আমি বাংলাদেশে যাব

May 20, 2010
ষ্ট্যালিনের যুগে সোভিয়েত ইউনিয়নের এক প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক বর্ননা করছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়ন কত ভাল যায়গা সেখানে মানুষের কোন দুঃখকষ্ট নেই, সবার অধিকার সমান, সবাই সুখি এক শিশু উঠে দাড়িয়ে বলল, স্যার আমি সোভিয়েত ইউনিয়নে যাব
এটা পশ্চিমা কৌতুক পশ্চিমাদের কাছে ষ্ট্যালিন আর হিটলার সমান তিনি বহু মানুষ মেরেছেন মানুষ মারতে পছন্দ করতেন তিনি ড্রাকুলার মত রক্ত পান করতেন, বাদ দিয়ে আর সবকথাই তারজন্য প্রযোজ্য কি আর বলব, এরচেয়ে খারাপ হয় না
বাংলাদেশের মানুষ সোভিয়েত ইউনিয়নে বাস করে না, বাংলাদেশে বাস করে ইচ্ছে থাকলেও সোভিয়েত ইউনিয়ে বাস করা, এমনকি কয়েকদশক আগের বামপন্থীদের মত বেড়িয়ে আসার সুযোগও নেই কারন সোভিয়েত ইউনিয়ন বলে কিছু নেই অকারনে যাকে-তাকে ডেকে পাঠায় না। তার নাম এখন বিপ্লবের আগের মত রাশিয়া
রাশিয়ার কথা থাক বরং বাংলাদেশের কথাই আলোচনা করা যাক
প্রতিদিন পত্রিকায় নির্দিস্ট যায়গা দখল করে রাখে কিছু ছবি আজকাল সবই রঙিন, কাজেই রঙ স্পষ্ট দেখা যায় টকটকে লাল রঙ আর বাংলার কৃতি সন্তানেরা। হাতে লোহার রড, হাসুয়া, রামদা। কখনো কখনো আগ্নেয়ান্ত্র। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ। সময়ে যুবদল, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির। কখনো কখনো শুধুই সন্ত্রাসী। কিংবা বখাটে। অন্য পরিচয় নেই। বাংলায় বাঘের অভাব নেই। সবাই ভবিষ্যত নেতৃত্বের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হল, টেন্ডার, খাসজমি, খাল-বিল-জঙ্গল এগুলোর কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রনে আনা হয়ে গেছে। এরপর জনগন। জনগন মুখ বন্ধ করেছে। মেয়েরা স্কুল কলেজ ছাড়ছে। কজন আত্মহত্যাও করেছে, যারা মানিয়ে নিতে পারেনি। সবই ভাল দিক। অধিকাংশই সয়ে নিচ্ছে একটু একটু করে। মানিয়ে নিচ্ছে আগামী দিনের নেতৃত্বের সাথে। সবার সামনে অপেক্ষা করছে সোনালী দিন।
বিরোধীদল একটামাত্র কাজই জানে। হরতাল। ওসব পুরনো মরচে ধরা অস্ত্র বারবার ব্যবহার করছে। এখনো বোঝেনি ওই অস্ত্রে কাজ হয় না। বিশেষজ্ঞরা বুঝেছেন কাজ কোন অস্ত্রে হয়, ওরা বোঝেনি। তারচেয়ে বরং উন্নতির কথাই শোনা যাক।
দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। ক্রশফায়ার, ওটা আমাদের আবিস্কার না। গুপ্তহত্যা নামে যা ঘটছে সেটা আমাদের ওপর চাপাবেন না। কোন প্রমান নেই। সামনে কেমন দিন অপেক্ষা করছে সেটা দেখুন। সবকিছুই সামনে। অতীত বর্তমান নিয়ে অত মাথা ঘামাবেন না। মস্তিস্ক খুব দামী জিনিষ। অকারনে অপচয় করবেন না। আমাদের কথা শুনুন।
এইতো, ১৪ সালের মধ্যে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন হবে। কোন খাদ্য আমদানী করতে হবে না। ঘরে বসে পায়ের ওপর পা তুলে খাবেন।
এসএসসির ফল দেখে ঘাবড়ে গেছেন ? ভাবছেন ভর্তির সমস্যা হবে ? মোটেই না। পর্যাপ্ত কলেজ-ইউনিভার্সিটি আছে। কলেজ না থাকে সরাসরি ইউনিভার্সিতে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। মোটেই ঘাবড়াবেন না। দেশে নিরক্ষর বলে কিছু থাকবে না। ১৪ সালের মধ্যে সবাইকে শিক্ষাব্যবস্খায় আনা হবে।
১৪ সাল কেন ? না-না, ১২ সালের মধ্যেই আরো অনেক কিছু হবে। দেশে উদ্বৃত্ত বিদ্যুত তৈরী হবে। যত খুশি ব্যবহার করবেন। তারপর বাড়তিটুকু-
সে আপনারাই ঠিক করুন। সব মন্ত্র যদি মন্ত্রনালয় পড়ে তাহলে আপনার সাথে মাথা রয়েছে কেন ?
কে জানে, এই বর্ননা শুনে কেউ বলে বসতেও পারে, আমি বাংলাদেশে যাব।

0 comments:

 

Browse