রক্ষা করতে হবে জীবন

Jul 10, 2010
লেখে যত তার দ্বিগুন ঘুমায়, খায় তার দশগুন।
এটা বাড়িয়ে বলা তাতে কোন সন্দেহ নেই। ৮০ বছরের জীবনে একজন ব্যক্তি মোটামুটি ৩০ থেকে ৪০ বছর ঘুমিয়ে কাটায়। কাজেই কথাটা ঘুরিয়ে বললে, যদি ঘুমের বিষয়টি ৩০ বছরও ধরা হয়, তিনি ১৫ বছর লিখেছেন। সেই লেখার পরিমান রবীন্দ্রনাথকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা।
সেটা যেহেতু হয়নি সেহেতু এটা বাড়িয়ে বলাই।
আর এরসাথে যদি খাবার বিষয়টি মেলানো হয়। আমি জানি না কিভাবে সেটা সম্ভব। লেখা এবং ঘুম দুটিকেই সময় দিয়ে বিচার করা সম্ভব (যদিও খুব গ্রহনযোগ্য বলে মনে হয় না), কিন্তু খাওয়াকে ? আমরা কি বলি ওই ভদ্রলোক দিনে চার ঘন্টা খান!
কবি নন্দলালকে হেয় করার জন্য যা মুখে এসেছে (কলমে) তাই লিখে গেছেন। রীতিমত হেনস্তা করেছেন তাকে। আসলে তাকে বীর বলে উল্লেখ করাই সংগত ছিল।
যেমন ধরুন তার মুল দর্শন। রাখিবেই সে জীবন। সবাইকে জীবন রক্ষার জন্য যাকিছু করা প্রয়োজন করতে হয়। ধর্মেও বলেছে জীবন রক্ষা করা ফরজ। ফরজ কাজে তিনি দোষ দেখছেন কেন ?
আর দেশের স্বার্থে যদি হয় তাহলে এরচেয়ে মহত আর কি হতে পারে। যাকিছু করছেন সবই দেশের স্বার্থে। লেখা, খাওয়া, ঘুম, আড্ডা, গলাবাজি সবই।
যারা নন্দলাল নন তারা অতশত দেশের কথা ভাবেন না। তবে জীবন রক্ষা করেন প্রত্যেকেই। মানে ফরজ আদায় করেন। এমনকি জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে এমন কাজ থেকেও দুরে থাকেন। আপনি প্রশ্ন করছেন, ওই কাজটা কতদুর হয়েছে। উত্তর, প্রচন্ড গরম দেখে বাইরে যাইনি। ঘরে বসে আছি। একে ফরজ না বলুন অন্তত সুন্নত কিংবা নফল তো বলবেন!
আসলে লেখক-কবি থেকে শুরু করে অনেকেই অনেক অকথা-কুকথা প্রচার করেন। নন্দলাল একবারমাত্র কাগজে এক সাহেবকে গালি দিয়েছিল। সাহেব এসে গলা টিপে ধরায় সাথেসাথে বুঝেছে ওইকাজ করার চেয়ে জীবন রক্ষা বেশি জরুরী। অন্যরা তারথেকেও বুদ্ধিমান। বিপদে পড়ে, অভিজ্ঞতা থেকে অভিজ্ঞতা লাভ প্রয়োজন হয়না। প্রাকৃতিক নিয়মে বুঝে যান কি কর্তব্য, কি নাকর্তব্য।
যেমন প্রাকৃতিক কারনেই বুঝে যান কাউকে বিশ্বাস করতে নেই, বিশ্বাস করলে ঠকতে হবে, কারন তিনি নিজেই সেটা করেন। কারোকাছে উপকার আশা করতে নেই কারন তিনি নিজে সেকাজ কখনো করেননা। কাউকে কাজের দায়িত্ব দিলে সেটা হবে না কারন তার নিজের ক্ষেত্রে বিষয়টা তারচেয়েও বাস্তব। কাউকে ধার দিলে সেটা ফেরত পাওয়ার আশা নেই কারন নিজেই সকলের আগে ভুলে যান ধার শোধ করার কথা। কাজের কথা থাকলে সেটা এড়িয়ে যেতে হয় কারন তিনি নিজে সেটাই করেন।
মুল কারন একটাই। যার তরেই হোক, রক্ষা করতে হবে জীবন।

0 comments:

 

Browse