টক-শো যে টকই হবে এমন কথা নেই। সব দেশেই এতে ভিন্নমতের মানুষকে ডেকে আনা হয়। অন্তত দুধরনের বক্তব্য নিয়ে দুজন। তারা বলেন বিপরীত স্বাদের কথা। যদি বক্তার সংখ্যা বাড়ে তাহলে স্বাদের পরিমানও বাড়ে। এদের সবার বক্তব্যকে একই স্বাদের বলা কি উচিত ?
উদাহরন দিয়েই বলি। একজন উচ্চপদস্থ প্রতিষ্ঠিত অর্থনীতিবিদ কথা বলছেন ভারতের এক্সিম ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋন বিষয়ে। তার বক্তব্য;
খুব সহজে ঋন পাওয়া গেছে। কোন ঝুট-ঝামেলা নেই, দেন দরবার নেই। এত সহজে ঋন পাওয়ার উদাহরন খুবএকটা নেই। আর শর্তে বলা হয়েছে জিনিষপত্র-মানুষজন ভারত থেকে নিতে হবে। এতেও আমাদেরই লাভ। কোথাও খোজাখুজি করতে হবে না। আর জিনিষপত্রের দিক থেকেও ভারত বিশ্বের সেরা মানের। না-না, মানে বলছি সেরার কাছাকাছি। সব দিকেই আমাদের লাভ। যারা বিরোধিতা করছেন তারা বিরোধিতার কারনেই বিরোধিতা করছেন।
এই বক্তব্যকে টক মনে করার কোন কারন নেই। জিলিপির চেয়ে মিষ্টি। এমনকি রসগোল্লার চেয়েও।
আবার দেখুন আরেকজনের বক্তব্য। তিনি আবার উদাহরনের মধ্যে উদারন তুলে ধরলেন;
এক মুদি দোকানদার একজনকে বললেন, আপনার বাড়িতে আমার দাওয়াত। সবচেয়ে ভাল খাবারের আয়োজন করবেন। টাকার জন্য ভাববেন না, আমি দিচ্ছি। সামান্য শর্ত মানতে হবে। জিনিষগুলি কিনবেন আমার দোকান থেকে। অন্য দোকানে কিনতে পারবেন না। বাইরের কুলিও নেবেন না কিংবা কষ্ট করে নিজে বয়ে নেবেন না। আমার দোকানের কর্মচারী ওকাজ করে দেবে। ওরসাথে আবার দামাদামি করবেন না। মজুরিটা একটু বেশি কিন্তু কোন ঝামেলা নেই।
তারপর সময়মত আমার টাকাগুলো সুদসহ ফেরত দেবেন। সেখানে জারিজুড়ি চলবে না। আপনি বাড়ি ছেড়ে যেতে পারেন, সেখানে যাকে পাওয়া যাবে তাকেই ফেরত দিতে হবে। দেরী করলে সুদের ডাবল জরিমানা।
একে টক বলা যায়না। এমনকি অপক্ক তেতুল কি টোকাই খায় না এমন কাচা আমের সাথেও তুলনা চলে না। এটা রীতিমত বগুড়ার কাচামরিচের মত ঝাল।
আরেক দলও আছে। তারা শুরু করে এভাবে, আমার চুক্তির বিষয়গুলি জানা নেই। কোন সংবাদ মাধ্যমে দেখিনি। তবে আমি এই দেশের নাগরিক। ঋন তো সরকার নেয়নি, ফেরত তাদের দিতে হবে না। ঋনি হলাম আমি। ওই ঋন শোধ করতে হবে আমার মাথা বেচেই। আমার মাথা কোন সর্তে বন্ধক রাখা হল জানার সুযোগ পেলাম না।
একে সত্যেকারের টক বলতে পারেন। খেতে কষ্ট হলেও খাওয়া নিরাপদ। কোনধরনের বিপদের ঝুকি নেই এতে। বলছে বলে যাক। চলছেই-চলবেই।
কথা হচ্ছে, সব মিলিয়ে কি দাড়ায়।
টক-ঝাল-মিষ্টি সবই যদি থাকে তাহলে শুধু টক বলা কেন ? বরং টক-ঝাল-মিষ্টি-শো বলাই বাঞ্ছনিয়।
টক-ঝাল-মিষ্টি সবই যদি থাকে তাহলে শুধু টক বলা কেন ? বরং টক-ঝাল-মিষ্টি-শো বলাই বাঞ্ছনিয়।
সদাসত্য না হোক দুএক যায়গায় অন্তত সত্য বলা উচিত।
0 comments:
Post a Comment