এমন শহর কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি।

Feb 15, 2010
বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় - ইকোনমিষ্ট পত্রিকার এই অভিমতের সঙ্গে আপনি কি একমত ? উত্তর দিন। হ্যা, না অথবা মন্তব্য নেই।
এটা অনলাইন জরিপ। ছাপা হয়েছে জনপ্রিয় দৈনিকের অনলাইন ভার্শনে।
অনেকেই ভোট দিয়েছেন। আপনিও দিয়েছেন নিশ্চয়ই। হ্যা অথবা না। অথবা মন্তব্য নেই। যদি মন্তব্য না থাকে তাহলে কষ্ট করে ভোট দেবেন কেন জানি না। গত নির্বাচনে একটা ব্যবস্থা ছিল, আপনি ইচ্ছে করলে বলতে পারতেন কোন প্রার্থীকেই পছন্দ করেন না। সবাই চোর-বাটপার। এখন সে সুযোগ নেই। যদি সকলের বিপক্ষে মত জানাতে হয় তাহলে একমাত্র উপায় ভোটকেন্দ্রে না যাওয়া। অনেক দেশে নাকি এটাই পদ্ধতি। যেকারনে নির্বাচন বৈধ হওয়ার জন্য ৫০ ভাগের বেশি মানুষকে ভোট দিতে হয়। যে বিজয়ী হবে তাকেও এককভাবে ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে হয়। ৪৯ ভাগ ভোট পেলেও ধরে নেয়া হয় বাকি ৫১ ভাগ তার বিপক্ষে। কাজেই তিনি উপযুক্ত নন।
এই নিয়ম এখানেও প্রয়োগ করতে পারেন। হাজার দেড়েক কিংবা দুয়েক সাচ্চা দেশপ্রেমিক ভোট দিলেন। তারা কোন অবস্থানেই দেশের গৌরব ভুলুন্ঠিত হবে দেবেন না। কোথাকার কোন পত্রিকা সে কি-বা বলে বসবাসের অনুপযুক্ত। সবচেয়ে দুষিত, সবচেয়ে ঘনবসতি, সবচেয়ে অপরিপল্পিত, সবচেয়ে বেশি যানজট, সবচেয়ে বেশি ভুমিকম্পের ঝুকি, সবচেয়ে অনিরাপদ, পানি-বিদ্যুত সব বলা হয়ে গেছে। এখন এরসাথে যোগ করছে আর কি করা যায়। যেন রাবন পেয়েছে। নাকাল করো আরো, যে যেভাবে পারো। যদি বসবাসের অনযপযোগীই হয় তাহলে প্রতিদিন-প্রতিমুহুর্তে হাজার হাজার লোক ঢাকায় ঢুকছে কেন ? দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা পথঘাট কিলবিল করছে কেন ? কই, একজনও তো বলে না ঢাকায় থাকব না। ঢাকার বাইরে থাকব। যত্তোসব-
আসলে সমস্যা অন্য যায়গায়। সংখ্যাতত্ত্বে। সেই হাজার দুয়েক যদি দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিয়ে প্রমান করেনও, এমন শহর কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি, তাহলেও, বাকি যারা তাদের মত কি ? ঢাকার দেড় কোটি থেকে হাজার দুয়েক বাদ দিলে কত থাকে ? কিংবা দেশের ১৬ কোটি থেকে হাজার দুয়েক বাদ দিলে!
আমরা আসলে ওসব হিসেব-নিকেশ নিয়ে মাথা ঘামাই না। এদেশ আমার গর্ব। যা থাকে থাকুক। তুমি বাপু নাক গলানোর কে ? কটাকা দিয়েছ ? জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপুরনের টাকাটা পর্যন্ত দিলে না আবার বড়বড় কথা। ভাত দেবার মুরোদ নেই কিল মারার গোসাই।
আর কে কি মত দিল তাতে কি যায় আসে। আমরা কখনও একমত হই না। আমরা সবসময় বহুমতে বিশ্বাসি। রামকৃষ্ণ বলে গেছেন, যত মত তত পথ। একজন যদি বলে ফুটপাতের দোকান, রাস্তার পার্কিং বন্ধ করা উচিত আরেকজন নিশ্চয়ই বলবে দোকান দেয়া, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা তাদের অধিকার। একজন যদি বলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা উচিত আরেকজন নিশ্চয়ই বলবে ছাত্ররাজনীতিই দেশের গৌরব। আজ যারা দেশ চালান তারাই একসময় ছাত্রনেতা ছিলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞতা নিয়ে তবেই তো দেশ চালানোর কাজে হাত দেয়া যায়।
ওসব একমত হওয়ার পক্ষে আমরা নই। যাদের মাথায় কিছু নেই তারাই একমত হয়। অন্যে যা বলে তারসাথে হ্যা-হু করে।
আপনি হ্যা বলুন আর না বলুন আর মন্তব্য নেই বলুন, এমন শহর কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি।

1 comments:

James Rubel said...

দারুন। অসাধারণ।।

 

Browse