একটুখানি হিসেব

Nov 9, 2009

বাংলাদেশে বছরে লোকসংখ্যা বাড়ছে ২৫ লক্ষ। চার বছরে ১ কোটি। কে জানে কতটা ঠিক। জরিপ সবসময়ই হয় ভাগ্নে-ভাতিজাদের পার্টটাইম চাকরীর ব্যবস্থা করে। তারপরও, সরকারী ভাবে জানানো। ধরে নিচ্ছি সেটাই ঠিক।

বাংলাদেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধি বছরে ২৫ লক্ষ, ভারতে ১ কোটি ৭০ লক্ষ-

ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি দিয়ে আমার কাজ কি ? জনসংখ্যার বৃদ্ধির হারে তারা বিশ্বে ১ নম্বরে, একসময় সংখ্যায়ও চিনকে ছাড়িয়ে ১ নম্বরে যাবে। তাতে আমার কি ?

তাহলে অন্য প্রসংগে যাই। তেলের দাম দেড়শ ডলার হয়েছিল দেড় বছর আগে। সারা পৃথিবীতে হাহাকার পড়েছিল খাদ্যের জন্য (তেলের জন্য না)। অনেক দেশে পথেপথে আন্দোলন হয়েছে, মারামারি হয়েছে, সরকারের পতন পর্যন্ত হয়েছে। চালের দাম ৩০০ ডলার থেকে দুইলাফে হাজার ডলারে গেছে। ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।

আবার ভারত। অন্য প্রসংগে যাওয়া যাক।

সারা বিশ্বে বিশুদ্ধ পানির পরিমান কমছে। কেনিয়ার শতশত মাইল জমি মরুভুমিতে পরিনত হয়েছে। খাবার না পেয়ে গরুগুলো মরে কংকাল হয়ে পড়ে রয়েছে। মানুষ টিকে আছে সাহায্যের ওপর। পাঞ্জাবে প্রতিবছর পানির স্তর নামছে ১ মিটার। ভারতের ২০ ভাগ ফসল সরবরাহ দেয়া পাঞ্জাবে প্রতিবছর ফসলের পরিমান কমছে। কৃষক আত্মহত্যা করছে।

আবার ভারত!

এবারে আর অবহেলা করা যায় না কারন সেখান থেকে আমদানী করতে হয়। সেখানে যদি ফসল না ফলে, তারা যদি রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তাহলে আনতে হবে থাইল্যান্ড-ভিয়েতনাম-চিন থেকে। আনার খরচা বেশি। তাহলে বিষয়টা আরেকটু ভালভাবে জানতেই হয়।

পৃথিবীর জনসংখ্যা সাড়ে ছয়শ কোটি। ২০৫০ সালে হবে নয়শ কোটি। এই হিসেবে গড়মিল নেই কারন শতশত বছরের তথ্য একসাথে করে বের করা। এই সময়ে পৃথিবীর জমির পরিমান বাড়বে না ১ ইঞ্চিও। বরং এই মানুষগুলোর থাকার জন্য প্রয়োজন হবে বাড়ি, পড়াশোনা জন্য স্কুল, খেলার জন্য মাঠ, কাজের জন্য কারখানা। তারমানে যায়গা আরো কমবে। আবার বলা হচ্ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। অনেক জমি নাকি তলিয়ে যাবে সমুদ্রে। যেটুকু থাকবে তাও নাকি লবনাক্ত হবে। ফসল আরো কমবে। আর মানুষের খাবার অভ্যেসও নাকি পাল্টাচ্ছে। সামর্থ্য বাড়ছে। এখন শুধু শাকসবজি আর মাঠের ফসলে চলে না। নিয়মিত মাংশ খেতে হয়। মার্কিনীরা খাবারের খুব ভালভাল পদ্ধতি বের করেছে। এখন দেশেই পাওয়া যায়। চারিদিকে একবার দৃষ্টি দিলেই বোঝা যায় খাদ্যে ভিটামিনের পরিমান কতটা বেড়েছে। মুরগীর খামারে নাকি মুরগীকে বিশেষ খাবার দেয়া হয়। যে ওজন হবার কথা ৩ মাসে সেই ওজন হয় ১৫ দিনে। তখন তার নিজের ওজন নিয়ে নিজের পায়ে দাড়ানোর শক্তি থাকে না। এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে মানুষের মধ্যেও। শরীরের ওজন বয়ে নেয়ার শক্তিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। নির্ভর করতে হচ্ছে গাড়ির ওপর। ১৫ মিনিটের পথ যেতে হচ্ছে ৩ ঘন্টায়।

লোকে বলে তেলের দাম ২০০ ডলার হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা। দেড়শ ডলারের যে নমুনা দেখা গেছে তাতে দুশো, আড়াইশ, তিনশ ডলারে কি হবে ভাবলে মাথা গুলিয়ে যায়।

থাক বাবা। এসব ভেবে কাজ নেই। হিসেব ছাড়াই ভাল আছি।

0 comments:

 

Browse