মাতব্বরি করবেন না

Nov 13, 2009

মাতব্বরি জিনিষটা কি হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ডিডো বাংলাদেশ দলের ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কোচ মনে করেছিলেন মাতব্বরি করে নিজের পছন্দমত খেলোয়ারদের নিয়ে দল বানাবেন ভুলেও বোঝেননি আসল মাতব্বর কে তার আগে যারা বিদায় নিয়েছে, অটো ফিস্টার, কার্শিযানি, সামির সাকির কাউকে দেখে শেখেননি এমনকি ক্রিকেটের গর্ডন গ্রীনিচকে দেখেও না এখন বোঝ ঠেলা এক কথায় চাকরী নট ব্রাজিয়াল কোচের অবস্থা দেখে আর্জেন্টিনার ট্রেনার পর্যন্ত আগেই চাকরী ছেড়ে ছুট মেরেছে মাতব্বরের ওপর মাতব্বরী করা দরকার নেই বাবা!

এখানে ফুটবল বোঝে না কে ? খেতের মজুর আর রিক্সাচালক থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত, সকলেই জানেন কিভাবে ফুটবল খেলতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটে টেষ্ট ষ্ট্যাটাস পাওয়ার পর পত্রিকায় মন্তব্য ছাপা হল, বুলবুল একাই দুগোল করেছে এখানে ফুটবল শেখাতে চান ?

আমরা না খেলতে পারি, অন্যেরা যখন বিশ্বকাপে খেলে আমরা রাত জেগে দেখি সারা দেশ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকায় ছেয়ে যায় যখন বাছাই পর্বের খেলা চলে বছর ধরে তাতেও আমাদের মনোযোগ কম নেই গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষাকার ছাপা হয় পত্রিকায় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা কি খেলার সুযোগ পাবে ? হেরে যাওয়ায় আপনার অনুভুতি কি ?

বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর কি আছে ? বাছাই পর্বের বাছাই পর্ব কখনো পেরতে পারেনি! তাতে কি আমরা ফুটবল নিয়ে মাথা ঘামাই না। ঘামালে আমাদের সাথে কেউ পেরে উঠত না। আমাদের খেলা ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা জানেন পৃথিবীর কয়টা দেশ টেষ্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পায়? কদিন পর বিশ্বকাপ হবে ঢাকায় আমাদের ফুটবলে দরকার কি স্কুলে হুজুর বলেছেন ওটা হল শয়তানের মাথায় লাথি মারা হাঙ্গামার খেলা আর রাজনীতি তো আছেই আবাহনী আওয়ামী লিগের তো মোহামেডান বিএনপির তারপর বাকি দলগুলোর জন্য আর রাজনৈতিক দল পাওয়া যায় না তারচেয়ে ক্রিকেটই ভাল ফুটবল অন্যদের জন্য থাকুক। ইরাকে যুদ্ধ চলছে এরইমধ্যে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন এটুকু সুযোগ না দিলে ওরা করবে কি ? আমাদের সাফ আছে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলংকা-নেপালের মত শক্তিশালী দলের সাথে অবশ্যই আমরা ভাল ফল করব শোনেননি বসুন্ধরা ফুটবল ফেডারেশনকে দুখানা খেলার মাঠ দিয়েছে ফুটবল টিকে থাকবেই

কোন মানের ফুটবল হবে জিজ্ঞেস করছেন ? একসময়ের কীর্তিমানরা যেভাবে দেশের ফুটবলের সন্মান আকাশে তুলে রেখেছিলেন, এখন কর্মকর্তা হিসেবে রাখছেন, সেভাবেই রাখবেন এখন যারা খেলছেন তারাও আগামীতে কর্মকর্তা হবেন, তারাও টিকিয়ে রাখবেন শুধূ মাঠেই বা কেন, মাঠের বাইরেও কীর্তিমানরা কম যান না। একসময়ের যুগান্তকারী এক ফুটবলার পেট্রোল পাম্পের লাইন না মেনেই তেল নেবেন। লাইনের একজন প্রতিবাদ করার পিস্তল বের করলেন, তাকে হাসপাতালে পাঠালেন। সাংবাদিক প্রশ্ন করায় গর্ব করে বললেন, আমরা- বিখ্যাত ব্যাক্তিরা এসব সুযোগ নিয়ে চলি। কথা বাগাবেন না।

ব্যস, সেখানেই শেষ। অন্য দেশ খেলোয়ারদের সন্মান দিতে জানে না। দক্ষিন আফ্রিকার গিবসকে হাজতে রাত কাটাতে হল। সে নাকি মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়েছে। একসিডেন্ট করেনি তাতে কি, করতে তো পারত। হুহ, ওটা একটা দেশ হল! সারা পৃথিবীতে মদ সাপ্লাই দেয় আর মদ খেয়ে নিজের গাড়ি চালাতে পারবে না।

আমরা জানি কিভাবে খেলোয়ারদের সন্মান করতে হয়। সিনিয়রদের মান রাখতে হয়। আমরা জানি কিভাবে ফিফার তালিকায় তরতর করে ওপরদিকে উঠতে হয় বাংলাদেশের নাম কখনো নিচে নামে না, সবসময় ওপরদিকেই থাকে আগেও কখনো ছিলনা, এখনও নেই তাহলে ভবিষ্যতে থাকবে কেন ? এক, দুই, দশ, পনের, বিশ ওসবে আমাদের মন ভরবে না আমাদের প্রাপ্য একশবিশ, একশত্রিশ এসব

আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। যা হচ্ছে দেখে যান মাতব্বরি করবেন না

0 comments:

 

Browse