মুল কথা আবাহনী-মোহামেডান নিয়ে না। মৃতকে নিয়ে মাথা ঘামায় কে। বিষয় হচ্ছে পক্ষ-বিপক্ষ। এই পক্ষে নয় ওই পক্ষে। বুশ বলেছেন আপনি হয় আমাদের পক্ষে নয়ত সন্ত্রাসী। এখন আবাহনী-মোহামেডান না থালেও পক্ষ দুটিই। নৌকা-ধানের শীষ।
অকারনে ভুমিকাটা করে নিতে হল। মুল কথাই যাই।
সরকার ঘোষনা দিয়েছেন এখন থেকে লোড সেডিং এক ঘন্টার বদলে দুই ঘন্টা। সাথেসাথে কার্য্যকর হয়ে গেছে। (বাপরে অন্য সিদ্ধান্ত যদি এত তাড়াতাড়ি কার্য্যকর হত!) কারন উল্লেখ করা হয়েছে। এক ঘন্টায় আইপিএস ঠিকমত চার্জ হয় না, এখন দুই ঘন্টা সময় পাবেন। আপনি নিতান্তই বাচাল হলে বলতে পারেন এক ঘন্টার চার্জে এক ঘন্টা চলে না তাহলে দুই ঘন্টার চার্জে দুই ঘন্টা চলবে কিভাবে। আর আইপিএস ব্যবহার করে কজন ? কি কাজে ? যে তেল দিতে জানে সেতো জেনারেটরের তেলও কিনতে জানে।
আপনার কথায় আসলে কিছু যায় আসেনা। আপনে কথা কওনের ক্যাডা ?
আরো ভয়ংকর খবরের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। রাত্রে ঢাকার বিদ্যুত নিয়ে সেচের জন্য দেয়া হবে।
মানে কি ? রাত মানে কি সারারাত ? এখনই তো অর্ধেক রাত বন্ধ থাকে। রাতদুপুরে কলকারখানা-দোকানপাট-রাস্তাঘাট সবই তো বন্ধ। তারপরও শতভাগ সময় হিসেব করে লোড সেডিং। বড়জোর চৈত্রমাসে ফ্যান চালু রাখতে হয়। প্রকৃতির হাওয়া খাওয়ার উপায়ও নেই, চোরের ভয়ে জানালা বন্ধ রাখতে হয়। এখন কি সেই ফ্যানটাও বন্ধ ? প্রাকৃতিক তালপাতা ভরসা ?
আরে বেক্কল আপনারে নিয়া মাথা ঘামাইতাছে কেডা ? দ্যাশ আগে, কৃষক আগে। সরকার যাকিছু করে দ্যাশের জন্য করে। দ্যাশের অর্থনীতি বইলা কথা। জানেন ৩ বছর পর দ্যাশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন হইব। মন্ত্রী কইছে। খবর রাখেন কিছু ?
এবার মোহামেডানের পক্ষের বিষয়টি তুলে ধরি। মোহামেডান সমর্থক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একে বলেছিলেন বিপ্লব। খাল কাটতে হবে। পানি ধরে রাখতে হবে। বিজ্ঞাপনের পোজ দেয়ার জন্যই হোক আর যে কারনেই হোক তার সেই ছবি এখনও দেখা যায়। কৃষির জন্য পানি ধরে রাখা গুরুত্বপুর্ন এটা অন্তত বুঝানোর চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু তাতে কার কি ? আজকাল পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অনেক ষ্টাইল করে বলেন, সারফেস ওয়াটার। ওই পদ্ধতিতে কোনভাবে পানি জমিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হবে। ভুলেও খাল শব্দ ব্যবহার করেন না। পাছে আবাহনীর বিরুদ্ধাচরন হয়ে যায়। এমনকি ১০ বছর দেশ চালানো খাল+এদা নিজেও স্বামীর পথে যাননি। ওনিয়ে একটা কথাও বলেননি। কাজ তো দুরের কথা।
কিন্তু পথ তো ওটাই। ঢাকা থেকে বিদ্যুত নিয়ে সেচের জন্য দিয়ে সমাধান কোথায়। আগেই ঘোষনা দেয়া হয়েছে কুষককে বিদ্যুত নিতে হলে নিজের টাকায় ট্রান্সফর্মার কিনতে হবে। আর মাটির নিচে পানি আছেই বা কতটুকু ? কতদিন চলবে। শোনা যাচ্ছে সেই পানির আর্সেনিক নাকি সেচের পানিতে উঠে এসেছে। বাঙালী অবশ্য সহজে কাবু হয় না। আর্সেনিকের মত সামান্য বিষয় নিয়ে মুল্যবান মস্তিস্ক ঘামায় না। এসির বিজ্ঞাপনে আছে, মাথা ঘামানোর দিন শেষ। বেচারা আর্সেনিককেই শরীরে দগদগে ঘা হয়ে দেখা দিতে হয়। নিজের আগমন ঘোষনা করতে হয়।
দিন যাচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়ছে হুহু করে বন্যার পানির মত। পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। আর্সেনিক উঠে আসছে। চোখকান যতই বন্ধ করে রাখুন না কেন, এসব ঘটছে। ঘটবে।
খাল কাটলে তাতে কুমির আসার সম্ভাবনা নেই। একমাত্র পানিই পাওয়ার কথা। তারপরও যদি খাল শব্দটাতে আপত্তি থাকে তাহলে নাম পাল্টে ফেলুন। মুজতবা আলী বলেছিলেন সুন্দর নামেই যদি ডাকতে হয় তাহলে প্রাননাথ ডাকলে ক্ষতি কি। সুন্দর একটা ডিজিটাল নাম দিয়ে ফেলুন। আবাহনী-মোহামেডানের বিষয়টি এড়ানো যাবে।
সেটাই স্থায়ী সমাধান।
0 comments:
Post a Comment