তাকে জাগানো যায় না Those Forbidden Words

Sep 3, 2009

বাংলাদেশের পুলিশ অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে। জনগনের জান এবং মাল রক্ষা করে। কোনরকম হুমকির সম্ভাবনা দেখলে তাতে বাধা দেয়। সেজন্য কখনো কখনো মৃদু লাঠিচার্জও করতে হয়। তাতে কোন কোন হামলাকারী সন্ত্রাসী আহত হয়। ফাকা গুলি ছুড়লে ক্রশফায়ারে দুচারজন মারাও যায়।

তবে তাদের দায়িত্বপালন নিয়ে, কর্তব্যপরায়নতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। তারা কতটা অনুগত সে বিষয়েও প্রশ্ন নেই। অন্য যে কোন দেশের চেয়ে বেশি। তারা খুব দ্রুত বুঝে যায় মনিব কে, মনিব কি চায়। সাথেসাথে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়। যদি কোন কারনে মনিব বদল হয় তারা বদল হয় তারচেয়েও দ্রুত। বুঝে যায় রক্ষা করতে হবে মনিবকে। তবেই না মনিব তাদের পক্ষে দাড়াবে। একে অন্যকে রক্ষা করবে।

লোকে বলে বিশ্বে সবচেয়ে উপকারী পুলিশ হচ্ছে ববি। তাদের কাছে সাহায্যের জন্য গেলে প্রয়োজনে নিজের পকেটের পয়সাও খরচ করে। নিজের জীবনের ঝুকিও নেয়। তারপরও, কখনো সখনো ব্যতিক্রমি ঘটনা ঘটে। একবার একজন অভিযোগ করল তাদেরই একজন তারসাথে খারাপ ভাষায় কথা বলেছে। ব্যাখ্যা দিতে হল পুলিশ প্রধানকেও (তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীরও সমালোচনা করতে ছাড়েন না)। তিনি বললেন তাদের আচার ব্যবহারে উন্নতি করার প্রয়োজন রয়েছে।

এসব আসলে অবান্তর কথা। বাংলাদেশে খাটে না। বাংলাদেশের পুলিশ কখনো দুর্ব্যাবহার করে না। যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুতুই করে। করতে বাধ্য হয়। শোনা কথা, পুলিশ একাডেমিতে অন্য সবকিছু শেখানোর পাশাপাশি তাদেরকে নাকি গাছের সামনে দাড়িয়ে গালাগালির অনুশীলন করতে হয়। সেই পরীক্ষায় পাশ করতে হয়।

আবারও বলছি শোনা কথা। কারন সারদায় কি হয় নিজের চোখে দেখিনি। আর পথেঘাটে পুলিশ যে ভাষা ব্যবহার করে তা প্রতিনিয়ত শুনি।

কাজেই এই দায়িত্বশীল পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে এতে অবাক হওয়ার কি আছে। প্রতিপক্ষ নেতারা যখন কোমড় ভেংঙে পরে রয়েছে, রাজপথে দাড়ানোর সামর্থ্য নেই তখন পেশিগুলো তো ঠিক রাখতে হবে। আড়াই বছর ধরে দেশে হরতাল নেই এটা কি মেনে নেয়া যায়। অভ্যাস একেবারে বদভ্যাসে পরিনত হবে যে!

কাজেই-

রাজপথে যাকে পাওয়া যায় তাকেই প্রতিপক্ষ ধরে নেয়া। এবং আচরন ঠিক রাখা। অনুশীলন করা।

কেউ কেউ বলে প্রফেসর আনু মুহাম্মদ নাকি দেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ। ধুরো-, এত প্রতিভা থাকলে এতদিনে মন্ত্রী হত না! অন্তত মন্ত্রীর আসেপাশে তো চেহারা দেখা যেত। কোটিপতি হত না! দেশবিদেশে ঘুরত না! টিভির সামনে চকচকে চেহারা দেখা যেত না!

কিছুই তো হয়নি। পথে নেমে চিল্লাচিল্লি করছে। যার যোগ্যতা আছে সে এসব করে না। কই তার কথা কোন সংবাদ মাধ্যম তো প্রচার করেনি। দেশের গ্যাস নাকি পুরোটাই বিক্রি করে দিচ্ছে। কজন সেখবর পেয়েছে জিজ্ঞেস করুন তো ? কাগজে ছেপে নাকি বিলিও করেছে। কজন পড়েছে খোজ নিন তো! বড়জোর বিনে পয়সায় একটুকরো কাগজ পেয়ে ইয়ে পরিস্কার করেছে। এসব কথায় কাম কি ? এতকিছু বোঝেন আর এইডা বোঝেন না, ব্যাংকে গ্যাস রাখা যায় না। ট্যাকা রাখতে হয়। যত পারেন কামায়া ব্যাংকে জমা করেন। ট্যাকার চেয়ে বড় শক্তি নাই।

আর সংবাদ মাধ্যমের কথা কন ? এসব ফালতু বিষয় নিয়া কথা কওয়ার সময় আছে টিভির ? দেখানোর মত কতকিছু জমা পরছে। বিটিভিতে ঈদের নাটক জমা পরছে ৯৮। অন্য চ্যানেলেও ওই অবস্থা। এইসব বাদ দিয়ে ফালতু কথা কইলে লোকে শুনবো ? ঘরে বইসা আয়েস কইরা একটু টিভি দেখব সেইখানেও প্যাচাল -

আসলে লোকটা একেবারে গাধা। জানে এসব করে টাকাপয়সা পাবে না, সামনের ইলেকশনে ভোট পাবে না, তারপরও পথে নেমেছে। দেশের পনের কোটি মানুষের ভবিষ্যত নাকি তিনি টের পেয়েছেন। তারা অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে দেখে নিজেকে ঘরে আটকে রাখতে পারেননি। ভেবেছেন পথে নামলেই লোকে তার পক্ষ নেবে। পাচ বছর পর, দশ বছর পর দেশ কিভাবে চলবে তা নিয়ে মাথা ঘামাবে।

লোকটা বোঝেনি যে জেগে ঘুমায় তাকে জাগানো যায় না।

0 comments:

 

Browse