অনলাইন পর্নোগ্রাফি প্রজন্ম

May 18, 2010
পশ্চিমা দেশে মানুষ অনেককিছু নিয়ে মাথা ঘামায় হয়ত তাদের দেশে শীত বেশি, অকারনে মাথা ঘামে না সেজন্যই যদি বাংলাদেশের মানুষের মত লোড সেডিংএ মাথার ঘাম গড়িয়ে পায়ে পৌছুত তাহলে তারাও মাথা ঘামাতে ভয় পেত কোন প্রয়োজন বোধ করত না
পরিবেশের কারনেই, ষ্টিভ জবস যখন বলেন আপনার যদি শিশু থাকে তাহলে পর্ন বিষয়ে ভেবে দেখা উচিত, তখন নানা মুনীর নানা মত শোনা যায় তিনি কি এপল ষ্টোরকে এ থেকে মুক্ত করতে চান ? নাকি এপল ব্যবহারকারীদের পর্নোগ্রাফি থেকে দুরে রাখতে চান ? নাকি পুরো ইন্টারনেটকেই পর্নোগ্রাফিমুক্ত দেখতে চান ? সেটা করা কি সম্ভব ? তার সেটা করার অধিকারই বা কি ?
তারা তাদের মত করে কথা বলতে থাকুন আমরা এটুকু জানি পশ্চিমা দেশে ফ্রি-কালচার প্রচলিত বহু আগে থেকেই নারী-পুরুষের একসাথে বাস করার জন্য বিয়ে প্রয়োজন হয় না, যদিও বিষয়টি সন্মান করা হয় সেখানে শতভাগ মানুষ শিক্ষিত ধরে নেয়া হয় একজন শিক্ষিত মানুষ নিজের বুদ্ধিতে চলবেন, ভাল-মন্ত নিজেই বেচনা করবেন তারপর কি করবেন সেটা তার স্বাধীনতা
কিন্তু ওই যে জবসের ভাষায়, যদি শিশু থাকে, তাহলে বিষয়টা জটিল হয়ে দাড়ায় পশ্চিমে পর্নোগ্রাফি বড় ব্যবসা হাজার কোটি ডলারের। অনলাইন হোক আর অফলাইনই হোক, যে কেউ কিনতে পারে শিশু বাদ দিয়ে শিশুর কাছে সিগারেট বিক্রি করলেও নাকি জেল-জরিমানার ব্যবস্থা আছে তাদের দেশে বয়সের রেটিং না দেখে ভিডিও গেম বিক্রি করলেও তাই বৃটেনে এক স্কুল শিক্ষককে চাকরী হারাতে হয়েছে কারন তিনি তার কম্পিউটার ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি সাইটে গেছেন তিনি নৈতিকভাবে শিশুদের শিক্ষা দেবার উপযুক্ত নন ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি আদৌ বন্ধ করা সম্ভব একথা মনে করেন এমন মানুষ কমই, তারপরও অন্তত শিশুপর্নগ্রাফি মুক্ত করেছেন তারা ইন্টারনেটের যেখানেই এগুলি থাক এর পেছনের ব্যক্তি খুজে বের করা হয়
এরসাথে কি তুলনা চলে এমন সমাজের যেখানে ছাত্রীর যৌন হয়রানির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিছিল-আন্দোলন করতে হয় আরেক পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে আক্রমন করে আর শিক্ষক মশাই তাড়িয়ে তাড়িয়ে সেটা উপভোগ করেন টিভি ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে গলা পরিস্কার করে আহ্বান জানাবেন, ইভ টিজিংএর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এমন কৃতিত্ব কজনার থাকে!
এমন সমাজে যেখানে নিয়ম ভাঙলেই বিপুল অর্থের মালিক হওয়া যায় অর্থ মানেই ক্ষমতা ক্ষমতা মানেই রাজনৈতিক আশ্রয় রাজনৈতিক আশ্রয় মানেই আইনের উপরে উঠে যাওয়া, যা খুশি করার স্বাধীনতা
এমন সমাজ যেখানে শিক্ষিতের চেয়ে অশিক্ষিত বেশি যার শিক্ষা যত বেশি সে অপরাধে তত দক্ষ, তত বেশি সম্পৃক্ত শিক্ষা মানে সার্টিফিকেট যার অর্থ বেশি তার সার্টিফিকেট তত বড়
এমন একটা সমাজ যেখানে হঠাত করেই মানুষ জেনে গেছে, জীবন উপভোগ করতে হয় যাকিছু ভাল লাগে সেটা করতে হয় যতক্ষন ভাল লাগে ততক্ষন খুজে খুজে বের করতে হয় কি বাদ গেল ইউরোপে-আমেরিকায় মানুষ কি করে শখ মিটিয়ে তাদের মত খেতে হয়, তাদের মত পোষাক পরতে হয়, তাদের মত ফ্রি সোসাইটিতে বাস করতে হয় এজন্য যাকিছু উপকরন প্রয়োজন সেগুলির ব্যবসাই সবচেয়ে জমজমাট
আর বর্তমান সময়-
এমন একটা সময় যখন তরুন প্রজন্ম বলতে যা বুঝায় তারা ইতিহাসে প্রথমবারের মত পনোর্গাফি ব্যবহারের অবাধ স্বাধিনতা পেয়েছে হাতে একটা মোবাইল ফোনই যথেষ্ট সারা বিশ্বে রয়েছে লক্ষ লক্ষ গিগাবাইট পর্নোগ্রাফি প্রতি মুহুর্তে বাড়ছে তাতেও যদি শখ না মেটে, নিজেই তৈরী করা যায় হাতের মোবাইল ফোন দিয়েই
কেউ কেউ বলছেন এটা অনলাইন পর্নোগাফি প্রজন্ম
গন্তব্য কোথায় তা হয়ত রাত পোহালে জানা যাবে

0 comments:

 

Browse