দোজখের পাহারাদার

May 25, 2011
বাংলাদেশ নামে অথবা কাজে যেভাবেই ডিজিটাল হোক না কেন মানুষ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। প্রত্যেকের পকেটে মোবাইল ফোন, দেশের প্রধান প্রতিষ্ঠান মোবাইল অপারেটর। সবার মুখে মুখে ইন্টারনেট। কৃষক কি চাষ করবেন জানার জন্য ইন্টারনেট দেখে নেবেন। ইন্টারনেটের বিজ্ঞাপন বলছে কিভাবে রান্না করবেন, কতটুকু তেল দেবেন সেটা জেনে নেবেন ইন্টারনেট থেকে। গ্রামে বসেই চাইনিজ খাবেন। সরকার জানিয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিকাল ফাইবার কেবল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। কাজেই খুব দেরি নেই ...
অন্য অনেককিছুর মত প্রযুক্তির ব্যবহারও মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে বৈকি। কেউ কেউ একেই ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করে। আমি ডাউনলোড ব্যবসার কথা বলছি না, ওটা পুরনো গল্প। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিভাবে কোটিপতি হবেন একথা বলেও অনেকে ব্যবসা করে। সিডি-ডিভিডি বিক্রি হয়, টাকা দিয়ে সেমিনারে যায়।
কেউ কেউ আবার ওয়েবসাইট করেও এসব কথা জানায়। সমস্যা একটাই একাজে সরাসরি টাকা নেয়া যায়না। টাকা দিয়ে কেউ ওয়েবসাইট দেখে না। বরং সেখানে বিজ্ঞাপন থাকে, তাতে ক্লিক করলে সে ধনী হয়। একটু ঘুরিয়ে খাওয়া আর কি।
সে বিষয়েই এক ঘটনা। দুজন বসেছেন কম্পিউটারের সামনে। জানার চেষ্টা করছেন কিভাবে কম সময়ে কোটিপতি হওয়া যায়।
একজনের বক্তব্য, ওইযে যায়গাগুলান দ্যাখতাসছ, ভুলেও ওইখানে ক্লিক করবি না।
ক্যান, করলে কি হইব?
করলে সে টাকা পাইব।
কার টাকা ?
যারই হউক। এইগুলান হইল ব্যবসা। যত ক্লিক করবি সে তত ট্যাকা পাইব।
তা পাউক না, আমার কি! আমার ট্যাকা তো নিতাছে না।
তুই একটা ভোদাই। খামোখা একজনরে বড়লোক করবি ক্যান। তরে কি ভাগ দিব ?
এরপর আর সামনে না যাওয়াই ভাল। এই ব্যবসা নাকি সারা পৃথিবীর মানুষই করে। অনেকে নাকি একটামাত্র ভাল উপদেশ পেয়ে খুশি হয়ে ক্লিক করে প্রতিদান দেয়ার জন্য। অনেকে আবার নিজের টাকাও দেয় খুশি হয়ে। এতদিন এজন্য টিপস জার নামে এক ব্যবস্থা ছিল। গুগল ভেবে দেখেছে তারা বিনামুল্যে ওয়েবসাইট করার যে সুযোগ দিয়েছে সেটা হয়ত যথেষ্ট না। মানুষগুলো নিজেদের সময় ব্যয় করছে, পরিশ্রম করছে। ওদের কাজ আরো সহজ করে দেই। গুগল নিজেই টিপস জার ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। দুক্লিকেই সমাধান।
ভাগ্যিস তারা এমন দেশে জন্মায়নি যেখানে ল্যাং মারা জাতিগত বৈশিষ্ট। নইলে হয়ত বলেই বসত, ওই টিপস জারে যা জমা হবে তার অতভাগ আমার। আর বিনে পয়সার ওয়েবসাইট, স্বপ্ন দ্যাখেন ...
তাদের দোজখে পাহারাদার প্রয়োজন হয়, অনেক দেশে হয় না। তারা নিজেরাই পাহারা দেয়। কেউ বেরনোর চেষ্টা করলেই মোক্ষম ল্যাং।

0 comments:

 

Browse