পজিটিভ - Think positive

Aug 3, 2009

লবন কিংবা নুন কিংবা নেমক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্য কারো নুন খেলে গুন গাইতে হয় না গাইলে নেমকহারামী হয় গান্ধী এই সামান্য লবন নিয়ে আন্দোলন করে বৃটিশরাজের টনক নড়িয়ে দিয়েছিলেন আর যাই হোক লবনের দাম বাড়ানো কি সহ্য হয়

একবার নাকি সেটাই হয়েছিল বাধ্য হয়ে মন্ত্রীকে লবনের দামবৃদ্ধির গুনগান করতে হল;

লবন কম খাওয়ার অনেক উপকার কখনো বুড়ো হবেন না, চুল সাদা হবে না, কলপ লাগাতে হবে না, অসহায় হয়ে ঘরে পড়ে থাকতে হবে না, বাড়িতে পাহারাদার না থাকলেও চুরি হবে না, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি

কারন, ডাক্তারিবিদ্যা বলে শরীরে লবনের ঘাটতি থাকলে যক্ষা থেকে শুরু করে নানারকম রোগ হয় আপনি সারারাত না ঘুমিয়ে কাশবেন আর চোর ভাববে আপনি জেগে রয়েছেন চুরি সমস্যার সমাধান আপনি বুড়ো হওয়ার আগেই মারা যাবেন কাজেই বার্ধক্যের কষ্ট থেকে রেহাই চুল রং করার ঝামেলা থেকে মুক্তি। নবীনদের জন্য জায়গা করে দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন, জনসংখ্যার চাপ বাড়াবেন না-

এগুলি হচ্ছে পজিটিভ চিন্তা ইতিবাচক চিন্তা কখনো নেতিবাচক চিন্তা করতে নেই পজিটিভ থেকেই বৃদ্ধি, বৃদ্ধি মানেই সমৃদ্ধি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে পজিটিভ চিন্তার প্রসার ঘটান

যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন দেশে পরিবহন খাতে কোন চাদাবাজি নেই একবার ভেবে দেখুন তো কত পজিটিভ কথা চাদাবাজি আবার কি জিনিষ এটা হচ্ছে অর্থের হাতবদল। কর্মসংস্থানের একটা পথ জানেন কত মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে এতে গ্রাম থেকে ভোক্তার বাড়ি পর্যন্ত যেতে জিনিষের দাম হচ্ছে তিন গুন তারমানে দুশোভাগ অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন এগুলো কার হাতে যাচ্ছে একবার ভেবে দেখুন যাদের চাকরী নেই, ব্যবসা নেই, আয়ের সুযোগ নেই বাংলাদেশ দরীদ্র দেশ জানেন না সরকারের পক্ষে কি সম্ভব সকলের কাজের ব্যবস্থা করা সেটা করতে গেলে কখন কোন ফাকে খারাপ লোকজন ঢুকে পড়ে ঠিক নেই সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করুন এইসব দরীদ্র মানুষের কথা কিছু ভাবুন শুধু নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন না

আর চাদাবাজি বলুই আর অন্যকিছুই বলুন, এতে ক্ষতিই বা হচ্ছে কার ? আপনি যে দামে পাবেন সেই দামেই কিনবেন মরিচের দাম দুশো টাকা বলে কি মরিচ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন ? কাচামরিচের বদলে শুকনো মরিচ খাওয়া শুরু করেছেন ? তা করেননি আর্জেন্টিনার লোকে সেটা করতে পারে দল ধরে জিনিষ কেনা বন্ধ করে দেয় আমাদের কি সেটা মানায় ? ধরে নিন এটাই স্বাভাবিক দাম মাঝখান থেকে সমাজের বেকারত্ব দুর করার মহান দায়িত্ব পালন ঢিল না মারতেই পাখি শিকার এই সুযোগ ছাড়বেন কেন ?

গ্যাসের দাম সামান্য বাড়ানো হয়েছে একেবারেই সামান্য দশের লাঠি একের বোঝা আপনাদের একটা একটা করে লাঠি থেকে তৈরী হবে টাকার বোঝা এই টাকা জমা হবে উন্নয়ন তহবিলে নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র বের করা হবে আরো বেশি বেশি করে গ্যাস দেয়া হবে আপনাদের একসময় এই গ্যাসের ওপর ভর করেই জানজট এড়িয়ে চলাফেরা করতে পারবেন

কি বললেন ? তিতাস নিয়ে অনেক অভিযোগ! যৌথবাহিনী কি কি সব খবর বের করেছে ? পত্রিকায় কি কি সব লেখা হয়েছে

ওসব নেগেটিভ কথায় কান দেবেন না ওসব ষড়যন্ত্র সেই যুগ পার হয়ে গেছে ওই সরকারের দুর্নীতির খবর তো রাখেন না। রাখলে মুখ খুলতেন না।

এখন চলছে ডিজিটাল যুগ এখন আর ওসব হবে না, ইনসাল্লাহ শোনেননি কৃষকদের ডিজিটাল পরামর্শ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই হচ্ছে পরিবর্তনের হাওয়া আপনারাও ডিজিটাল চিন্তা শুরু করুন পজিটিভ হোন

জিপিএ ফাইভ পেয়ে ভর্তি হতে পারবে না বলছেন ? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম ?

আপনেরা খালি নেগেটিভ চিন্তা করেন। সামনের দিকে যাইতে হয় ধাপে ধাপে। আগে জিপিএ ফাইভ পাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ুক, তারপর না স্কুল-কলেজ ইউনিভার্সিটি। আগেই এইগুলান বানাইলে সেইখানে যাইব ক্যাডা ? খরচার ট্যাকা দিব কেডা ?

পজিটিভ চিন্তা করেন। একবার চক্ষু মেইলা দ্যাখেন দেশ ক্যামনে তরতর কইরা সামনের দিকে যাইতাছে। ঢাকা শহরের দিকে একবার চাইয়া দ্যাখেন, শহর ঢাইকা রইছে কোচিং সেন্টার, কলেজ আর ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞাপনে। হাজার হাজার কোচিং সেন্টার, লক্ষ লক্ষ মানুষ, সবাই কইরা খাইতাছে। তারপর বিদেশে ভর্তি, বৃত্তি এসব তো রইছেই। সেখানেও হাজার হাজার, লাখ লাখ। এইসব মানুষের কথা ভাববেন না! পজিটিভ ভাবেন।

ঢাকা শহরে জানজট। হাজার কোটি টাকার ক্ষতি।

আবারও সেই পুরানো কথা। আরে ক্ষতির দিকটাই দেখলেন, লাভের দিকটা দেখলেন না। সারা পৃথিবীতে মানুষ রাস্তায় ভীড় করে অফিস যাওয়ার সময় আর ফেরত যাওয়ার সময়। আর এইখানে দ্যাখছেন। কোনসময় কমতি নাই। রিক্সা, স্কুটার, ট্যাক্সি, বাস সব হাউসফুল। একদিনে কত টাকা হাতবদল হয় জানেন ?

জানেন না। জানলে ওইসব নেগেটিভ কথাবার্তা কইতেন না। অর্থনীতি পড়েন সব জানতে পারবেন। টাকা হাতবদল হওয়া মানেই অর্থনীতি সচল হওয়া। অর্থনীতি সচল হওয়া মানে দেশের উন্নতি। খোজ রাখেন না, আমেরিকার সরকার ক্যামনে টাকা দেয় মানুষরে। খালি খরচ কর আর খরচ কর। দেশ সচল রাখ।

আরেকটা কথা কই। ওবামা কইছে তার দেশে মায়েগো পড়ালেখার ট্যাকা দিব। সরকারের টাকায় তারা ডিগ্রী নিব।

সেইডা হইল আমেরিকার কথা। আমেরিকা হইল পৃথিবীর একেবারে উল্টাদিকে। উল্টাদিকে কখনও চাইতে নাই। উল্টাও যা নেগেটিভও তাই। আগেকার দিনে ষ্টুডিওতে দেখেন নাই ? সেইডা এনালগ যুগ। এখন ডিজিটাল যুগ। এইখানে নেগেটিভ বইলা কিছু নাই, সব সরাসরি পজিটিভ।

আপনেরা পজিটিভ চিন্তা করেন, পজিটিভ কথা কন, পজিটিভ কাম করেন।

আমেন

0 comments:

 

Browse