বুশের প্রিয়ভাজন পল উলফোভিতজকেও বিশ্বব্যাংক প্রধানের পদ ছাড়তে হল ওই সুপারিশের কারনেই। তিনি নাকি নিজের পরিচিতি ব্যবহার করে বান্ধবীকে প্রাপ্যের চেয়ে বেশি বেতন দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। কাজেই চাকরী নট।
আসলে সুপারিশের বিষয়টি নগন্য। মুল বিষয় ওই - বান্ধবী। ধর্মপ্রান বাংলাদেশের নেতারা ওসব কুকাজ করেন না। তবে সুপারিশ করেন। ওই যে একজনের চাকরী গেল ব্যাংক থেকে। তিনিও জানেন কোন পথে যেতে হয়। প্রতিমন্ত্রী। তার ফোন গেল ব্যাংক প্রধানের কাছে,
হ্যালো, আমি মাহবুবুর রহমান। কি বলছেন ? চেনেন না ?? নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে চেনে না ! আমি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। পানিসম্পদ রক্ষা করি, দেশের সম্পদ রক্ষা করি, চাকরী রক্ষা করি আর আমাকে চেনেন না। বাড়ি কোথায় ? এ্যা, ঘড়বাড়ি নেই ? বেয়াদ্দপ কোনহানকার। তোর এতবড় সাহস। তুই রাজাকার, আলবদর। গানম্যান পাঠালাম, দেখ আমি কে। এই, কে আছিস, ধরে আনতো-
সাথেসাথে সরকারী গাড়ি নিয়ে ছুটল সরকারী গানম্যান। সাথে মন্ত্রীর পিএস। নিতান্তই তার অফিসের লোকজনের কারনে বেধে আনা গেল না। এত লোকের সামনে-
না, প্রতিমন্ত্রী তাকে ধরে আনতে গানম্যান পাঠাননি। চায়ের দাওয়াত দিতে পাঠিয়েছেন। অন্তত সাংবাদিকগন এই উত্তরই পেলেন তারকাছে।
আপনারা সাক্ষী, ওই লোক দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তাও শেখেনি। আমার ফোন পেয়ে বলে চেনে না! অপেক্ষা করুন। কদিনেই জানবেন সে রাজাকার - সন্ত্রাসীদের অর্থজোগানদাতা না-কি।
কাজেই, হে বঙ্গবাসি, যদি রাজাকার হতে না চান, যদি গানম্যানের কাছে চায়ের দাওয়াত পেতে না চান তবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির জন্য আচরন শিখুন। তাদের চিনে রাখুন। তাদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ভাই-বেরাদর, সঙ্গিসাথীর নাম মুখস্ত করুন।
টাকার গায়ে লেখা থাকে, চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে। এই লিষ্ট দেখে সকাল-বিকেল নিজেকে বলুন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আদেশ করামাত্র মান্য করিতে বাধ্য থাকিবে।
0 comments:
Post a Comment