কোন পাগল নেই

Feb 23, 2010
সুস্থ স্বাভাবিক এক বৃটিশ ভদ্রলোকের স্ত্রী লক্ষ্য করলেন তার স্বামী পর্নোগ্রাফির দিকে ঝুকে পড়েছে সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সেটা শতভাগ শিক্ষিত মানুষের দেশ এবং সেখানে শিক্ষা বলতে সার্টিফিকেট কেনা বুঝায় না শিক্ষার প্রয়োগ বুঝায়। কাজেই তিনি মাথা খাটালেন নিজে সমাধান না পেয়ে একসময় স্বামীকে নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে প্রথমে মনোবিজ্ঞানী তারপর সাধারন চিকিসক তিনি কিছুতেই হাল ছাড়বেন না একসময় ফল ফলল অন্যরকম ডাক্তার রিপোর্ট দিল তার মস্তিস্কে টিউমার হয়েছে ফলে অপারেশন টিউমার বাদ দেয়ার পর ভদ্রলোক আগের মতই স্বাভাবিক হয়ে উঠলেন
এখানেই যদি ঘটনা শেষ হত তাহলে সেটা বিবিসির খবর হত না কবর হয়েছে কারন কিছুদিন পর সেই ভদ্রলোকের সেই পর্নোগ্রাফির নেশা ফিরে এল আবারো ডাক্তার এবং সবাইকে চমকে দিয়ে জানা গেল তার টিউমার নতুনভাবে গজিয়েছে
লোকে বলে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর যে ফল পাওয়া যায় সেটাই বিজ্ঞান অন্তত এই ঘটনা প্রমান করেছে পর্নোগ্রাফিতে আগ্রহ স্বাভাবিক মস্তিস্কের কাজ না কিছুটা বিকৃতি সেখানে রয়েছে বড় আকারের হলে টিউমার জাতিয় কিছু, অথবা ছোট আকারের বৈকল্য বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্য।
তবে সমস্যা হচ্ছে, অমুকের মানষিক সমস্যা রয়েছে একথা মুখফুটে বলা যায় না এতে তার তো বটেই, পরিবারের মান যায় আর পর্নোগ্রাফির মত বিষয় যদি হয় তাহলে তো কথাই নেই ব্যক্তির, পরিবারের, সমাজের মান, দেশের মান সবই যায় কাজেই- মুখবন্ধ
প্রবাদ, দুদিনের চাদ ঘরে বসে দেখা যায় ঈদের আগের দিনের মত হা করে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে হয় না এমনকি দেখতে না চাইলেও দেখা হয় সমাজে যখন কোন ঘটনা ঘটে সেটাও অনেকটাই ঈদের চাদের মত কেউ কেউ আগ্রহ নিয়ে দেখেন কেউ কেউ না দেখার ভান করেন কিন্তু একসময় না দেখে উপায় থাকে না আজকাল আবার খবরের কাগজঅলারা দেশের-সমাজের ভাবমুর্তি নিয়ে ততটা মাথা ঘানায় না খবর পেলে প্রকাশ করে দেয় সেভাবেই
প্রকাশ পেয়েছে ঘটনা ধর্ষন করে তার ভিডিও করা হয়েছে দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে খবরটা একেবারে নতুন না অবশ্য কয়েক বছরে কয়েক ডজন খবর চোখে পড়েছে কাগজে বিষয় একই পরদিনই সেটা খবরের পাতা থেকে উধাও
এবারের খবর, কোন সংগঠন নাকি প্রতিবাদ করে মামলাও করেছে পুলিশ বলেছে, ব্যবস্থা নেয়া হবে অবশ্যই হবে আদালত কি বলে দেখি-
এত ছোট বিষয় নিয়ে বড় মাথা ঘামানো যায় না অন্তত ভাবমুর্তির কথা মাথায় রেখে হলেও বড় মাথার সামনে এপ্রশ্ন তোলা যায় না যদি যায়ও, ভদ্রলোকের সবসময়ই এককথা- এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা
আর যদি তেমন কেউ থাকে তাহলে, আপনের কাছে আছে নাকি ভিডিওডা দ্যানতো দেখমুনে- আমেরিকার মানের হইছে ? অন্যদিকে তো সম্ভাবনা নাই, এইদিকেও কি পারমু না!
এই মনোবৈকল্যের চিকিসা এদেশে হয় না একজন থেকে শতজনে, শত থেকে লাখে ছড়িয়ে পরে কম্পিউটারে, সিডিতে, মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পরে এই ভিডিও রীতিমত রমরমা ব্যবসা দোকানে-ফুটপাতে, শহরে-গায়ে-গঞ্জে সব যায়গায় ডিজিটাল দেশে কোন এলাকা পিছিয়ে নেই আমেরিকা-ইউরোপ যদি পারে আমরা পারব না কেন ? আমরা কম কিসে ? কিছু মানুষ আয়-রোজগার করে তো খাচ্ছে চোখ টাটায় কেন ? দেখে শিখুন জীবনের মানে কি
সমস্যা একটাই, একদিকে ইউরোপ-আমেরিকা যা পারে সেটা করে দেখানো পোষাক-আচরন-কথাবার্তা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই, আরেকদিকে সহজ-সরল-ধর্মপরায়ন-দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীর ভাবমুর্তি ঠিক রাখা একটা রাখলে আরেকটা যায় দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ দরীদ্রসীমার নিচে, আরো বাড়ছে, শিক্ষার হার কমছে, মান নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে সেখানে মনবৈকল্য নামের রোগ নিয়ে মাথা ঘামায় কে ?
জানেন না, দশের মধ্যে একজন অন্য কথা বললে সে পাগল, সবাই যদি বলে তখন কোন পাগল নেই

0 comments:

 

Browse