আশার সমান

Jun 6, 2009

মানুষ তার আশার সমান বড় এই আশা পুরন করতে হয় কাউকে কাউকে দায়িত্ব নিতে হয় সেই আশা পুরন করানোর এবং এই মহান দায়িত্ব নেয়ার মানুষ সমাজে রয়েছেন

দেশের প্রধান সমস্যা কি যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে ভিন্নমত পাওয়া যাবে নিশ্চয়ই তবে কর্মসংস্থান যে বড় অংশ দখল করবে তাতে সন্দেহ নেই সবাইকে খেতে হয়, কাপড় পড়তে হয়, কোথাও থাকতে হয় এজন্য প্রয়োজন অর্থ এই অর্থ অর্জন করতে হয় অনেকের অভিযোগ, অনেকের মত আমারও অভিযোগ ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিয়ে এরা ব্যবসার নিয়মকানুন মানে না যতরকমভাবে সম্ভব ক্রেতাকে ঠকায় যার কাছে যে দাম নিতে পারে নেয়, ভাল জিনিষ দেখিয়ে খারাপ জিনিষ গছিয়ে দেয় এগুলি ক্রেতার বিরম্বনা কিন্তু একজন মানুষ যখন সহায় সম্বলহীন অবস্থায় কোনমতে ঢাকায় এসে কোথাও মাথা গোজে, রাস্তার পাশে একটা দোকান দেয় এবং একসময় ধরেই নেয় এটাই তার কপালের লিখন, তখন বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া তাকে দোষ দেয়া যায় কতটুকু সততার উপদেশ দেয়া যায় তো বটেই, তবে, সেটা আছেই বা কোথায় ? অমুকে কোটি টাকা কারচুপি করল সেইডা বন্ধ করেন না আর আমারডা দেখেন ?

এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় না আমার সে দুরভিসন্ধিও নেই বলছিলাম আরেকটু ভেতরের কথা

যে ব্যক্তির আশাই একমাত্র সম্বল সে দোকান দেয় কিভাবে ? দোকান দিতে মুলধন প্রয়োজন ফুটপাত হোক আর যাই হোক, যায়গা প্রয়োজন এগুলির ব্যবস্থা হয় কিভাবে ?

হয়ে যায় পরিচিত একজন কোনকিছু করার পথ না দেখে ব্যবসা করতে চেয়েছিল কয়েকমাস ধরে খোজখবর নেয়ার পর তার মন্তব্য, সব যায়গায় কুতুবে ভর্তি সংসদ ভবনের আশেপাশে, ধানমন্ডি লেকের কোনায়-চিপায়, ফার্মগেট-ঢাকা কলেজের ফুটপাতে সব যায়গা কুতুবের দখলে ইলেকশনের পর কুতুব পরিবর্তন হয়েছে যায়গা ভেদে দিনে পাচশটাকা হাজার টাকা তাদের দিতে হয়

তারপরও লোকে এসব করছে পাচশ টাকা হাজার টাকা এই কুতুবদের হাতে তুলে দিচ্ছে (আমার ধারনা এই কুতুবরা অনায়াসে কুতুব মিনার গড়তে পারে একজনের কাছে দিনে হাজার টাকা, দশজনের কাছে দশ, একশ জনের কাছে দিলে লাখ কুতুব মিনার গড়তে কত লাগে ?) যারা তাদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে তাদের ব্যবসার অর্থ কেউ যোগান দিচ্ছে সেটা কে ?

একজনের তথ্য জানা গেল এক সুপারমার্কেটে ঘর ভাড়া নিয়ে অফিস এদের কাজই এইসব ব্যবসায়ীদের অর্থ যোগান দেয়া তাদের আশা পুরন করা নিয়ম খুবই সহজ ব্যবসার যায়গা ঠিক করলেই টাকা নেয়া যাবে কোনকিছু বন্ধক রাখা প্রয়োজন নেই একেবারে সহজ সর্তে

আপনি দশ হাজার টাকা নেবেন ছয় মাসে শোধ দেবেন এজন্য আপনাকে প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে লাভ দিতে হবে আর সমিতি চালানোর খরচ হিসেবে দৈনিক একশ টাকা

টাকার হিসেব আরেকবার মিলিয়ে নিন ছয় মাসে লাভ দেবেন ছয় হাজার টাকা আর সমিতি চালানোর জন্য দৈনিক একশ করে মোট আঠারো হাজার টাকা এই হল চব্বিশ হাজার তারসাথে ঋন নেয়া দশ হাজার মোট চৌত্রিশ হাজার

ছয় মাসে এই চৌত্রিশ হাজার টাকা আয় করে তাদের হাতে তুলে দেবেন এরসাথে যদি কুতুবদের বখরা যোগ করেন তাহলে কত হয় আমার জানা নেই সরকার কর্মসংস্থানের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এমনই লক্ষ লক্ষ মানুষের হাতে অন্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিন, নিজের কর্মসংস্থান করুন যারা পথ দেখিয়ে খ্যাতিমান হয়েছেন তাদের পথ অনুসরন করুন দেশের সুনাম বৃদ্ধি করুন।

তবে ঋন নিয়ে এরা ভালই আছে রোজগার করছে দেনা শোধ করছে তারপর নিজে চলছে বিয়ে করছে, পরিবার বড় করছে নিজের চলছে, পরিবারের চলছে তাদের আশার কাছাকাছি পৌছাচ্ছে

নয়ত এইহারে দোকান বাড়বে কেন ?

0 comments:

 

Browse