আবিস্কার

Jul 3, 2010
নিউটন মাধ্যাকর্ষন সুত্র আবিস্কার করেছিলেন।
আপনি নিশ্চয়ই এত বোকা নন যে সেটা জানেন না। কিংবা সেই ইতিহাসের ছাত্রের মত আরেকটু বাড়িয়ে বলবেন, শের শাহ ঘোড়ার ডাক প্রচলন করেন, তাহার আগে ঘোড়া ডাকিত না।
মাধ্যাকর্ষন শক্তি নিউটনের আবিস্কারের আগেও ছিল। এখন যতটা আছে ঠিক ততটাই। নিউটন শুধুমাত্র তাকে কথার জালে আটকেছেন। এটাই তার কৃতিত্ব। বিজ্ঞানীর নাম করলে তার আবিস্কারকে বাদ দেবার উপায় নেই।
কাজেই প্রমানিত হইল, আবিস্কারের জন্য নতুন কিছু উদ্ভাবন প্রয়োজন নাই। বর্তমান বিষয়কে কথার সাহায্যে উপন্থাপন করিয়া আবিস্কারের কৃতিত্বলাভ করা যায়।
যদি এটাই হয় তাহলে আপনার আবিস্কার করতে বাধা কোথায় ? অনায়াসে ডজন ডজন আবিস্কার করে ফেলতে পারেন। অনেকেই করছে।
পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করবে এটাই বহু বছর ধরে প্রচলিত। সেই ডেকে আনতে বললে বেধে আনার যুগ থেকে শুরু। এজন্যই পুলিশ আবিস্কার করা হয়েছে। এই আবিস্কারকে আরো সহজ করার জন্য নানারকম ধারাও আবিস্কার করা হয়েছে।
৫৪ নম্বর ধারার কথা জানেনা কে ? সন্দেহজনক গতিবিধি। তাকে আচরন, পোষাক, চেহারা, স্বাস্থ্য দেখে তাকে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। কাজেই তাকে গ্রেপ্তার করা হল। সে নিশ্চয়ই সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিছু করতে যাচ্ছিল। অন্তত মনে মনে ফন্দি আটছিল। সন্দেহ হয়েছে বলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আপনি এটাও জানেন কোন কোন সমাজে চোরে-পুলিশে দোস্তি হয় খুব সহজে। আর পুলিশে-সরকারে দোস্তির কোন তুলনাই হয় না। পুলিশ কখনো কোন ধরনের বাড়াবাড়ি করে না। জনগনের স্বার্থ রক্ষার্থে, জানমাল রক্ষার্থে দায়িত্বপালন করে। ঠিক যতটুকু শক্তি প্রয়োগ করা প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই করে। ব্যাখ্যা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের, কাজ করার দায়িত্ব পুলিশের।
একই অস্ত্র বারবার ব্যবহার করলে নাকি ধার কমে যায়। দেখেননি যারা দাড়ি কাটে তারা কিছুক্ষন পরপর সেটা ঘসে ধার বাড়িয়ে নেয়। এটাই কারন। কাজেই ওই ৫০+৪ নম্বর অনবরত ব্যবহার করলে ধার কমবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিযেন একটা নিয়ম আছে কত সময়ের মধ্যে কোর্টে নিতে হয়। না নিয়ে, জানাজানি হলে নানাজনে নানারকম কথা বলে। কেমন হয় যদি নতুন কিছু আবিস্কার করা হয়।
যেমন ধরুন পুলিশের কর্তব্যে বাধা দেয়া। এটা সরাসরি অপরাধ, সন্দেহ করার বিষয় নেই।
পুলিশ আপনাকে গ্রেপ্তার করতে গেছে আর আপনি তাতে বাধা দিয়েছেন। প্রশ্ন করেছেন কেন গ্রেপ্তার করছে, অভিযোগ কি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কোথায়। পুলিশ আইনের প্রতিনিধি, তার কর্তব্যে আপনি এভাবে বাধা দিতে পারেন না। কাজেই আপনাকে গ্রেপ্তার করা হল।
এরপরও, সেই বিচারালয়ের বিষয়টি একসময় আসেই। অন্তত ক্রশফায়ার, এনকাউন্টার, গুপ্তহত্যার বিষয়টি যদি না থাকে। আর বিচারক মশায় কয়েকবার চোখ মিটমিট করে বলেন, বেশতো। কথাটার যুক্তি আছে। পুলিশের কর্তব্যপালনে বাধা দেয়া অবশ্যই অপরাধ। আটক করা যেতেই পারে। রিমান্ডে নেয়া যেতেই পারে। নম্বর-টম্বরও নেই যে কেউ বইখুলে দেখে নেবে সেখানে কি লেখা আছে। আবিস্কারটা মন্দ না। আবেদন মঞ্জুর।
কাজেই, বংগসন্তানগন, মনোযোগ দিয়া শুনুন। পুলিশ যদি গ্রেপ্তার করতে আছে কোনরকম প্রশ্ন করে তাদের কর্তব্যপালনে বাধাসৃষ্টি করবেন না। অপরাধ করে অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার হবেন না। বরং গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করুন। নিরপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার হোন।

0 comments:

 

Browse