তার রেশ এখনও কাটেনি। এখনও যানবাহনে পরিস্কার করেই লেখা থাকে, সিএনজি চালিত, ভাড়ায় চালিত, ছাত্র চালিত-
তবে শিক্ষিত বলে কথা। তারা নিজেরাই বিকল্প খুজে নিতে জানে। পাবলিক গাড়ি চালানোর মত নিকৃষ্ট কাজ না করেও তাদের চেয়ে বেশি কামানো যায়। দরকার শুধু একটু সাহস আর একটু বুদ্ধি।
বিকল্পে ব্যবহার শিক্ষাক্ষেত্রেই বোধহয় সবচেয়ে বেশি। ঢাকা শহর ছেয়ে গেছে বিশাল বিশাল বিজ্ঞাপনে, বিকল্প পথে ব্যারিষ্টার। অতশত কষ্ট করার দরকার নেই। টাকা নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন আমরা নামের আগে ব্যা লাগিয়ে দেব।
আর স্কুল কলেজ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির তো কথাই নেই। মেধা প্রয়োজন নেই, আমরা বিকল্প পথে ব্যবস্থা করে দেব। বাবা-মা! ওরা আবার ছেলেমেয়ের জন্য কষ্ট করবে কেন ? টাকা সাপ্লাই দেয়াই যথেষ্ট। বাকি ভাবনা আমাদের। সন্তানকে আমাদের হাতে তুলে দিন আর মাসমাস টাকা গুনুন।
আরো বিকল্প চান ? বিকল্প পথে স্পোকেন শিখুন, বিকল্প পথে উপার্জন করুন, বিকল্প পথে চলাফেরা করুন, বিকল্প পথে চিকিৎসা করুন, বিকল্প খাবার খান, বিকল্প পোষাক পরুন, বিকল্প চিন্তা করুন, বিকল্প হাটুন, বিকল্প ঘুমান....
নামকরা লেখকের বইয়ের অনেক দাম। শুধু নামের গুনেই দাম বেড়ে যায়, সেই সাথে কমে কমিশন। নিলে নেন নানিলে নাই, এইসুরে কথা বলে বিক্রেতা। ঝকঝকে গ্লসি কাগজে ছাপা, কাঠের মত শক্ত কাভার, তাতে সোনালী রঙে নাম লেখা। ওই নাম লিখতে নাকি ৫ টাকা দাম বেড়ে যায়। ঘরে সাজিয়ে রাখলেও লোকে সন্মান করে কথা বলে। এমন বই কি হাতছাড়া করা যায় ?
কাজেই কয়েকবার চাওয়ার পরও যখন ধারনেয়া ব্যক্তি মার্ক টোয়েনের পথ ধরেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেল তখন আর চুপ করে থাকা গেল না। বইটা ফেরত নিতেই হবে।
তিনিও হাসিমুখেই ফেরত দিলেন। তবে, রীতিমত আতকে উঠার মত ঘটনা। ওপরে-নিচে যে শক্ত কাগজ ছিল সেটা উধাও।
‘কাভার গেল কোথায় ? এটা ছেড়া তো রীতিমত কষ্টসাধ্য ব্যাপার !’
‘হে-হে-হে, লোডসেডিংএ বিকল্প পাখা বানাইছি। সুন্দর হাওয়া খাওয়া যায়।’
0 comments:
Post a Comment