সেরা তিন পেশা

Sep 26, 2010
সব মানুষের লক্ষ থাকে সেরার দিকে। একজন খেলোয়ার চান সেরা খেলোয়ার হবেন, একজন ব্যবসায়ী চান সেরা-সফল ব্যবসায়ী হবেন। কাজেই পেশা বেছে নেয়ার সময় সেরা পেশা বেছে নেবেন এটাই স্বাভাবিক। দেশ হিসেবে যারা সেরা (অনেকের আপত্তি থাকতে পারে। সব দেশই নিজের দেশকে সেরা মনে করে। কিন্তু বাস্তবতা এটাই, এখানেও বিচারের পদ্ধতি রয়েছে) তাদের বক্তব্য কি খোজ নেয়া যেতে পারে।
পশ্চিমা দেশে নাম উল্লেখ করে বলা হয় তিন পেশা, শিক্ষক, নার্স এবং পুলিশ। এরাই নাকি সবথেকে গুরুত্বপুর্ন। এদের দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। এদের হাতেই নির্ভর করে সমাজ।
উল্লেখ করা যেতে পারে এখানে বলা হয়েছে নার্স, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জাতিয় কিছু বলা হয়নি। শিক্ষক বলায় ধরে নেয়া যায় বুদ্ধিজীবী-নেতা শিক্ষকও বুঝানো হয়নি। এমনকি পুলিশ বলতেও যারা পথে দায়িত্ব পালন করে তাদেরই বুঝানো হয়েছে। এমন পুলিশ প্রধানের কথা বলা হয়নি যিনি সগর্বে বলতে পারেন অমুক সাংসদের গাড়িতে তার পিস্তল ব্যবহার করে খুন করা হতে পারে, তিনি নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে কোন প্রমান নেই। তাকে হয়রানী করব কেন ?
একে যদি চোখ ধোয়া বলতে চান (এরথেকে ভাল বাংলা আমার জানা নেই) তাহলে বলতেও পারেন। সারা বিশ্ব জানে বুশ-ওবামা মুখে যত কথাই বলুন তারা আসলে চলেন ওই ম্যাকডোনাল্ডস-কোকাকোলা-মাইক্রোসফট-এপলের কথায়। তারা যা করতে বলেন সেটাই করেন। আর সামনে এসে সাফাই গান জনগনের সেবার। কারন ভোটার ওই জনগনই। সরকার চালানোর টাকা তারাই দেন। আমাদের জানা উদাহরন, সাংসদরা বলতে পারেন তারা সবচেয়ে দামী আনবেন ট্যাক্স দেবেন না, নিজেদের আয়ের আয়কর দেবেন না কারন তারা সাংসদ। তাদের নামে মামলা করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। আর অবাক হয়ে বলবেন, জনগন ট্যাক্স দেয় না কেন ? এদেশে কি মানুষ আয় করে না! সবাই শুধু ক্রেতা!! কোটি মানুষকে ট্যাক্সের জালে আটকানো হবে।
আগের কথায় ফেরা যাক। দেশ চালানোর জন্য প্রশাসন প্রয়োজন। সেজন্য প্রয়োজন প্রশাসক। প্রতি জেলায় রয়েছেন একজন করে। এমনকি অতিরিক্ত নামে অতিরিক্তও থাকেন। যদিও অতিরিক্ত প্রয়োজন কি আমার মাথায় ঢোকে না। যদি অতিরিক্তই মনে করে থাকেন তাহলে তাদের বেতন-ভাতা দিয়ে পুশছেন কেন ?
তা সেই জেলা প্রশাসকের আবার অন্য অনেকরকম ক্ষমতাও আছে। সেটা আসলে কি আমার জানা নেই। পত্রিকায় চাকরীর জন্য পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে কাজেই ধরে নিচ্ছি কে চাকরী পাবেন সেটা নির্ধারন করা তাদের দায়িত্ব। এমন গুরুদায়িত্ব যার থাকে তাকে সাবধানী হতেই হয়। কোনমতে অযোগ্য লোক যেন সুযোগ না পায়। অন্তত যিনি চাকরী পাবেন তিনি কোন দলের সে খোজটা তো নেবেন! প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তো স্পষ্ট করেই বলেছেন, দলের প্রার্থী যদি সবচেয়ে খারাপও হয় তাহলেও দলের বাইরে কেউ যেন চাকরী না পায়।
পাবনার জেলা প্রশাসক সম্ভবত খবরের কাগজ পড়েন না। কথাটা তার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। সেকারনেই-
হ্যা, সেকারনেই প্রতিবাদ। ভাংচুর। পরীক্ষা বাতিল।
দেশে সেবকের অভাব নেই। দেশ প্রেমিকের অভাব নেই। তারা কখনোই অযোগ্য ব্যক্তিকে চাকরীতে যাওয়ার সুযোগ দেবেন না। বরং অযোগ্য জেলা প্রশাসককে চাকরী ছাড়তে হবে।  আপনারা সাংবাদিকদের সামনে এসে চোখের পানি ফেলবেন ফেলুন, আমরা দেখিয়ে দেব ক্ষমতা কার হাতে। দেখেছেন পুলিশ, র‌্যাব, কতরকম লীগ। আর নেতা-মন্ত্রী তো আছেনই। দলের বাইরে আছে কেউ ? দল যার দেশ তার, চাকরী তার। সব যায়গায় লিষ্ট পাঠানো হয়েছে। সেটা দেখে ঠিক করবেন কে চাকরী পাবে, কে পাবে না। পাবনার জেলা প্রশাসককে দেখেও শিক্ষা হয়নি ? আপনে কেডা ? প্রাণ গোপাল দত্ত! নিজের প্রাণ বাচান।
সত্যিকারের গুরুত্বপুর্ন পেশা আসলে ওই তিনটিই। পুলিশ, নার্স আর শিক্ষক। কনষ্টেবল থেকে পুলিশ প্রধান এভাবে বিচার করলেও খুব হেরফের হয় না। সেইসাথে নার্স থেকে ডাক্তার, শিক্ষক থেকে ভিসি। বাচাল বাঙালী হলে এরসাথে উকিল থেকে বিচারক একথাও যোগ করতে পারেন।
দেশ চালানোর জন্য এদের একই সুরে বাধতে হয়। বেসুরো কেউ ঢুকলে মজা থাকে না।
সংবাদমাধ্যমগুলো অকারন হাউ-কাউ করছে কেন ? এমন প্যাদানি দেব-

0 comments:

 

Browse