আন্দোলন গড়ে তোলা হবে সরকারের পতন ঘটানো হবে
সমস্যা একটুখানি মিসরের মানুষ স্বপ্ন দেখছে কারন সেটা তাদের কাছে নতুন বাঙালী এই স্বপ্ন বহুবার দেখেছে বহুবার সরকার বদল হয়েছে এইদল-ওইদল, এই পদ্ধতি-সেই পদ্ধতি সবই দেখা হয়ে গেছে ফলাফল, যেই লাউ সেই কদু
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে বেশি সময় রাজত্ব করেছেন এরশাদ সাহেব। তাকে সামরিক শাসক, স্বৈরাচার যাই বলুন না কেন, অন্য কেউ তারমত টানা দীর্ঘ্য সময় ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পায়নি। বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়লেও এখনও তিনি অনেকের প্রিয় নেতা।
অন্যদের মধ্যে দুই প্রধান দলের দুই প্রধান নিহত হয়েছেন। আর এরশাদ সাহেবকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে যে গনতন্ত্র প্রতিস্ঠা করা হয়েছে সেখানে প্রধান দুই দল কিংবা দুই জোট মানুষকে এতটা সন্তুষ্ট করতে পারেনি যাথেকে তারা পরপর দুবার ক্ষমতায় যেতে পারে। প্রতিবার নির্বাচনে সরকার বদল হয়েছে। মানুষের যাকিছু করার মানুষ করেছে। সরকার বদল হলেই যদি ভাগ্যের পরিবর্তন হয় তাহলে সেটা হওয়া উচিত ছিল এরই মধ্যে।
সেটা হয়নি। সরকার বদলের সাথে সাথে সরকার এবং বিরোধীদলের ভাষা এবং আচরন হাতবদল হয়েছে। একদল দেশে উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন, আরেকদল দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষ জেনে গেছে তাদের চাকরী পাওয়ার আশা নেই, ব্যবসা করার সুযোগ নেই, নিজে উতপাদনশীল কিছু করবেন সেটা হবে না। সব যায়গায় দল, চাদাবাজি, দখলদারীত্ব। একটামাত্র যায়গা রয়েছে সামনে, শেয়ার বাজার। সেখানেও দাম একদিন বাড়ে তো দুদিন কমে। সরকারের ব্যর্থতা নাকি বিরোধীদলের কারসাজি কে জানে ?
এই জনগনকে যদি বলা হয় অবস্থা পরিবর্তনের কারনে সরকারের পতন ঘটাতে হবে, জীবনের ঝুকি নিয়ে পথে নামতে হবে, তারা প্রশ্ন করে, সে তো কতবারই দেখলাম। কত সরকারই তো এলো- গেল। শেষ ফলটা কি ?
আর একথা বলছে কে ? বক্তাকে তো ভালভাবেই চিনি
বাঙালীর স্বপ্ন ভেঙে গেছে
 

Browse